মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী
আমির,বাংলাদেশ জামায়াত-ই-ইসলামী
ও সাবেক মন্ত্রী গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
দেশ সহ বিশ্বের সেরা আলেমদের একজন মওলানা মতিউর রহমান নিজামী। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইসলামী দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর তিনি। তার নামে বর্তমান জালেম তাবেদার সরকার ধর্মীয় অনুভ্থতিতে আঘাত আনার যে অভিযোগ তুলেছে তা সম্পূর্ন ভিত্তিহীন। কেননা তার জীবন পর্যালোচনা করলে এ অভিযোগটি অসামন্জস্যই মনে হয়। মওলানা মতিউর রহমান নিজামী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর নির্বাচিত হন ২০০১-২০০৩ এবং ২০০৪-২০০৬ সেশনে। তিনি ২০০৭-২০০৯ এবং ২০১০-২০১২ সেশনে পুনরায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর নির্বচিত হন । মতিউর রহমান নিজামী বাংলাদেশের মানুষের কাছে একজন আলেম,ইসলামী চিন্তাবিদ, আর্দশসংগঠক, গবেষক, সাংসদ, লেখক এবং আপসহীন ও সংগ্রামী নেতা হিসেবে পরিচিত। কিন্তু তারপরও বর্তমান ডিজিটাল সরকার তার নামে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত আনার মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার ও রিমান্ডে নিয়ে যে পরিচয় দিয়েছে তা বিবেকবান প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে আঘাত করে।
মতিউর রহমান নিজামী পাবনা জেলায় এক সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৪৩ সালের ৩১ মার্চ জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি তার প্রাথমিক শিক্ষা জীবন তার নিজ গ্রামে শুরু করেন। এরপর সাথিয়া বোয়ালমারী মাদ্রাসা হতে ১৯৫৫ সালে প্রথম শ্রেণীতে দাখিল পাস করেন এবং ১৯৫৯ সালে আলিম পরীক্ষায় পূর্বপাকিস্তান মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে ১৬তম স্থান অর্জন করেন। ১৯৬১ সালে তিনি প্রথম শ্রেণীতে ফাযিল এবং ১৯৬৩ সালে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা হতে কামিল পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। ১৯৬৭ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে তার গ্রাজুয়েশন সম্পুর্ন করেন ।
মওলানা নিজামী ইসলামিক রির্সাস একাডেমীতে ১৯৭১ সালে রিসার্স ফেলো হিসাবে কাজ শুরু করেন । এরপর কিছুদিন সাংবাদিকতা ও অনুবাদ ব্যবসার সাথে যুক্ত ছিলেন। সর্বশেষ তিনি বৃহৎ আন্দোলনের সাথে যুক্ত হন ।
মওলানা নিজামী ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের মাধ্যমে তার ছাত্ররাজনীতি শুরু করেন । ১৯৬১ সালে তৎকালীন পাকিস্তান ছাত্র আন্দোলনের সাথে যুক্ত হন। পরপর তিন বছর তিনি পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী ছাত্রআন্দোলনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এরপর দুইবার তিনি গোটা পাকিস্তান ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ।
মওলানা নিজামী ছাত্র জীবন শেষ করে বৃহৎ ইসলামী আন্দোলন জামায়াতে ইসলামী তে যোগদেন ।১৯৭৮-১৯৮২ তিনি ঢাকা মহানগরীর আমীর ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৩-১৯৮৮ পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি । ১৯৮৮ সালের ডিসেম্বরে সেক্রেটারী জেনার্যেল হিসেবে দায়িত্ব নেন এবং আমীর নির্বচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত (২০০০সাল) দায়িত্ব পালন করেন ।
তিনি গনতন্ত্রের একনিষ্ঠ অনুসারী। গতন্ত্রের জন্য ষাটের দশকে আইয়ুব সরকার বিরোধী আন্দোলন, ৬৯ এর গন অভুথানের আন্দোলন, স্বৈরাচার বিরোধী ৯০ এর আন্দোলন, তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রর্বতনের আন্দোলন সহ তিনি অন্যান্য সকল রাজনৈতিক ও গনতান্ত্রিক আন্দোলনে আপামর জনতার সাথে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করেন। অতীতের ন্যায় এখনও যখন গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শক্তিশালী করতে কাজ করে যাচ্ছেন তখনই বর্তমান বাকশালী সরকার তার নামে মিথ্যামামলা দিয়ে দেশদরদী বরন্য এ নেতার উপর জুলুম নির্যাতন চালাচ্ছে।
মতিউর রহমান নিজামী পাবনা জেলায় এক সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৪৩ সালের ৩১ মার্চ জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি তার প্রাথমিক শিক্ষা জীবন তার নিজ গ্রামে শুরু করেন। এরপর সাথিয়া বোয়ালমারী মাদ্রাসা হতে ১৯৫৫ সালে প্রথম শ্রেণীতে দাখিল পাস করেন এবং ১৯৫৯ সালে আলিম পরীক্ষায় পূর্বপাকিস্তান মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে ১৬তম স্থান অর্জন করেন। ১৯৬১ সালে তিনি প্রথম শ্রেণীতে ফাযিল এবং ১৯৬৩ সালে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা হতে কামিল পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। ১৯৬৭ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে তার গ্রাজুয়েশন সম্পুর্ন করেন ।
মওলানা নিজামী ইসলামিক রির্সাস একাডেমীতে ১৯৭১ সালে রিসার্স ফেলো হিসাবে কাজ শুরু করেন । এরপর কিছুদিন সাংবাদিকতা ও অনুবাদ ব্যবসার সাথে যুক্ত ছিলেন। সর্বশেষ তিনি বৃহৎ আন্দোলনের সাথে যুক্ত হন ।
মওলানা নিজামী ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের মাধ্যমে তার ছাত্ররাজনীতি শুরু করেন । ১৯৬১ সালে তৎকালীন পাকিস্তান ছাত্র আন্দোলনের সাথে যুক্ত হন। পরপর তিন বছর তিনি পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী ছাত্রআন্দোলনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এরপর দুইবার তিনি গোটা পাকিস্তান ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ।
মওলানা নিজামী ছাত্র জীবন শেষ করে বৃহৎ ইসলামী আন্দোলন জামায়াতে ইসলামী তে যোগদেন ।১৯৭৮-১৯৮২ তিনি ঢাকা মহানগরীর আমীর ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৩-১৯৮৮ পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি । ১৯৮৮ সালের ডিসেম্বরে সেক্রেটারী জেনার্যেল হিসেবে দায়িত্ব নেন এবং আমীর নির্বচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত (২০০০সাল) দায়িত্ব পালন করেন ।
তিনি গনতন্ত্রের একনিষ্ঠ অনুসারী। গতন্ত্রের জন্য ষাটের দশকে আইয়ুব সরকার বিরোধী আন্দোলন, ৬৯ এর গন অভুথানের আন্দোলন, স্বৈরাচার বিরোধী ৯০ এর আন্দোলন, তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রর্বতনের আন্দোলন সহ তিনি অন্যান্য সকল রাজনৈতিক ও গনতান্ত্রিক আন্দোলনে আপামর জনতার সাথে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করেন। অতীতের ন্যায় এখনও যখন গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শক্তিশালী করতে কাজ করে যাচ্ছেন তখনই বর্তমান বাকশালী সরকার তার নামে মিথ্যামামলা দিয়ে দেশদরদী বরন্য এ নেতার উপর জুলুম নির্যাতন চালাচ্ছে।
বাংলাদেশের মাদ্রাসা শিক্ষা বরাবরই অবহেলিত। অবহেলিত এ শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিকায়নে মওলানা নিজামী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ফাযিল ও কামিলডিগ্রীকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রীর সমমান করার ক্ষেত্রে তার অবদান অনস্বীকার্য।
মওলানা নিজামী পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে(১৯৯১) পাবনার সাথিয়া-বেড়া নিবাচনী এলাকা হতে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। এ সংসদে জামায়াতে ইসলামীর দলীয় প্রধান হিসেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন। এ সময় তিনি বানিজ্য ও পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসবে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন।
২০০১ সালে তিনি দ্বিতীয়বারের মত সংসদর সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি এ সময় জামায়াতে ইসলামীর সংসদীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।বানিজ্য মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় উপদেষ্টা কমিটির সদস্য, শিমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য, জাতীয় উৎপাদন পরিষদের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ মান নিয়ন্ত্রন ও পরীড়্গন ইন্সটিটিউটের চেয়ারম্যান, জাতীয় শিল্প উন্নয়ন পরিষদের নির্বাহী কমিটির আহবায়ক, বাংলাদেশ খাদ্য সংরড়্গন আøলায়েন্সের আহবায়ক, জাতীয় শিল্প উন্নয়ন পরিষদের সহ-সভাপতি, জাতীয় অর্থনীতি পরিষদের সদস্য, জাতীয় প্রশিড়্গন পরিষদের সদস্য, জাতীয় মহিলা উন্নয়ন পরিষদের সদস্য, চিনি গবেষনা ইন্সটিটিউটের সদস্য। এছাড়াও মন্ত্রী পরিষদের ক্রয়, নারী অধিকার, মাদ্রাসা শিক্ষা, আদমজী জুট মিল সংক্রান্ত কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ২০০১ সালের ১০ অক্টোবর কৃষি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং পরবর্তীতে ২০০৩ সালের ২২ মে হতে ২৮ অক্টোবর ২০০৬ সাল পর্যন্ত শিল্প মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী হিসাবে সফল ভাবে দায়িত্ব পালন করেন ।
মওলানা নিজামী ইতমধ্যে একজন স্বার্থহীন সমাজ সেবক হিসাবে সর্বজন পরিচিত। বর্তমানে তিনি সাথিয়া ইমাম হোসাইন একাডেমী, বেড়া আল ইসলাম একাডেমী, Education & Socio-Culture Advancement Trust এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পারন করছেন। তার নিজ এলাকার অন্নুত ও অবহেলিত জনপদকে আধুনিকতার ছোয়ায় একটি মডেল এলাকা হিসেবে গড়ে তোলেন। রাস্তা, মহাসড়ক, বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ ইত্যাদি নির্মান করে সাথিয়া-বেড়াকে অত্যাধুনিক এলাকায় পরিনত করেন।
মওলানা নিজামী লেখক হিসেবেও সমধিক পরিচিত। বহুল পাঠক চাহিদা সম্পূর্ন ১৯ টি বই ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। তন্মোধ্য উলেস্নখযোগ্য সাড়া জাগানো কিছু বই হলো আত্বশুদ্ধির উপায়, দ্বীন প্রতিষ্ঠার দাওয়াত, ইসলামী আন্দোলন ও সংগঠন, আলস্নাহর নৈকট্য লাভের উপায়, ইসলামী সমাজ বিপ্লব প্রভৃতি। এছাড়াও বিভিন্ন পত্রিকা, জার্নালে ইসলামী প্রযুক্তি, আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে তার অনেক লেখা প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন ইস্যুতে তার বক্তৃতা নিয়ে ইতোমধ্য প্রায় ২০ টি বই প্রকাশিত হয়েছে।
মুসলিম উম্মাহর বিভিন্ন সময়ের সংকট সমস্যা নিয়ে সৌদি আরব, বৃটেন, ফ্রান্স, জার্মানী, ইটালী, আমেরিকা, কানাডা, আরব আমিরাত, কাতার, ওমান, বাহরাইন, কুয়েত, জাপান, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, গ্রীস, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, চীন, নেপাল, থাইল্যান্ড, তুরস্ক ও ইরানের অনেক ইসলামী ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ।
মওলানা নিজামী পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে(১৯৯১) পাবনার সাথিয়া-বেড়া নিবাচনী এলাকা হতে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। এ সংসদে জামায়াতে ইসলামীর দলীয় প্রধান হিসেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন। এ সময় তিনি বানিজ্য ও পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসবে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন।
২০০১ সালে তিনি দ্বিতীয়বারের মত সংসদর সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি এ সময় জামায়াতে ইসলামীর সংসদীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।বানিজ্য মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় উপদেষ্টা কমিটির সদস্য, শিমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য, জাতীয় উৎপাদন পরিষদের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ মান নিয়ন্ত্রন ও পরীড়্গন ইন্সটিটিউটের চেয়ারম্যান, জাতীয় শিল্প উন্নয়ন পরিষদের নির্বাহী কমিটির আহবায়ক, বাংলাদেশ খাদ্য সংরড়্গন আøলায়েন্সের আহবায়ক, জাতীয় শিল্প উন্নয়ন পরিষদের সহ-সভাপতি, জাতীয় অর্থনীতি পরিষদের সদস্য, জাতীয় প্রশিড়্গন পরিষদের সদস্য, জাতীয় মহিলা উন্নয়ন পরিষদের সদস্য, চিনি গবেষনা ইন্সটিটিউটের সদস্য। এছাড়াও মন্ত্রী পরিষদের ক্রয়, নারী অধিকার, মাদ্রাসা শিক্ষা, আদমজী জুট মিল সংক্রান্ত কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ২০০১ সালের ১০ অক্টোবর কৃষি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং পরবর্তীতে ২০০৩ সালের ২২ মে হতে ২৮ অক্টোবর ২০০৬ সাল পর্যন্ত শিল্প মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী হিসাবে সফল ভাবে দায়িত্ব পালন করেন ।
মওলানা নিজামী ইতমধ্যে একজন স্বার্থহীন সমাজ সেবক হিসাবে সর্বজন পরিচিত। বর্তমানে তিনি সাথিয়া ইমাম হোসাইন একাডেমী, বেড়া আল ইসলাম একাডেমী, Education & Socio-Culture Advancement Trust এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পারন করছেন। তার নিজ এলাকার অন্নুত ও অবহেলিত জনপদকে আধুনিকতার ছোয়ায় একটি মডেল এলাকা হিসেবে গড়ে তোলেন। রাস্তা, মহাসড়ক, বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ ইত্যাদি নির্মান করে সাথিয়া-বেড়াকে অত্যাধুনিক এলাকায় পরিনত করেন।
মওলানা নিজামী লেখক হিসেবেও সমধিক পরিচিত। বহুল পাঠক চাহিদা সম্পূর্ন ১৯ টি বই ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। তন্মোধ্য উলেস্নখযোগ্য সাড়া জাগানো কিছু বই হলো আত্বশুদ্ধির উপায়, দ্বীন প্রতিষ্ঠার দাওয়াত, ইসলামী আন্দোলন ও সংগঠন, আলস্নাহর নৈকট্য লাভের উপায়, ইসলামী সমাজ বিপ্লব প্রভৃতি। এছাড়াও বিভিন্ন পত্রিকা, জার্নালে ইসলামী প্রযুক্তি, আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে তার অনেক লেখা প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন ইস্যুতে তার বক্তৃতা নিয়ে ইতোমধ্য প্রায় ২০ টি বই প্রকাশিত হয়েছে।
মুসলিম উম্মাহর বিভিন্ন সময়ের সংকট সমস্যা নিয়ে সৌদি আরব, বৃটেন, ফ্রান্স, জার্মানী, ইটালী, আমেরিকা, কানাডা, আরব আমিরাত, কাতার, ওমান, বাহরাইন, কুয়েত, জাপান, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, গ্রীস, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, চীন, নেপাল, থাইল্যান্ড, তুরস্ক ও ইরানের অনেক ইসলামী ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ।
বিভিন্ন খাতে তার অবদান অনস্বীকার্য।কয়েকটি খাতে তার অবদান সংক্ষিপ্ত আকারে নিম্নে তুলে ধরা হলো:
কৃষি মন্ত্রনালয়ে অবদান: বাংলাদেশ উন্নয়নশীল বিশ্বের একটি কৃষিপ্রধান দেশ। এদেশের শতকরা পচাশি জন লোক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষির উপর নির্ভরশীল। তাই মাওলানা নিজামী কৃষি মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব নিয়েই কৃষকদের ভাগ্যন্নোয়নে মনযোগী হন। ফসলের ন্যায্য পাওনা, উন্নত বীজ, সার, কীটনাশকসহ যাবতীয় কৃষি উপকরণের সহজলভ্যতার উপর তিনি বিশেষ গুরুত্ব দেন। তাদের যাবতীয় সমস্যা চিহৃতকরণ এবং এর সুষ্ঠু সমাধানকল্পে কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। এলক্ষ্যে তিনি মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক সফরের মাধ্যমে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মী, বিজ্ঞানী ও কৃষকদের মাঝে প্রানচাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনেন। মাওলানা নিজামী কৃষি মন্ত্রনালয় দায়িত্ব পালনকালে চাষীর বাড়ী বাগান বাড়ী শ্লোগানকে দেশব্যাপী জনপ্রিয় শ্লোগানে পরিনত করেন। তার একান্ত জ্ঞানেই দেশের প্রতিটি চাষীর বাড়িকে এক একটি বাগান বাড়ি হিসাবে গড়ে তুলে নিজেদের পুষ্টি চাহিদা পূরন বাড়তি উপার্জন এবং স্বাবলম্বিতা অর্জন সহজ হয়েছে। মাওলানা নিজামীর ব্যক্তিগত অভিপ্রায়ে দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় বৃক্ষ রোপন অভিযানে পৃথকভাবে ফলজ বৃক্ষ রোপন কর্মসূচিকে গুরুত্ব দেয়া হয়। এরপর থেকে আলাদাভাবে ফলজ বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি উদযাপন করা হয়। সরকারের একজন মন্ত্রী হিসাবে তিনি নিজে বিভিন্ন জায়গায় বৃক্ষরোপন করেন এবং অন্যানের মধ্যে বৃক্ষের চারা বিতরণ করে বৃক্ষরোপনের প্রতি মানুষের আগ্রহ বৃদ্ধির প্রয়াস চালিয়েছেন। শুধু তাই নয়, নিজে উদ্যোগি হয়ে বিভিন্ন ফল চাষ প্রকল্প ঘুরে ঘুরে দেখেছেন, জনগনকে উৎসাহ যুগিয়েছেন এবং দিক নির্দেশন দিয়েছেন। ভাত আমাদের প্রধান খাদ্য। তাই ধানের ফলন বৃদ্ধি এবং সঠিক সংরক্ষনের দিকে ছিল তার সতর্ক দৃষ্টি। ধানের প্রধান দুই শক্র ইদুর এবং কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রনে তার মন্ত্রনালয়ের পদক্ষেপ সত্যিই প্রশংসা করার মত । আন্তর্জাতিক ধান গবেষনা সম্মেলনে তার ছিলো সরব ভূমিকা। বাংলাদেশের কৃষিপন্যের সকল ক্ষেত্রেই রয়েছে মাওলানা নিজামীর সুপরিকল্পিত নির্দেশনার ছাপ। আখ, পাট, তুলা, ভূট্টা, মধু এমনকি শীতকালীন শাকসবজি পর্যন্ত তার দৃষ্টি এড়িয়ে যায়নি। উৎপাদিত কৃষি পন্যের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার সৃষ্টি এবং কৃষদের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব সৃষ্টির লক্ষ্যে আয়োজন করা হয় কৃষি মেলার। এ ক্ষেত্রেও মাননীয় কৃষিমন্ত্রী মাওলানা নিজামীর আগ্রহ চোখে পড়ার মতো। তার দিক নির্দেশনায় বরেন্ত্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম রাজশাহী, নওগা ও চাপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাড়িয়ে উত্তরাঞ্চলের অন্যান্য জেলায়ও সম্প্রসারিত হয়েছে। দেশের কৃষি উন্নয়নে মাওলানা নিজামীর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপগুলো হলো বি এ ডি সি বীজ উইং শক্তিশালী করণ, মাটিরগুনগত মান পরীক্ষাকরণ, কৃষিগবেষনা ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম পর্যালোচনা, কৃষিবিদ কৃষিবিজ্ঞানীদের যথাযথ পদোন্নতি এবং ব্লক সুপারভাইজার পদবী পরিবর্তন করে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার পদ চালু।
শিল্প মন্ত্রনালয়ে অবদান: বিগত ২০০৩ সালে ২৫শে মে কৃষিমন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব থেকে মাওলানা নিজামীকে শিল্প মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব অর্পন করা হয়। উদ্দেশ্য ভেঙেপড়া বিপর্যস্ত রাষ্ট্রীয় শিল্পখাতকে পুনরুজ্জীবিত গতিশীল ও শৃংখলা ফিরিয়ে আনা। দায়িত্ব নিয়েই মাওলানা নিজামী দেশের শিল্পক্ষেত্রে নতুন গতিসঞ্চারের প্রয়াস পান। বাংলাদেশের শিল্পখাতের সমস্যাগুলো তিনি তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা দিয়ে উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। এ সমস্যা দূরীকরণকল্পে তিনি দেশব্যাপী ক্ষুত্র ও মাঝারি শিল্পের দ্রুত বিকাশের লক্ষে পৃথক শিল্পনীতি প্রনয়ন করেন । এ নীতি প্রনয়নকালে বেসরকারী খাতের উদ্যোক্তা ও সংগঠন, উন্নয়ন সহযোগী, সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধি এবং বিশেষজ্ঞদের সাথে মত বিনিময় করা হয়। নতুন শিল্পনীতি ২০০৫ সালে ৩২টি শিল্পকে থ্রাস্ট সেক্টর হিসাবে চিহৃত করে সেগুলোর মানোন্নয়নে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। দেশের সামগ্রিক শিল্পখাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে সার্বিক দিক নির্দেশনা প্রদানের জন্য মাননীয় শিল্পমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একটি দিকনির্দেশনা কমিটিও গঠন করা হয়। প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর এ কমিটি বৈঠকে মিলিত হয়ে সরকারী ও বেসরকারী খাতে বিরাজমান সমস্যা সমাধান কল্পে বাস্তবসম্মত কর্মপন্থা ও সুপারিশমালা প্রনয়নের কাজ করে চলেছে। ২০০১-০২ অর্থ বছরে যেখানে জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ছিল ১৫.৭৬% ভাগ, সেখানে ২০০৪-০৫ অর্থবছরে তা বেড়ে দাড়িয়েছিল ১৬.৫৮% ভগে। একই বছরে শিল্পখাতে প্রবৃদ্ধিরহার ছিল ৬.৪৪% ভাগ যা ২০০৫ সালে এসে দাড়িয়েছিল ৭.৪৮% ভাগে। এ থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে তার যোগ্য নেতৃত্বে দেশের শিল্পভিত্তি ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে । চারদলীয় জোট সরকারের আমলে মাওলানা নিজামীর দায়িত্বাধীন শিল্পমন্ত্রনালয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যা দেশের শিল্পাঙ্গনে নতুন প্রান স্পন্দন সৃষ্টি করেছিল। দেশে মিশ্রসারের চাহিদা মেটাতে চট্টগ্রামে দৈনিক ৮০০মে: টন উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন ডাই-এ্যামোনিয়াম ফসফেট ডিপিএ-১ ও ডাই-এ্যামোনিয়াম ফসফেট ডিপিএ-২ নামে দুইটি নতুন সার কারখানা স্থাপন করা হয়। বিভিন্ন কর্পোরেশনের আওতায় সম্ভাবনাময় বন্ধ শিল্পসমূহ পূনরায় চালু করার ব্যাপারে মাওলানা নিজামীর দৃষ্টিভঙ্গি ছিলো অত্যন্ত ইতিবাচক। তারই ঐকান্তিক ইচ্ছা ও প্রানান্তকর প্রয়াসে কর্ণফুলী পেপার মিলের বন্ধকৃত কস্টিক ক্লোরিন প্লান্ট, খুলনা হার্ডবোর্ড মিল এবং রংপুর সুগার মিল পুনরায় চালু করা সম্ভব হয়েছে। ফলে তখন এ ২টি বৃহৎ প্রতিষ্ঠানই লাভজনক অবস্থায় পরিচালিত হয়। এই লাভ ধরে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন দীর্ঘ ১০ বছরের মধ্যে ২০০৫-০৬ আখ মাড়াই মৌসুমে মাওলানা নিজামী মন্ত্রী থাকাকালে প্রথম বারের মতো ৭০ কোটি টাকা মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হয়। ঢাকা মহানগরীর পরিবেশ উন্নয়নের জন্য হাজারীবাগে অবস্থিত ট্যানারি শিল্পকে সাভারে নতুন স্থাপিত চামড়া শিল্পনগরীতে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন চলছে। এছাড়া ফার্মাসিউটিকেল ইন্ডাস্ট্রি, প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রি ও অটোমোবাইল ওয়ার্কশপের জন্য পৃথক শিল্পনগরী গড়ে তোলার কার্যক্রম হাতে হয়েছে। লবন আমাদের দৈনন্দিন ভোগ্যপন্যের একটি অপরিহার্য উপদান। দেশে মোট সাড়ে ১১ লাখ মে:টন লবনের চাহিদা থাকলেও বিগত ২০০৫-০৬ উৎপাদন মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে ১৫ লাখ ৭৫ হাজার মে:টন লবন উৎপাদিত হয়েছে যা এ যাবত কালের সর্বোচ্চ রেকড। নি:সন্দেহে এ অর্জন মাওলানা নিজামীর সঠিক দিক নির্দেশনার ফসল। এ ছাড়াও বিগত ২০০৫-০৬ অর্থ বছরে শিল্প মন্ত্রনালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ ক্যামিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন এবং বাংলাদেশ স্টিল এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন তাদের উৎপাদন লক্ষমাত্রা অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছে। মাওলানা নিজামীর দায়িত্বাধীন শিল্পনালয়ের আরও কিছু উল্লেখযোগ্য অর্জন হলো বিসিকের মাধ্যমে ১লক্ষ ৩২ হাজার ৩৭৫ জন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, বি এস টি আই এর আধুনিকায়ন, ফুড ফর্টিকিফকেশন এলায়েন্স গঠন, ন্যাশনাল এক্রিডিটেশন এবো গঠন ইত্যাদিজাতীয় মেধা সম্পদের অধিকার সংরক্ষন শিল্পের ব্যাপারে আমীরে জামায়াতের বক্তব্য ছিলো অত্যন্ত সুস্পষ্ট এভাবে মন্ত্রী হিসাবে মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী প্রতিটি ক্ষেত্রেই সততা দক্ষতা ও আন্তরিকতার পরিচয় দিয়েছে। মন্ত্রনলয়ের দায়িত্ব পালন কালে তার দরদী মন ও সুন্দর আচরণ আজো স্মরণ করেন কর্মকর্তা কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট সকলে।
মাওলানা নিজামীর নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন: জাতীয় ও আন্তজাতিক পর্যায়ের নানামুখী ব্যস্ততার পরও মাওলানা নিজামী তার নিজ এলাকা সাথিয়া বেড়া থেকে এতটুকু বিমুখ হননি। সাথিয়া বেড়াবাসীর নন্দিত নেতা তিনি। এ এলাকার জনগন তাকে তাদের এযাবতকালের শ্রেষ্ঠ নেতা হিসাবে গ্রহন করেছে। উন্নয়নের দিক থেকে পিছিয়ে পড়া সাথিয়া বেড়া তথা পাবনাবাসীদের নিকট তিনি কর্মনিষ্ঠা, সততা আর দক্ষতার মূর্ত প্রতিক। এমন কি প্রাকৃতিক দূর্যোগকে উপেক্ষা করেও তিনি তার কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন। জনাব নিজামী বিশ্বাস করেন যে যোগাযোগ ব্যবস্থা তথা রাস্তাঘাঠ ও ব্রীজ কালভার্টের উন্নয়ন যে কোন এলাকার উন্নয়নের পূর্বশর্ত। তাই তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরই সাথিয়া বেড়ার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের দিকে নজর দেন। জোট সরকারের আমলে তিনি ১৮৫ কি মি সড়ক পাকা করেছেন। পৌরসভার প্রায় প্রতিটি রাস্তাই সংস্কার ও উন্নয়নের ছোয়া পেয়েছে। আজ সাথিয়া বেড়া কোন অনুন্নত এলাকার নাম নয় একটি সম্ভবনার নাম। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি কাজ হলো শালগড় ঈদগাহ মাঠ হতে কালাইচড়া আব্দুল হামিদের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা, ভবানিপুর থেকে শালগড় ঈদগাহ মাঠ পর্যন্ত সড়ক, বেড়া ডাকবাংলো থেকে সাথিয়া হয়ে মাধবপুর বিশ্বরোড পর্যন্ত সড়ক, দেবিপুর তেবাডয়া বাজার থেকে স্বরগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত সড়ক, মাধবপুর বিশ্বরোড় হতে দবিরশেখের বাড়ি হয়ে আবু বকর সিদ্দিকের বাড়ি সড়ক, নওয়ানী ফয়জের বাড়ী হতে ফজলুল হকের বাড়ি, হতে ঈদগাহ মাঠ সড়ক হতে নাটিয়া বাড়ী বিশ্বরোড পর্যন্ত রাস্তা মেরামত, আফড়া তমিন সরকারের বাড়ির ব্রীজ, হাজরাতলা বটগাছ মোড় হতে ভুলবাড়িয়া ইউপি অফিস সড়ক, নাড়িয়া গদাই থেকে জোড়গাছা সড়কে ইছামতি নদীর উপর ব্রীজ নির্মান, হলুদঘর থেকে গোপালপুর সড়কে ইছামতি নদীর উপর ব্রীজ নির্মান, সোনাতলা ইছামতি নদীর উপর ব্রীজ, ভুলবাড়িয়া হতে হাট বাড়িয়া সড়কে ইছামতি নদীর উপর ব্রীজ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এছাড়া আরো অনেক সড়ক তার প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে সংস্কার বা মেরামত করা হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি অবকাঠামোগত আরও অনেক উন্নয়ন মাওলানা নিজামীর হাত ধরেই হয়েছে। জাতির মেরুদন্ড শিক্ষা বিস্তারে মাওলানা নিজামীর রয়েছে অনন্য অবদান। বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে সাথিয়া বেড়া অঞ্চলের ১০টি মাদ্রাসার এম পিও ভুক্ত বাতিল করা হয়। জোট সরকার ক্ষমতা নেয়ার পরপরই তা পূর্ণবহাল করা হয়। তারপ্রত্যক্ষ আনুকূল্যে এখানকার বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উন্নয়নের সোপান খুজে পেয়েছে। এর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো : সাথিয়া ডিগ্রী কলেজ, আল হেরা একাডেমী, ইমাম হোসেন একাডেমী, নাকালিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাকালিয়া বাতেনিয়া দাখিল মাদ্রাসা, বেড়া আলিম মাদ্রাসা, হুইখালি বাংলা উচ্চবিদ্যালয়, সাথিয়া যশোমন্ত দুলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিষ্মুবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, খলিশাখালি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পীরহাটিসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আলোকদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরপাইরহাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিলন্দা উচ্চ বিদ্যালয়, পাথাইলহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাগডেমরা ১নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাথিয়া ডিগ্রী কলেজ, বোয়াইলমারী কামিল মাদ্রাসা, সাথিয়া পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মনজুর কাদের মহিলা কলেজ, বেড়া আল হেরা একাডেমী, বেড়া ডিগ্রী কলেজ, বেড়া আলিম মাদ্রাসা, বেড়া বি বি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ইত্যাদি। আমাদের দেশের জনগোষ্ঠিকে জনসম্পদে পরিনত করতে হলে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই এ কথাটি তিনি যথাথই উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন বা উন্নয়নই নয়, ছাত্র ছাত্রীদেরকে শিক্ষার প্রতি আগ্রহী করে তোলার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচিতেও মনোনিবেশ করেন। এর মধ্যে কৃতি ছাত্রদের সংবর্ধনা, পুরস্কার প্রদান, বৃত্তি প্রদান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি প্রদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। জনাব নিজামীর প্রত্যক্ষ উদ্যোগ ও অর্থানুকূল্যে সাথিয়া বেড়া উপজেলায় বাস্তবায়িত আরো কিছু উন্নয়ন প্রকল্প হচ্ছে : মসজিদ মন্দিরসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মান, উন্নয়ন ও অর্থায়ন, বিদ্যুতায়ন, বৃক্ষরোপন, স্বস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে স্বাস্থ কমপ্লেক্স নির্মান ও উন্নয়ন। আমরা জানি, বাংলাদেশে বিপুল সম্ভাবনার পাশাপাশি দুষ্ট ক্ষতের ন্যায় কিছু প্রাকৃতিক দুযোগও রয়ে গেছে। এর মধ্যে বন্যা, ঝড়, জলোচ্ছাসই প্রধান। সাথিয়া বেড়া বা পাবনাও এ থেকে মুক্ত নয়। বেড়াকে যমুনা নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষার জন্য তার আন্তরিক প্রয়াস সবার প্রসংশা অর্জন করেছে। বেড়া পানি উন্নয়ন বোডের অধীনে যমুনার পশ্চিম তীর সংরক্ষন প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। সে কাজে ব্যয় নিরুপন করা হয়েছে ২৫০,০০,০০০/= টাকা। ফলে কৃষকরা আগে যেখানে বছরে একটি মাত্র মৌসুমে ফসল পেত সেখানে এখন তিনটি ফসল ফলানো সম্ভব হবে। বিগত বন্যায় অসহায় মানুষ তাকে যেভাবে কাছে পেয়েছে তাতে তিনি তাদের চোখের মনিতে পরিনত হয়েছেন। জীবনের ঝুকি অগ্রাহ্য করে তিনি নিজে ঘুরে ঘুরে দেখছেন বন্যার্তদের অবস্থা। তাদের মাঝে বিতরণ করেছেন চাল ডালসহ খাদ্রদ্রব্য, পরিধেয় বস্ত্রাদি এমন কি জীবন রক্ষাকারী ঐষধও। বক্তৃতা বিবৃতির মাধ্যমে চেষ্টা করেছেন জনগনের মনে সাহস সঞ্চার করার। শুধু এখানেই নয়, দূর্যোগ পরবর্তী সময়ে ক্ষতিগ্রস্থরা যাতে আবার দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে তারজন্য নগদ অর্থ, ঢেউটিন বিতরণ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছেন।
আন্তজার্তিক অঙ্গনে নিজামীর বিদেশ সফর: মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী বিশ্বের প্রায় ২৪টির মত দেশ ভ্রমন করেন। তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, ইসলামী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণে বিদেশ সফর করেন। এসব সফরে তিনি রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক ইসলামী নেতৃবৃন্দের সাথে একান্ত বৈঠকে মিলিত হন। তিনি গ্রেট বৃটেন, আমেরিকা, ফ্রান্স, গ্রীস, জার্মানী, কানাডা, সৌদি আরব, আরব-আমীরাত, কাতার, ওমান, বাহরাইন, কুয়েত, সিংগাপুর, মালয়েশিয়া, জাপান, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, নেপাল প্রতৃতি দেশ সফর করেন। তিনি বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক ফোরামের নেতৃবৃন্দ এবং তাদের কল্যানমুখী কর্মসূচিরর সাথে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বমানবের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছেন। মুসলিম বিশ্বের বর্তমান দূরবস্থা উত্তরনে আমীরে জামায়াতের চিন্তাধারা সত্যিই বাস্তব সম্মত।
জাতীয় সংসদে মাওলানা নিজামী: মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ১৯৯১ সালে পাবনা-১ (সাথিয়া-বেড়া) নির্বাচনী এলাকা থেকে ৫ম জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে তিনি পুনরায় একই এলাকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। জাতীয় সংসদে গঠনমূলক ও ভারসাম্যপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য তিনি বাংলাদেশের সংদসদীয় রাজনীতিতে স্মরনীয় হয়ে থাকবেন। বিভিন্ন ইস্যুতে জাতীয় সংসদে মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর যুক্তি ও তথ্য ভিক্তিক বক্তব্য সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তিনি একজন দক্ষ পার্লামেন্টারিয়ান হিসেবে দেশবাসীর নিকট খ্যাতি লাভ করেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে তিনি পার্লামেন্টে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করেন। তার বুদ্ধিদৃপ্ত, তথ্য, যুক্তি ও সময়োপযোগী বক্তব্য পার্লামেন্টে সকলের সমর্থন লাভ করে। এ সময় তিনি জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সংসদীয় দলনেতার দায়িত্ব পালন করেন।
বাবরী মসজিদ প্রসংগ: ১৯৯২ সালের ৬ই ডিসেম্বর উপমহাদেশের অত্যন্ত প্রাচীন বাবরী মসজিদ ভেংগে দেয়া হয়। ভারতে বাবরী মসজিদ ভাংগার প্রতিবাদে সারা দুনিয়াব্যাপী মুসলমানরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। মসজিদ ভাংগার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। ১২ কোটি তৌহিদী জনতার পক্ষ থেকে এদেশের বৃহত্তম ইসলামী সংগঠন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সংসদীয় দলের নেতা হিসেবে মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ৫ম জাতীয় সংসদে বাবরী মসজিদের উপর আলোচনার জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। প্রথমে সরকারী দল ও বিরোধী দল আলোচনার প্রস্তাবে রাজী হয়নি। কিন্তু জামায়াতে ইসলামীর সংসদীয় দলের চাপে অবশেষে সংসদে বাবরী মসজিদ প্রসংগ আলাচনার জন্য উ==পিত হয়। মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী বাংলাদেশের ১২ কোটি তৌহিদীজনতার পক্ষ থেকে জাতীয় সংসদে বাবরী মসজিদ প্রসংগে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। মাওলানা নিজামী মসজিদ ভাংগার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করে বলেন, বাবরি মসজিদ নিছক একটি মসজিদ নয়, ইসলামী আদর্শের, ইতিহাস, ঐতিহ্যের এবং সভ্যতার একটি বিরল প্রতীক এটি। তাই বাবরী মসজিদ ধ্বংস করে দেয়া সাধারণ কোন ব্যাপার নয়। এটাকে বিবেচনা করতে হবে আদর্শের উপর আঘাত, ইতিহাসের উপর আঘাত, একটি সভ্যতার উপর আঘাত, একটি ঐতিহ্যের উপরে আঘাত হিসাবে। গোটা বিশ্ব আজ এই কার্যক্রমের নিন্দা করছে। বাংলাদেশের দলমত নির্বিশেষে ১২ কোটি মানুষ এর নিন্দা করছে। সেই ১২ কোটি মানুষের এই সংসদ এ বিষয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে একটি নিন্দা প্রস্তাব নেবে এটাই জাতির প্রত্যাশা। মাওলানা নিজামী ভারতীয় মুসলমানদের নিরাপত্তা বিধান ও মুসলিম জাতিসত্ত্বা বিনাশের চক্রান্ত রুখে দাড়ানোর আহবান জানিয়ে জাতীয় সংসদে তার বক্তব্যে বলেন, বাবরী মসজিদের ঘটনা নিছক একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এর সাথে আরো অনেক কিছু জড়িত আছে। আমি মনে করি, শুরু থেকে সর্বভারতীয় জাতীয়তাবাদের অনুসারী বর্ণ হিন্দুবাদের যে রাজনৈতিক লক্ষ্য দৃষ্ট হচ্ছে এ বাবরী মসজিদ ভাংগা তারই একটা প্রকাশ ছাড়া আর কিছু নয়। বাবরী মসজিদ ভাংগার একেবারেতা তাৎক্ষণিক লক্ষ্য হচ্ছে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন বানচাল করা এবং সার্ককে অকার্যকর করা। কারণ সার্ক এর অস্তিত্ব ভারতের আধিপত্যবাদী, আগ্রাসী ও সম্প্রসারণবাদী চরিত্র তথা মানসিকতার পথে একটা বড় বাধা। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দেশগুলো একত্রিত হয়ে ভারতের পাশাপাশি এক টেবিলে বসার সুযোগ আধিপত্যবাদী মানসিকতা চিরতার্থ করার পথে একটি বড় অন্তবায়। তাই ভারত সার্ককে মন থেকে চায় না। মাওলানা নিজামী জাতীয় সংসদে প্রদত্ত ভাষণে ভারতের মুসলিম জাতিসত্ত্বা ধ্বংসের সর্বনাশা পরিকল্পনা, আওয়ামী লীগ কর্তৃক সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি দখল ও আওয়ামী লীগের ভারতপ্রীতির সুস্পষ্ট দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন।
ফারাক্কা সমস্যা নিয়ে সংসদে আলোচনা: ফারাক্কা বাংলাদেশের ১৪ কোটি মানুষের জন্য জীবন মরণ সমস্যা। ফারাক্কা ইস্যু নিয়ে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করে আসছে। জাতীয় সংসদে মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলামীর ২০ জন এম পি একযোগে দাড়িয়ে ফারাক্কা সমস্যা নিয়ে জাতীয় সংসদে আলোচনার জন্য স্পীকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। স্পীকার জামায়াতে ইসলামীর সংসদীয় দলের দাবীর প্রেক্ষিতে জাতীয় সংসদে ফারাক্কা ইস্যু নিয়ে আলোচনার ব্যবস্থা করেন। মাওলানা নিজামী ফারাক্কার বিরূপ প্রতিক্রিয়া জাতীয় সংসদে তুলে ধরে এ সমস্যা সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক ফোরামে তোলার দাবী জানান। তিনি জাতীয় সংসদে তার বক্তব্যে বলেন, মাননীয় স্পীকার, ফারাক্কার কারণে যে সেচ অসুবিধা হয় তাতে প্রায় ৩ লক্ষ একর জমি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। আদ্রতা হ্রাসের কারণে ৩০লক্ষ একর জমি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, লবনাক্ততার কারণে ৬৪ লক্ষ একর জমি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এই ক্ষতিপূরণ আদায় করার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার অধিকার আমাদের আছে। আমেরিকা মেক্সিকোর তুলনায় অনেক বড় দেশ, একটি মহাদেশ। কিন্তু কলোরাডা নদীর পানির উপর আমেরিকার যে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ ছিল, আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে এর ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছিল । সুতরাং এ ব্যাপারে ঐক্যমতে আসা দরকার। সেই সাথে বিকল্প বাধের ব্যাপারে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে।
বসনিয়া পরিস্থিতি: মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী জাতীয় সংসেদ বসনিয়া-হারজেগোভিনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য জাতীয় সংসদের স্পীকারের প্রতি নোটিশ প্রদান করেন। পার্লামেন্টের ইতিহাসে আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার পর এই প্রথম সার্ববাহিনীর বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব গৃহীত হয়। মোট এক ঘন্টার আলোচনার মধ্যে মাওলানা নিজামী জামায়াতে ইসলামীর সংসদীয় দলের নেতা হিসেবে একাই আধঘন্টা আলোচনা করেন। তার এ আলোচনা জাতীয় সংসদে উপস্থিত সকল সদস্যের আবেগ ও অনুভূতিতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। আন্তর্জাতিক ইস্যুতে মজলুম মাবনতার পক্ষে নিজামীর আবেগময় বক্তব্য জাতীয় সংসদের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষারে লেখা থাকবে।
পুশব্যাক: ভারত সরকার মুসলিম নাগরিকদের বাংলাদেশে পুশব্যাকের পদক্ষেপ গ্রহণ করলে জননেতা নিজামী জাতীয় সংসদে ভারত সরকারের এ ঘৃণ্য পদক্ষেপের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। তিনি তার বক্তব্যে ভারতের পুশব্যাককে পুশইন বলে আখ্যায়িত করেন। মাওলানা নিজামীর এ পুশইন জাতীয় সংসদে সকলের সমর্থন লাভ করে। ফলে ভারতীয় চক্রান্ত ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।
ফাজিল ও কামিল-এর ডিগ্রী ও মাস্টার্স এর সমমান প্রদান ভূমিকা: ফাজিল-কামিলকে ডিগ্রী ও মাস্টার্স-এর সমমান প্রদান আন্দোলনে ছাত্রাবস্তা থেকেই তিনি নেতৃত্ব দিয়ে এসেছেন। মন্ত্রী থাকা অবস্থায় মন্ত্রীসভার এ সংক্রান্ত কমিটিতে তিনি অগ্রণী ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০০৬ সালে এ কমিটিতে ফাজিল ও কামিলকে যথাক্রমে ডিগ্রী ও মাস্টার্সের সমমান প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, মন্ত্রীসভায় তা পাস হয় এবং জাতীয় সংসদে তা অনুমোদিত হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন