***যে ব্যক্তি আল্লাহর পরিবর্তে এমন বস্তুর পূজা করে, যে কেয়ামত পর্যন্তও তার ডাকে সাড়া দেবে না, তার চেয়ে অধিক পথভ্রষ্ট আর কে? তারা তো তাদের পুজা সম্পর্কেও বেখবর।*****আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই, তিনি চিরঞ্জীব, সবকিছুর ধারক। *** ওই ঈমানদারদের সাথে তাদের শত্রুতার এ ছাড়া আর কোন কারণ ছিল না যে তারা সেই আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছিল, যিনি মহাপরাক্রমশালী এবং নিজের সত্তায় নিজেই প্রশংসিত – (আল বুরুজ-৮) || যারা মুমিন পুরুষ ও নারীদের ওপর জুলুম - নিপীড়ন চালিয়েছে ,তারপর তা থেকে তওবা করেনি, নিশ্চিতভাবেই তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আযাব এবং জ্বালা - পোড়ার শাস্তি – (আল বুরুজ-১০) || যারা ঈমান এনেছে ও সৎকাজ করেছে নিশ্চিতভাবেই তাদের জন্য রয়েছে জান্নাতের বাগান যার নিম্নদেশে প্রবাহিত হতে থাকবে ঝরণাধারা৷ এটিই বড় সাফল্য – (আল বুরুজ-১১) || এই ওয়েবসাইট সম্পর্কে আপনার মতামত ও গঠনমূলক সমালোচনা জানিয়ে ই-মেইল করুন। *** হে আল্লাহ,আমাদেরকে তোমার সত্যের পথে পরিচালিত কর। আমাদের সম্মুখে তোমার পথ সহজ ও সরল করে দাও। আমীন...!

সংগঠন




নিছে উপস্থাপিত খরগোস এবং কচ্ছপেরনৈতিক এই গল্প থেকে শিক্ষা নিয়ে; আসুন,এভাবেই আমরা একটি শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তুলি



অনেকেই ভেবেছে অপপ্রচারে জামাত-শিবিরকে ভড়কে দেয়া যায় কিংবা যাবে,অথচ ইসলামী আন্দোলনের জন্য এটি নতুন কোন বিষয় নয়।যাদের কথা বাতিলের গায়ে অসহ্য জ্বালা ধরাতে পারে,যারা মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকেন সুমিষ্ট আহ্বানে,ডাকেন আলোর পথে,সত্যের পথে,সৎ কাজের পথে এবং নিজেদের আল্লাহর দাস বলে স্বীকার করেন বিনয়াবনত চিত্তে? ইতিহাসের বিচারে,বর্তমান সভ্য সমাজের বিচারে কিছুতেই এমন অপরাধীকে লালগালিচা সম্বর্ধনা দেয়া হয় না,লাল দালানের মোটা লাল চালের ভাতই তাদের প্রাপ্য ইতিহাসের প্রতিটি পাতায় পাতায় লেখা আছে হাজারো এমন অপরাধীর কথা,যাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে পৌত্তলিকতার শেকল ছিঁড়ে দলে দলে ছুটে এসেছে মুক্তিকামী মানুষ,তাদের অধিকাংশকেই বরণ করতে হয়েছে নিষ্ঠুরতম চরম শাস্তি   

ইসলামী আন্দোলন যখনই পেয়েছে গতি বিদ্যুতের,তখনই আন্দোলনকে স্তব্দ করে দিতে হয়েছে বহুরুপী ষড়যন্ত্র।যে ইসলামী আন্দোলনের সৃষ্টি অন্ধকারের বিরুদ্ধে লড়ার, যে আন্দোলন লড়ে যায় অসত্য আর অন্যায়ের সাথে, সে আন্দোলন কখনো লালগালিচা সম্বর্ধনা কামনা করেনা,ইতিহাস ঘেটে এমন নজিরও মেলে না।সর্বকালে এমনটিই ঘটেছে।যারা সত্যের পথে লড়ে,তাদের প্রতি পদে পদে লাঞ্ছনা,গঞ্জনা,অপমান আর অত্যাচার-নির্যাতনের বাধা।তবুও সত্যে এগিয়ে চলে,আলোয় আলোয় ভরে উঠে অন্ধকার ভুবন।ইসলামী আন্দোলন সাফল্য যদি বাতিলের হৃদয়ে আনন্দের বান ডাকে, তবে সে তো কিছুতেই ইসলামী আন্দোলন নয়, সে তো নিশ্চিত শয়তানের খোয়ার।

ছাত্ররাজনীতি নামে শিক্ষাঙ্গনে অপরাজনীতির চর্চায় যখন বিপন্ন শিক্ষার পরিবেশ,নোংরামির নিত্য বলি যেখানে মেধাবী ছাত্রসমাজ,ছাত্রনেতাদের হাতে যেথায় লাঞ্ছিত মা-বোন,নির্যাতিত শিক্ষক সমাজ,শিবিরই সেখানে গেয়ে যায় আদর্শের গান,হেকে যায় সত্যের স্লোগান।ছাত্রশিবিরই একমাত্র সংগঠন যা প্রচলিত ছাত্ররাজনীতির নিয়ম-নীতির বাইরে আদর্শ সংগঠন হিসেবে কুড়িয়েছে সুনাম।যারা রাজনীতির স্বার্থে রাজনীতি করেন,নিছক ব্যক্তিস্বার্থে ছাত্রসমাজকে ঠেলে দেন বাঘের খাচায়,তাদের কাছে ইসলামী ছাত্রশিবির একটি বিস্ময়ের নাম।কিভাবে শত অত্যাচার,যুলুম নিপীড়নকে উপেক্ষা করে আদর্শের ঝান্ডা নিয়ে সামনে এগোতে হয়,ছাত্রশিবিরের দিকে তাকালে তা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট হয়ে যায়। না,প্রভাবশালী মিডিয়াগুলো কখনো ইসলামী আন্দোলনের পাশে থাকেনি,অন্যায় অত্যাচারে রক্তাক্ত সংগঠনটির পানে কখনো বাড়িয়ে দেয় নি ওরা সহানুভুতির হাত।তারপরও ইসলামী আন্দোলন এগিয়ে চলে,ছড়িয়ে পরে শহরে নগরে বন্দরে,ছড়িয়ে পড়ে আটষট্রি হাজার গ্রামের কোনে কোনে।

সন্মানের নামে যে সমাজ কোরআনকে বন্দী করে রাখে সিন্ধুকে,যে সমাজ ইসলামকে নিছক ব্যক্তিগত ব্যাপার বলে অবহেলা করে,সে সমাজে একদল মানুষ কোরআনকে বুকে আগলে রাখতে জীবনবাজী রাখে।যে সমাজ কোরআনের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে উন্মাদ,সেই সমাজে কোরআনের সন্মানে প্রান বাজি রাখে জামায়াত শিবিরের অকুতোভয় সৈনিকেরা।যে সমাজে অপসংস্কৃতির জয়যাত্রায় বিলিয়ন টাকা ঢালে বহুজাতিক নব্য ইষ্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি,সেই সমাজটাকে কোরআন তেলাওয়াতে জাগাতে চায় জামাত-শিবির।তাইতো ওরা পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে জামায়াতে,কোরআন অধ্যয়ন করে,হাদীস পড়ে,ইসলামী সাহিত্য অধ্যয়নে শানিত করে ইসলামী চেতনা।

আর এজন্য ঘুনেধরা সমাজে আদর্শের কথা,নৈতিকতার কথা বলতে তাই তাদেরকে প্রতিনিয়ত ডিঙ্গাতে হয় বাধার পাহাড়। ওরা সাব্বির হামিদ আইয়ুবের মতো অগনিত ভাইয়ের রক্তে পিচ্ছিল করে দিতে চায় অগ্রগতির পথ, বাতিলের যতই গায়ে জ্বালা ধরুক না কেন,ওদের সংবিধানে যতই অপরাধ বলে সংজ্ঞায়িত হোক না কেন,তবু থমকে যেতে জানে না এ কাফেলা।এগিয়ে চলে দৃপ্ত পায়ে,ওরা জানে পথের শুরু যে সবে,মঞ্জিল বহুদূরে।

ইসলামী আন্দোলন, সে তো আল্লাহর জমীনে আল্লাহর দ্বীন কায়েমের দল।এ পথে চলতে যে চাই মজবুত ঈমান।তাইতো বারে বারে আঘাত আসে,বারে বারে দিতে হয় পরীক্ষা ঈমানের। এভাবেই আল্লাহ পরিশুদ্ধ করেন ইসলামী আন্দোলন। তবু এ পরীক্ষাই যে শেষ নয়,হয়তো সামনে রয়েছে কঠিন সমর।ভূমকম্পের পরে আসে সুনামী,কেড়ে নিতে চায় অপ্রস্তুত জনতার সম্বল। তাই এখন সময় দৃঢপায়ে ঘুরে দাড়াবার,এখন সময় ধাবমান প্রলয়নকরী সুনামী প্রতিরোধের।কান্ডারী হুশিয়ার।

যাদের ন্যূনতম আল্লাহর ভয় লালন করেছে প্রানে তাদের কি উচিত নয় ইসলামের বিরুদ্ধে মুসলিম নামধারী মুনাফেকদের সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে ইসলামের পতাকা তলে শামীল হওয়ার? আমরাও কি তবে এমন অপরাধে অপরাধী হব না,আমরাও কি তবে দলে দলে ঝাপিয়ে পড়বো না আল্লাহর পথে,সত্যের পথে,আলোর পথে,যে পথের মশাল হাতে ছুটে চলেছেন আল্লাহর রাসূল (সাঃ),ছুটে চলেছেন আবুবকর,ওমর,ওসমান,আলী (রাঃ) মতো কোটি কোটি পূণ্যপ্রাণযে ছুটে চলায় শুধুই জীবন,আলোয় আলোয় ভরা যে জীবন,সে জীবনের পথে তবে এসো আজ সকলে সমবেত হই

এত কেন দ্ধিধা তোমার,এত কেন ভয় মুমিনের?ঝেড়ে ফেল সব ভয়,ভেঙ্গে ফেল শেরকের সকল শৃংখল,ইসলামের বিরুদ্ধে যারা সন্তাস করে,আল্লাহর রাহে তাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্নক সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়।"জালিমের বিরুদ্ধে সত্য কথা বলা উত্তম জেহাদ"বলেছেন আল্লাহর রাসূল (সাঃ) তাহলে কেন আর জেগে জেগে ঘুমের ভান কর, 
কেন আর চোখ বন্ধ করে রাখো,মনের জানালা খোল,আগাছামুক্ত সমাজ গড়তে জামাত-শিবির নামের সংগঠনে ঝাপিয়ে পড়।