কতটুকু অর্জিত হচ্ছে তাকওয়া?
রোযার লক্ষ্য কি শুধু এটুকু, রোযাদার ব্যক্তিটি সকাল থেকে সন্ধা অবধি শুধু পানাহার বন্ধ রাখবে? তারাবিহ পড়বে এবং কোরআন তেলাওয়াত করবে? এবং রমযান শেষে মহা ধুমধামে ঈদ উদযাপন করবে? কত হাজার মাইল পথ চললো সেটিই কি পথিকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ? বরং গুরুত্বপূর্ণ হলো, সে তার কাঙ্খিত লক্ষ্যে আদৌ পৌঁছলো কিনা। রোযার মূল লক্ষ্য, তাকওয়া অর্জন। মহান আল্লাহতায়ালা সে লক্ষ্যটি ব্যক্ত করেছেন এভাবেঃ ‘‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হয়েছে, যেরূপ ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার।’’ (সুরা বাকারা, আয়াত ১৮৩)। উপরুক্ত আয়াতে সুস্পষ্ট করা হয়েছে,তাকওয়া অর্জনই রোযার মূল কথা। এক মাসের রোযায় রোযাদারের জীবনে কতটা তাকওয়া সৃষ্টি হলো তা থেকেই সেটিই রোযার সফলতা মাফকাঠি। আগুনের উত্তাপ যেমন প্রকাশ পায়,তেমনি প্রকাশ পায় তাকওয়ার উত্তাপও। সে উত্তাপে মানুষ মহামানবে পরিণত হয়। এমন মহাব মানবদের সংখ্যাবৃদ্ধিতে দেশ তখন ধর্মকর্ম, নেককর্ম, শিক্ষাদীক্ষা, মানবতা ও উচ্চতর সংস্কৃতিতে এক মহান সভ্যতা গড়ে তোলে। যেমনটি হয়েছিল সাহাবায়ে কেরামদের আমলে। অপর দিকে যে মুসলিম দেশ দুর্বৃত্তিতে বিশ্ব রেকর্ড গড়ে, তখন কি বুঝতে অসুবিধা হয় সে দেশে মসজিদ-মাদ্রাসা ও রোযাদারের সংখ্যা বাড়লেও মানুষের তাকওয়া বাড়েনি। এবং তাদের জীবনে রোযাও সফল হয়নি।