ইবাদত লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ইবাদত লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

রবিবার, ২৬ জুন, ২০১৬

মুসলিম জীবনে রোযার সফলতা কতটুকু?

কতটুকু অর্জিত হচ্ছে তাকওয়া?
রোযার লক্ষ্য কি শুধু এটুকু, রোযাদার ব্যক্তিটি সকাল থেকে সন্ধা অবধি শুধু পানাহার বন্ধ রাখবে? তারাবিহ পড়বে এবং কোরআন তেলাওয়াত করবে? এবং রমযান শেষে মহা ধুমধামে ঈদ উদযাপন করবে? কত হাজার মাইল পথ চললো সেটিই কি পথিকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ? বরং গুরুত্বপূর্ণ হলো, সে তার কাঙ্খিত লক্ষ্যে আদৌ পৌঁছলো কিনা। রোযার মূল লক্ষ্য, তাকওয়া অর্জন। মহান আল্লাহতায়ালা সে লক্ষ্যটি ব্যক্ত করেছেন এভাবেঃ ‘‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হয়েছে, যেরূপ ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার।’’ (সুরা বাকারা, আয়াত ১৮৩)। উপরুক্ত আয়াতে সুস্পষ্ট করা হয়েছে,তাকওয়া অর্জনই রোযার মূল কথা। এক মাসের রোযায় রোযাদারের জীবনে কতটা তাকওয়া সৃষ্টি হলো তা থেকেই সেটিই রোযার সফলতা মাফকাঠি। আগুনের উত্তাপ যেমন প্রকাশ পায়,তেমনি প্রকাশ পায় তাকওয়ার উত্তাপও। সে উত্তাপে মানুষ মহামানবে পরিণত হয়। এমন মহাব মানবদের সংখ্যাবৃদ্ধিতে দেশ তখন ধর্মকর্ম, নেককর্ম, শিক্ষাদীক্ষা, মানবতা ও উচ্চতর সংস্কৃতিতে এক মহান সভ্যতা গড়ে তোলে। যেমনটি হয়েছিল সাহাবায়ে কেরামদের আমলে। অপর দিকে যে মুসলিম দেশ দুর্বৃত্তিতে বিশ্ব রেকর্ড গড়ে, তখন কি বুঝতে অসুবিধা হয় সে দেশে মসজিদ-মাদ্রাসা ও রোযাদারের সংখ্যা বাড়লেও মানুষের তাকওয়া বাড়েনি। এবং তাদের জীবনে রোযাও সফল হয়নি।

বুধবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১২

আল্লাহর শপথ আমি নামাজ পড়তাম . . .

আল্লাহর শপথ আমি নামাজ পড়তাম . . . . . . ( এই প্রবন্ধটি পড়ে চোখের পানি ধরে রাখতে পারি নাই )

এটি একটি সচিত্র সত্যি ঘটনা যা আপনার জীবন, আপনার চিন্তা ধারা ও জীবনের উদ্দেশ্য বদলে দিতে পারে।

ঘটনাটি বাহরাইনের ইব্রাহিম নাসের নামের এক যুবকের। সে জন্মগতভাবেই পক্ষাঘাতগ্রস্ত, শুধু তার আঙ্গুল ও মাথা নাড়াতে সক্ষম। এমনকি তার নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের জন্যও তাকে যন্ত্রপাতির সাহায্য নিতে হয়।

এই যুবকটির একটি আকাঙ্ক্ষা ছিল একদিন শেইখ নাবীল আল আওদির সাথে দেখা করার। এইজন্য ইব্রাহীমের বাবা শেইখের সাথে ফোনে আলাপ করলেন ইব্রাহীমের সাথে তার সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা যায় কিনা। 

==> রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,
দুটি নিয়ামত এমন আছে, যে দুটোতে অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। তা হল সুস্থতা আর অবসর। (সহীহ বুখারী ৫৯৭০, ইফা)

ইনি শেইখ নাবীল। ইব্রাহীম শেইখ নাবীলকে তার ঘরের দরজা খুলে ঢুকতে দেখে কি ভীষণ খুশী হয়ে গেল! আমরা তার আনন্দের বহিঃপ্রকাশ তার চেহারাতেই দেখতে পাবো কারণ সে কথা বলে বোঝাতেও অক্ষম। 

এভাবে শেইখ নাবীল আর ইব্রাহীম আলাপ করলেন ইন্টারনেটে ইসলামের দাওয়াত এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় প্রচেষ্টার ব্যপারে। তারা কিছু ঘটনাও আলোচনা করলেন।
এবং তাদের আলাপচারিতার মাঝে শেইখ নাবীল ইব্রাহীমকে একটি প্রশ্ন করলেন। যে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে ইব্রাহীম কেঁদে ফেললেন, তার গাল বেয়ে অশ্রুধারা গড়িয়ে পড়ল।
ইব্রাহীম না কেঁদে পারলেন না যখন তার কিছু বেদনাদায়ক স্মৃতি মনে পড়ল।

আপনি কি জানেন কি ছিল সেই প্রশ্ন যা ইব্রাহীমকে কাঁদিয়ে দিল?

শেইখ জিজ্ঞেস করেছিলেনঃ আচ্ছা ইব্রাহীম, আল্লাহ যদি তোমাকে সুস্থ করতেন...তাহলে তুমি কি করতে?

আর তখন ইব্রাহীম এমনভাবে কাঁদলেন যা শেইখ, ইব্রাহীমের বাবা, তার চাচা এবং ঘরের প্রত্যেককে কাঁদিয়ে দিল...এমন কি ক্যামেরাম্যানকেও।

তার উত্তর ছিলঃ আল্লাহর শপথ, আমি তাহলে আনন্দের সাথে মসজিদে যেয়ে আমার নামাজ পড়তাম। আমি আমার সুস্বাস্থ্যের নেয়ামত এমন প্রতিটি কাজে ব্যবহার করতাম যা আল্লাহকে সন্তুষ্ট করতে পারে।

প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে কর্মশক্তি ও সুস্বাস্থ্যের নেয়ামত দিয়ে রহমত করেছেন।

কিন্তু আমরা মসজিদে যেয়ে নামাজ পড়ি না !!! অথচ আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা কম্পিউটার অথবা টিভির সামনে বসে সময় কাটিয়ে দেই।

==> “এতে উপদেশ রয়েছে তার জন্য যার আছে অন্তঃকরণ অথবা যে শ্রবণ করে একাগ্রচিত্তে।” (সূরা ক্বাফঃ ৩৭)

আল্লাহ যেন আমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করেন আর সেই পথে আমাদের দৃঢ় রাখেন। আমীন।

'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'।
মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]

{{ ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহিত}}
আল্লাহর শপথ আমি নামাজ পড়তাম . . . . . . ( এই প্রবন্ধটি পড়ে চোখের পানি ধরে রাখতে পারি নাই )

এটি একটি সচিত্র সত্যি ঘটনা যা আপনার জীবন, আপনার চিন্তা ধারা ও জীবনের উদ্দেশ্য বদলে দিতে পারে।

ঘটনাটি বাহরাইনের ইব্রাহিম নাসের নামের এক যুবকের। সে জন্মগতভাবেই পক্ষাঘাতগ্রস্ত, শুধু তার আঙ্গুল ও মাথা নাড়াতে সক্ষম। এমনকি তার নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের জন্যও তাকে যন্ত্রপাতির সাহায্য নিতে হয়।

শনিবার, ১৩ আগস্ট, ২০১১

মুসলমানদের ১৫ টি প্রশংসনীয় চারিত্রিক গুণাবলী


ইসলামী চরিত্রের মৌলিক বিষয়সমূহ

১ সত্যবাদিতা:

আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের যে সকল ইসলামী চরিত্রের নির্দেশ দিয়েছেন, তার অন্যতম হচ্ছে সত্যবাদিতার চরিত্র। আল্লাহ তাআলা বলেন,

হে ঈমানদারগণ আল্লাহকে ভয় কর এবং তোমরা সত্যবাদীদের সাথী হও। সূরা আত-তাওবাহ : ১১৯

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,

তোমরা সততা অবলম্বন গ্রহণ কর, কেননা সত্যবাদিতা পুণ্যের পথ দেখায় আর পূণ্য জান্নাতের পথ দেখায়, একজন লোক সর্বদা সত্য বলতে থাকে এবং সত্যবাদিতার প্রতি অনুরাগী হয়, ফলে আল্লাহর নিকট সে সত্যবাদী হিসাবে লিপিবদ্ধ হয়ে যায়। মুসলিম 

বুধবার, ১৫ জুন, ২০১১

নামাযের ফযীলতে ২৫টি সুসংবাদ

  1. ছালাত সর্বোত্তম আমল: রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে প্রশ্ন করা হল কোন আমলটি সর্বোত্তম? তিনি বললেন, সময়মত ছালাত আদায় করা। (মুসলিম)
  2. ছালাত বান্দা এবং প্রভুর মাঝে সম্পর্কের মাধ্যম: রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমাদের কেউ যখন ছালাত আদায় করে, তখন সে তার পালনকর্তার সাথে গোপনে কথা বলে। (বুখারী)
  3. ছালাত দ্বীনের মূল খুঁটি: রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, সবকিছুর মূল হচ্ছে ইসলাম। তার (ইসলামের) মূল স্তম্ভ হচ্ছে ছালাত এবং তার (ইসলামের) সর্বোচ্চ চুড়া হচ্ছে জিহাদ। (তিরমিযী)
  4. ছালাত হচ্ছে আলোকবর্তিকা: রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ছালাত হচ্ছে (কিয়ামতের দিন বান্দার জন্য) নূর বা আলোকবর্তিকা। (মুসলিম, তিরমিযী)
  5. মুনাফেকী থেকে মুক্তি লাভের মাধ্যম হচ্ছে ছালাতঃ রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, মুনাফেকদের উপর ফজর ও এশা ছালাতের চাইতে অধিক ভারী কোন ছালাত নেই। তারা যদি জানত এ দু‘ছালাতে কত ছওয়াব রয়েছে, তবে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তাতে উপস্থিত হত। (বুখারী ও মুসলিম)

সোমবার, ৩০ মে, ২০১১

নামায : আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের উপায়

নামায একটি গঠনমূলক ইবাদাত। আল্লাহর সামনে ঐকান্তিক নিষ্ঠার সাথে কায়মনোবাক্যে নিজের সচেতন উপস্থিতি ঘোষণা করার অন্যতম একটি প্রধান ইবাদাত হলো নামায। মানুষের জীবনদৃষ্টি ও সাংস্কৃতিক উন্নতির ক্ষেত্রে নামাযের একটি মৌলিক ভূমিকা রয়েছে। এ কারণেই যারা প্রকৃত নামায আদায়কারী,তাদের সাথে অন্যান্যদের আচার-ব্যবহারগত পার্থক্য রয়েছে। এ ধরনের লোকজন মানসিক এবং আত্মিক ভারসাম্য রক্ষা করে চলে। খুব কমই তারা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যোগ দেয়। ইসলামে নামায হলো সর্বোৎকৃষ্ট ইবাদাত এবং নামাযই হলো স্রষ্টাকে অনুভব করার জন্যে মানব জাতির পক্ষে সবচেয়ে উপযোগী পন্থা বা উপায়।