***যে ব্যক্তি আল্লাহর পরিবর্তে এমন বস্তুর পূজা করে, যে কেয়ামত পর্যন্তও তার ডাকে সাড়া দেবে না, তার চেয়ে অধিক পথভ্রষ্ট আর কে? তারা তো তাদের পুজা সম্পর্কেও বেখবর।*****আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই, তিনি চিরঞ্জীব, সবকিছুর ধারক। *** ওই ঈমানদারদের সাথে তাদের শত্রুতার এ ছাড়া আর কোন কারণ ছিল না যে তারা সেই আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছিল, যিনি মহাপরাক্রমশালী এবং নিজের সত্তায় নিজেই প্রশংসিত – (আল বুরুজ-৮) || যারা মুমিন পুরুষ ও নারীদের ওপর জুলুম - নিপীড়ন চালিয়েছে ,তারপর তা থেকে তওবা করেনি, নিশ্চিতভাবেই তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আযাব এবং জ্বালা - পোড়ার শাস্তি – (আল বুরুজ-১০) || যারা ঈমান এনেছে ও সৎকাজ করেছে নিশ্চিতভাবেই তাদের জন্য রয়েছে জান্নাতের বাগান যার নিম্নদেশে প্রবাহিত হতে থাকবে ঝরণাধারা৷ এটিই বড় সাফল্য – (আল বুরুজ-১১) || এই ওয়েবসাইট সম্পর্কে আপনার মতামত ও গঠনমূলক সমালোচনা জানিয়ে ই-মেইল করুন। *** হে আল্লাহ,আমাদেরকে তোমার সত্যের পথে পরিচালিত কর। আমাদের সম্মুখে তোমার পথ সহজ ও সরল করে দাও। আমীন...!

জামায়াত





                                                   








আল্লাহর কসম! জামাত শিবির সফল হয়েছে।

মানুষেরা কি মনে করেছে যে, আমরা ঈমান এনেছি এ কথা বললেই তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হবে এবং কোন পরীক্ষা করা হবে না? অথচ আমি তাদের পূর্ববর্তীদেরকে পরীক্ষা করেছি। ঈমানের দাবীতে কারা সত্যবাদী আর কারা মিথ্যেবাদী আল্লাহ অবশ্যই তা জেনে নেবেন। (আনকাবুত-২,৩)
কোন বিপদ কখনো আসে না আল্লাহর অনুমতি ছাড়া, যে আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে তিনি তার অন্তরকে সুপথে পরিচালিত করেন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সম্যক অবগত। (তাগাবুন-১১)
ভালো ছাত্র কি কখনো পরীক্ষা পিছানোর দাবী তোলো? মোটেই না বরং ভালো ছাত্ররা প্রতিক্ষায় থাকে অমন মাহেন্দ্রক্ষণের, নিজের যোগ্যতাকে মেলে ধরার, নিজের মেধাকে শ্রেষ্ঠ বলে প্রমাণের অমন সুযোগের হাতছাড়া করে না কিছুতেই। পরীক্ষা দেখে ভয়ে কাঁপে নপুংশকের দল, নকলবাজের দল, কুলাঙ্গার ছাত্রের দল। জামাত-শিবিরের সামনে আজ এসেছে সেই দিন, এখনই সময় ঈমানের পরীক্ষায় সফল হওয়ার, এখনই সময় ইসলামী আন্দোলনের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের।
মায়ের কাছে কে সবচেয়ে আপন? কার দুঃখে হৃদয় কাঁচের মতো ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে ঝরে যায়? কার মুখের দিকে চেয়ে চেয়ে পৃথিবীর সব দুঃখ কষ্ট, মৃত্যু যন্ত্রণা ভুলে থাকা যায়? অথচ সেই সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখাতে কি পাশবিক কষ্ট সইতে হয় দিনের পর দিন মাসের পর মাস মাকে। দশ মাস দশদিন শেষে যে মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটফটিয়ে সন্তানকে বুকে টেনে নেন মা, প্রসব বেদনার ভয়ে মা হওয়ার স্বপ্ন কি বিসর্জন দেয় কোন মা? পৃথিবীর কোন মা কি চান বঞ্চিত হতে মাতৃত্বের স্বাদ থেকে? বরং সন্তান প্রসবে প্রাণ দিয়ে ভালোবাসার গান গেয়ে যান তারা। সে মায়ের কসম, ঈমানের দৃপ্ত শপথে এগিয়ে চলো পরীক্ষার দিকে, সাফল্য তোমাদেরই।
যে ইসলামী আন্দোলনকে ভালোবেসে ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ে শহীদ হলেন আবদুল মালেক, যে পথে নেতৃত্ব দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাব্বির, হামিদ, আউয়ুব, জব্বার, শহীদ হয়েছেন শরীফুজ্জামান নোমানী, হাফিজুল ইসলাম শাহীনের মতো সূর্যসেনার* দল, সে পথে চলতে তবে কিসের ভয়? জেল-জুলুম হুলিয়া হৃদয় কাঁপিয়ে দিতে পারে চোর-ছ্যাচোর আর সন্ত্রাসী জানোয়ারদের, ইসলামী আন্দোলনের কর্মীকে দমাতে পারে এমন নির্যাতনের কৌশল রেখে যেতে পারে নি হিটলার, চেঙ্গিস, ফেরাওন নমরুদের মতো পিশাচের দল। চেয়ে দেখ শহীদ হাফিজুল ইসলাম শাহীনের গর্বিত বাবার দিকে, ঈমানে ঈমানে ফুলে উঠেছে তার বুক। তাহলে কিসের ভয় আল্লাহর সৈনিকের, কিসের ভয় তবে জান্নাতের উত্তরাধিকারীদের। তোমাদের অপরাধ তো এ ছাড়া আর কিছু নয় যে, “তোমরা বল, আল্লাহ আমার প্রভূ, রাসূল (সাঃ) আমাদের নেতা, কুরআন আমাদের সংবিধান”।
আল্লাহর কসম! জামাত শিবির সফল হয়ে গেছে। সফলই যদি না হবে তবে কেন এত যুলুম, শোষণ, নির্যাতন। নির্যাতন ছাড়া জান্নাতের সুবাতাস পেয়েছে কবে কোন কালে, কতজন সৌভাগ্যবান? ভয় কি তবে তোমার, দৃঢ় শপথে এগিয়ে চল, মাথা উঁচু করে ঢুকে পড়ো জেলখানা নামের পরীক্ষার হলে, বুক ফুলিয়ে বরণ করে নাও সকল নির্যাতন। তোমরাই প্রথম নও, তোমাদের আগে আগে চলেছেন লাখো শহীদী মিছিল। জেনে রাখ, তোমাদের বরণ করার অপেক্ষায় পৃথিবীর সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ মানবেরা, যাদের হৃদয় কানায় কানায় পূর্ণ ভালোবাসায়।







 যুদ্ধাপরাধ বিচারে  অধ্যাপক গোলাম আযমের সাক্ষাৎকার






 শীর্ষ নেতৃবৃন্দের প্রোফাইলগুলো দেখতে এখানে ক্লিক করুন