অন্ধকারের বুক বিদীর্ন করে একটু আকটু আলোক ছটা দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। আলোকে অপছন্দ করা পেঁচাটি উঁচু গাছের মগডালে পাতার আড়ালে ডাকতে যাচ্ছে তার মুখ। কারন , প্রভাত অতি নিকটে ঘনিয়ে এসেছে। পূব আকাশটা লাল রক্তিম রুপ ধারন করে আছে। ইতিমধ্যে ,সূর্য এই ধরায় আগমনের বার্তা জানিয়ে দিয়েছে। পৃথিবীকে আলোকিত করার বাসনা নিয়ে এই এখনি, এখনি সূর্য মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে। নিমেষেই অদৃশ্য হবে সমস্ত অন্ধকার, আলোয় আলোয় আলোকিত হয়ে যাবে পুরো পৃথিবী। কে আছে তাকে ঠেকাবে ? পেঁচাদের কি আর সেই ক্ষমতা আছে। নেই! সে তো জানে শুধু সূর্যকে অবিশম্পাত আর গালাগালি করতে। আর জানে কিভাবে অন্ধকারে নিজেকে লুকিয়ে রাখতে হয়। অন্ধকারে তার ভয়ঙ্কর রুপ আর বর বড় চোঁখ দিয়ে চোরের মত স্বীকারের উদ্দেশ্য; প্রতীক্ষায় থাকে অন্ধকার নিশাচর রাতের । রাতভর অপকর্ম করে আর দিন হলে তাকে খুঁজে পাওয়া যায় না। যদি তার কুৎসিত চেহারাটা প্রকাশ হয়ে যায় ; সেই ভয়ে, মুখ লুকায় নির্জন গর্ত কিংবা গাছের ডালে পাতার আড়ালে।
সত্যে হচ্ছে সূর্যের আলোর মত; তাকে কোন ভাবেই প্রতিহত কিংবা আটকানো যায় না; সে তার সমস্ত আলো নিয়ে জাগবেই। অতীতে যারাই সত্যকে উপেক্ষা করে ;আধারে ঘেরা মিথ্যার রাজ্যে হুতুম পেঁচা সেজেছে। তাদের শেষ পরিনতি হয়েছে অত্যন্ত নাজুক। জুলুমের শেষ পর্যায় পৌছে গিয়েছে বলেই তাদের পতনও নিকটে ঘনিয়ে এসেছিল। যাদের নামটা উচ্চারনেও ছিল আতঙ্কে ভরা বাধা নিষেধ; আজ তারা ইতিহাসের আস্তাকুড়ে ঘৃনিত ভাবে নিক্ষিপ্ত আছে ।
অধ্যাপক গোলাম আযমকে গ্রেপতার করে ওরা ভাবছে ওরা সফল হতে যাচ্ছে। কিন্তু আমি আমার চোঁখে ওদের নিশ্চিত পতন দেখতে পাচ্ছি। যখনি জালীমের জুলুমের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল তখনি পতনের ঘন্টাও বেজে উঠেছে। একজন বৃদ্ধ আল্লাহ ভীরু বান্দার প্রতি ওরা ন্যুনতম সুবিচার ও দেখাতে পারে নি। রুচিহীন মানসিকতায় ভরপুর ওদের শিরা উপশিরা। অবশ্য বিচার ব্যবস্থা নিয়ে বলার কিছু নেই। তাতে আদালত অবমাননা হতে পারে। কিন্তু কি করবো সবকিছু মেনে নিলে যে নিজেকে মানুষ বলে মনে হয়না। অবলা ঐ গাধার মত নিজেকেও গাধা মনে হয়। বিচারের প্রত্যাশায় হাত মেলে গিয়ে রক্তাক্ত হাতে অবিচার নিয়ে ফিরতে হয়। নাহলে বৃদ্ধ,অসুস্থ এই মানুষটি স্বশরীরে গিয়ে জামীন চাইলো; তাকে জামীন না দিয়ে জেলে প্রেরন করে সকল বিবেকবান মানুষের হৃদয়কে ওরা আরেক বার রক্তাক্ত করেছে। রায়ের বিরুদ্ধে নেই আপিল করার সুযোগ। আসামীর আইন জীবিরা পর্যন্ত জানেনা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ কি? তার আগেই এতো জুলুম কি করে সহ্য করা যায়! ওদেরকে বিচারক বলা যায় না। বিচারক বলাতে কেন জানি আমার ঘেন্না লাগে। ছি, ধিক্কার.......এসকল বিচারকদের ?
অতীতে অনেক জালীম তার জুলুমের হাতিয়ারে ভর করে মনীব সাজার চেষ্টা করেছিল। কোথায় আজ তারা? এরা কি জানেনা সেই ইতিহাস? কোন ভাবেই কি শিক্ষা নিতে ইচ্ছে করেনা ওদের বিবেক। ঐ বিবেক আর কতো ছড়াবে দূর্গন্ধ। ওরা তাদের জুলুমের হাতিয়ার দিয়ে একটি মিথ্যাকে সত্যে রুপ দেবার ষড়যন্ত্রে মেতেছে। ওরা ভুলে গেছে ফেরাউন,নমরুদের কথা ; ভুলে গেছে দুনিয়ার তাবৎ জালীম, জুলুমবাজ, সন্ত্রাসী জানোয়ারদের শেষ পরিনতির কথা। ওরা কি জানেনা ; 'আল্লাহ প্রেমিকদের হৃদয়ে কোন ভয় থাকেনা। রাসূল যাদের জীবনে প্রেরনার উৎস তারা জানে কিভাবে বুক পুলিয়ে বেঁচে থাকতে হয়। তাই মরনেও তাদের বিন্দুমাত্র নেই ভয়। শহীদি তামান্নায় জীবনকে বিলিয়ে দিতে চায় বলে ওরা বুক পুলিয়ে বরন করতেও যানে সকল নির্যাতন। জুলুম, নির্যাতন ছাড়া জান্নাতের সুবাতাস পেয়েছে কি কেউ? কতজন মুজাহিদ? জুলুম,অত্যাচার,নির্যাতন দিয়ে হয়তো একজন মানুষকে নিঃশ্বেষ করা যায়; কিন্তু একটি আদর্শকে কখনো ধ্বংশ করা যায় না। বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামকে ধ্বংস করার সেই স্বপ্নে ওরা বিভোর হয়ে আছে। ওরা জামায়াত,শিবিরকে তাদের মুখের ফুঁৎকারে উড়িয়ে দেবার দুঃস্বপ্ন দেখে। এদের সেই স্বপ্ন চিরদিন দুঃস্বপ্নই থেকে যাবে। এদের শোচনীয় পতনও এরা কোন ভাবেই ঠেকাতে পারবে না। ইংশাআল্লাহ,বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম, তার এই কঠিন সমর পার করবে ধ্যের্যের সাথে। তেজদীপ্ত ঈমান নিয়ে এগিয়ে যাবে লক্ষ্যপানে। এখন শুধু অপেক্ষা সেই বিজয়ের। পূব আকাশ এখন লাল রক্তিম রুপ ধারন করে আছে; যেকোন মুহূর্তেই সূর্য তার সমস্ত আলো নিয়ে দেখা দিবে। অপেক্ষা এখন প্রভাতের সূর্যের ;
দেখুন সোনার বাংলাদেশ ব্লগে প্রকাশিত
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন