বৃহস্পতিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১২

বিচারপতির স্কাইপি সংলাপ : ‘শাহিনুর সাহেব ঠাস কইরা আমার পায়ে পইড়া গেল’ : ‘এই হলো আওয়ামী টাইপ চরিত্র’

স্বাধীনতা যুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পদত্যাগকারী চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম ও বেলজিয়ামে অবস্থানরত বাংলাদেশী নাগরিক ড. আহমদ জিয়াউদ্দিনের স্কাইপি কথোপকথনে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। ১৬ অক্টোবরে ৪৭ মিনিটব্যাপী স্কাইপি কথোপকথনের একপর্যায়ে ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন বলেন, ‘...এবং ডান দিকের সিটে গিয়ে আপনি বসে গেলেন, তার পর দেখে যে, এ্যা এ্যা উনারা দুইজন বাইরে আছে। তো তার পরে আমি তখন এই পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছি, বাম দিকে গাড়ির। শাহিনুল (ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক শাহিনুল ইসলাম) সাহেব এসে ঠাস কইরা আমার পায়ে পইড়া গেল। সালাম কইরা বলে যে, স্যার, আমার জন্য দোয়া করবেন।’ এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু এই প্র্যাক্টিসটা আমি অ্যাবসুলেটলি পছন্দ করি না। এবং এই অ্যাটিচ্যুডটা যে আপনে এ্যা... এ্যা... এ্যা... যদি পটেনশিয়ালি দরকার থাকে, এ্যা... এ্যা... এ্যা‘... পায়ে ধইরা সালমা করবেন আর কি—এটা শেখ হাসিনার টেকনিক। শেখ হাসিনা মানে ছাত্রলীগের টেকনিক আর কি। হ্যাঁ এইগুলা আন এক্সেপটেড।’
এ কথা শুনে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম হি-হি-হি করে হাসতে থাকেন এবং বলেন, ‘এই হলো আওয়ামী টাইপ চরিত্র, এইটা-ই... ফাস্ট ভুলে যায় আর কি।’
১৬ অক্টোবরের স্কাইপি কথোপকথনে আরও উঠে আসে আসামিপক্ষ থেকে বিদেশি সাক্ষী নিয়ে আসার পৃথক আবেদনের বিষয়। এ আবেদনের বিষয়ে কী করা যায়, পরামর্শ চান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম। তিনি বলেন, আমি তাদের আবেদন গ্রহণ করব না। তাদের বলব, তোমরা পারলে নিয়ে আসো। ট্রাইব্যুনাল কোনো সমন ইস্যু করবে না। যুক্তি-তর্কের বিষয়ে বিচারপতি নিজামুল সেদিন স্কাইপি কথোপকথনে বলেন, ‘সেটা আরগুমেন্টের সময় বলমু, এখন না। আরগুমেন্টের সময় বলমু, আপনারা সব বলবেন আর লিখিত যা আছে, যা দেওয়ার দিবেন—লেইখা দেবেন। আরগুমেন্টের চিন্তা আমরা করতেছি। হায়দার আলী বলেন যে, এইডা চায়েন না। আমি কইছি এডা চাই দেখি।’ এই আলোচনা থেকেও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, প্রসিকিউশনের সঙ্গে অর্থাত্ সরকারপক্ষের আইনজীবীদের সঙ্গে আদালতের বাইরে ব্যক্তিগত পরামর্শ করতেন। সিনিয়র আইনজীবীদের মতে, কোনো মামলার বিষয়ে বাদী বা বিবাদী কারও সঙ্গে বিচারকের ব্যক্তিগত পরামর্শের কোনো সুযোগ নেই। উভয় পক্ষই আদালতে তাদের বক্তব্য রাখবেন। কিন্তু এখানে দেখা যায়, বিচারক ও প্রসিকিউশনের মধ্যে (সরকারপক্ষের আইনজীবী) হরহামেশা ব্যক্তিগত পর্যায়ে মামলা নিয়ে আলোচনা-পরামর্শ হয়েছে।
১৭ ঘণ্টার স্কাইপি কথোপকথন থেকে আমাদের পঞ্চম কিস্তি আজ পাঠকের সামনে উপস্থাপন করা হলো। একটি বিদেশি সূত্র থেকে পাওয়া কথোপকথন প্রকাশ হওয়ার পর এরই মধ্যে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম গত মঙ্গলবার বিকালে পদত্যাগ করেছেন।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : শাহিনুর সাহেব (ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক) আমার পায়ে পইড়া গেল ... এটা আওয়ামী চরিত্র...
নিজামুল হক নাসিম : আওয়ামী টাইপ চরিত্র এইটাই। ফাস্ট ভুলে যায় আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যালো।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : জী কেমন আছেন। আমি এখনই এলাম। এই ঢুকতেছি এক সেকেন্ডের ভিতরে।
নিজামুল হক নাসিম : আমি খুলছি পাঁচ-সাত মিনিট আগে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তাই নাকি?
নিজামুল হক নাসিম : আপনার মেসেজ পাইছি ত, পাইয়া ভাবলাম পরে খুলি। কেমন আছেন?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আছি-আছি, ত আপনার সাথে আমার যে, আমার ত অনেকগুলো কথা আছে ত মনে হইতেছে আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : কন।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এই যে-এই যে অ্যাপ্লিকেশনটা আমি দেখতিছি এখন। আমাকে অলরেডি মেসেজ দেওয়া হইছে আর কি, এসএমএস এ -আজকে যেটা দুইটা অ্যাপিস্নকেশন আপনে পাইছেন ইয়ের জন্য।
নিজামুল হক নাসিম : দুইডা ফরেনার সাক্ষী।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ...।
নিজামুল হক নাসিম : দেবো না ও কি। সমন দিব না আমরা। আপনারা নিয়া আসেন হইয়া গেল।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হা-হা-হা, আপনাকে তার কাছে কি সাক্ষী চাইছেন নাকি যে, স্পেশালাইজ নলেজ আছে তার।
নিজামুল হক নাসিম : না আমরা চাই নাই। এটা ডিফেন্স কেস, ডিফেন্স কেইস।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইটা কিন্তু আপনি লিখিত অর্ডার দিয়েন তাইলে।
নিজামুল হক নাসিম : কি অর্ডার দিবো?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আপনি বলবেন যেটা রেফার কইরা আর কি যে, আমারে স্পেশালাইজ নলেজ কার কাছে এইটা ত থ্যাঙ্ক ইউ যে জানাইছ আমারে। কিন্তু আমাদের ওইটার কোনো দরকার নাই। আর এইটাই কি আছে তার, ২০টা বই আছে-টই আছে সব জানি আমরা। আমার যতবার মনে হইছে ডিফেন্স উইটনেস। দেখি আমি পইড়া দেখি। আপনি কি পড়ছেন পুরোটা?
নিজামুল হক নাসিম : আমি পিটিশন পড়িই নাই এহন পর্যন্ত। আর বলে বলে অর্ডার দিব।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হা হা হা। দ্যাট ইজ স্টেইটের্ড দ্যাট আপন ইসুয়েনস অফ দ্যা---খারান প্রথম থেইকা একটু দেখাই দেই আরকি কি লিখছে ভাতিজারা। -(এই বলে পুরো পিটিশনটি পড়ে শোনান।) --- অ্যা তা এইটা নিয়া উনারা আমাকে সাথে সাথে ইয়ে চাইছিল। কিন্তু আমিতো বাইরে ছিলাম। ইনপুট চাইছে। আমি বললাম ব্যপারটা কি বলেন। বলতেছে এইটা আপনাকে কি এখনই জানায় দিতে হবে? সে কয়- আজকে না হইলেও জানাইতে হবে আমাদেরকে। আচ্ছা ঠিক আছে আসতেছি। তারা অ্যাপ্লাই করতেছে। এই সব রুলসের ভেতরে অর্ধেক পাতা আসে নাই। পাতার প্রথম অংশ আসে নাই বা যেডাই হোক এ্যা ও এ্যা ডিসিশন অফ দ্য সামনস অফ দ্য (পুরো পিটিশন পড়ে শুনান) ---------------------------এন্ড অফ জাস্টিস এটার ভিতরে আনাটা ত কঠিন হবে। হাউ ক্যান ইউ ডাইরেক্ট? হা.....হি। আপনার তো বাংলাদেশের উপরে জুরিসডিকশন আছে। আপনার কি বিদেশি নাগরিকের উপরে জুরিসডিকশন আছে নাকি?
নিজামুল হক নাসিম : হা হা হা (হাসি)
আহমদ জিয়াউদ্দিন : Ok, বোধ হয় এর পরের টাও বোধ হয় একই রকম গ্রাউন্ড আছে আর কি, আমি ধরে নিতেছি। আমি এটা এখনও দেখি নাই।
নিজামুল হক নাসিম : জানি না, যাই হোক এটা শুনলাম ঠিক আছে, এটা কোনো ব্যাপার না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এমনিতে একটা হলেও দিতে হবে আর কি। কারণ এইটা না হলে আবার ক্যামপেইন খুব হেভিলি একেক বারে।
নিজামুল হক নাসিম : কি ক্যামপেইন করবে?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এই যে আপনে প্রফেসার সাবাসকে ঢুকতে.....।
নিজামুল হক নাসিম : আমি বলমু আপনে নিয়া আসেন-আপনে নিয়া আসেন। কোনো আপত্তি নাই। সমন দিব না আমরা। ব্যাস।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওই একই জিনিস লেখছে এটাতে।
নিজামুল হক নাসিম : কিন্তু এখানে যেটা বলেছে আপনার ওর যে সাবাসেই আমিত মনে করছি তারা কিছু একটা বলবে আর কি। এইটা ডিফেন্স উইটনেস হয় কি কইরা, সে। সে তো হচ্ছে সভরেইনটি এবং ইন্টারন্যাশনাল লয়ের উপরে। হু। হেয় হেয় গিয়া এমিকাস কিউরি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না এইটা তো ওয়েল। এমিকাস কিউরি হইলে তো আপনি ডিসাইড করবেন আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এ্যা...এ্যা এবং এমিকাস কিউরি হলে আপনার লাভ হবে কিনা সেটা দেখতে হবে। সেত অলরেডি-অলরেডি সে তাদের, তাদের পক্ষ থেকে যদি ডাকা হয়, তাকে ত এমিকাস কিউরি হিসাবে ডাকতেও পারবেন না। কারণ এটা ত ফরমালি ইয়ে চাইছে আর কি। আইদার ইউ অ্যাকসেপট, মানে ইস্যুড এ সমন অর ইউ হ্যাভ টু রিজেক্ট ইট। কিন্তু এখানে গ্রাউন্ড গুলা ভালো দেয়নি তারা। এখানে ডিফেনসকে কীভাবে যে হেলপ করবে, একুইজকে কীভাবে হেলপ করবে, একুইজের কেসটাকে সে কীভাবে ইয়ে করবে। কোথা থেকে লোক নিয়া আসতেছে তারা। আচ্ছা আরটিক্যাল আরেকটা যেমন স্যার জাক ডেভোরেল (এটা পড়ে শুনান)। এইটাও হইল না আসলে। একটা আর্মি অফিসার কমাণ্ড রেসপনসিবিলিটি সম্পর্কে হেয় কেমন কইরা বলবে? এত হচ্ছে একটা লিগ্যাল নোশান। আচ্ছা দেখা যাক। ওতো পাঁচটা দিছে প্রসিকিউটারাতো চারটা কেন খবর আসলো। আজকে তো দেখি। পাঁচটা নাম দিছে। দেখছেন তো এইটা তাই না?
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ পরে একটা যোগ করছে
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ও, আচ্ছা তাই তো। তাহলে পত্রিকাওয়ালা ঠিকই আছে। আপনি কি ইয়ে পাইছেন? রায়হানের একটা চিঠি পাইছেন?
নিজামুল হক নাসিম : দেখছি...ও পড়া লাগবে না?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না পড়া লাগবে না, কিন্তু এটা কি আপনি জানতেন?
নিজামুল হক নাসিম : কি
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এই চিঠিটা
নিজামুল হক নাসিম : না, হ...। তার মানে আপনার।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : রায়হান তো বেশি বলে নাই। এর থেইক্যাও আপনারটা বড়। ওই যে এর-ক্যাডম্যান যে রিপলাই আপনে দিছেন না?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না-না। হ্যাঁ, ওইটা না, ওইটা না। এই যে এ্যা রেজিস্টার, এ্যা রেজিস্টার যে আপনারে জানাইছে যে এই চিঠিটা আসছে।
নিজামুল হক নাসিম : হেত দেখছি, জানাইছে। জানাইছে চিঠির উত্তর ওইটাত?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ,
নিজামুল হক নাসিম : হ আই সি, ওই ডা আগে জানি, হ্যাঁ...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আজকে পর্যন্ত এ্যা দু’জন, আজকে পর্যন্ত পাঠাইছে। ২৫ মে পাঠাইছে সে। আর কি খবর আপনার? অনেক মেসেজ আছে দেখি। আইনমন্ত্রী গিয়া ওইখানে বইল্যা আসে কথা, কিন্তু এটা ফলোআপ করতেছে না।
নিজামুল হক নাসিম : কোনডা?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : উনি লর্ড কারলাইলরে ইনভাইট করবে। এইটা নাকি বইল্যা আসছে এবং লর্ড কারলাইল তারে চিঠি দিছে। এই যে এখন আমি আরও পাইতেছি মেসেজ আর কি। যে, তারা এখন পর্যন্ত উনি কোনো উত্তরত দেয় না। বা তাদের ইনভাইট করবে কি, করবে না। বইলা আসছে করবে। কিন্তু এখন আর খবর নাই। তার সব ফুসে গেছে। এখন বলতেছে সে এ্যা...এ্যা, এই যে সেদিন যেটা ছিল অলরেডি তার হাউস অফ লর্ডসে রেইজ করছে। লর্ড কারলাইল নিজেই রেইজ করছে। চিন্তা করা যায়, গালি দেয়ার সময় আইসা গেছে এদেরকে। তারা চাইতেছে যে একুইজদের সাথে বসবে প্রাইভেটলি মিট করবে এবং এইটার উত্তরে লিখতেছে—কে লিখতেছে, বাপজান লর্ড কারলাইল ফ্রম লর্ড কারলাইল। টু আনসার। আচ্ছা মানে ওই যে আমাদের সে আনসার বারী আছে তাকে লিখতেছে হোয়াট ইজ এ সারপ্রাইজ অ্যান্ড ডিসাপয়েন্টম্যান্ট অ্যান্ড সিম্পলি নট অ্যাকসেপটেবল। বাংলাদেশ গভর্নমেন্ট সিয়রলি সুড রিকগনাইজ দ্য উইজডম অফ আওআর মিটিং অফ ডিফেনডেন্ট ইন প্রাইভেট.........।
নিজামুল হক নাসিম : জী
আহমদ জিয়াউদ্দিন : জী বলেন--
নিজামুল হক নাসিম : শেখ রেজোয়ান আলী জাজটিস ফোন করছিল।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা-আচ্ছা।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আপনারা ঠিক করলেন কবে আজকে সন্ধ্যা বেলায় এনাউন্স করছে কি ঈদ কবে হবে?
নিজামুল হক নাসিম : ঈদ ২৭, জী-ই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ। ২৭ তারিখে ঈদ। তাহলে ঠিকই হইতেছে। কারণ এইটা না হইলে আমি আবার ২৮ তারিখে চইলা যাইতে হবে আমাকে, কাজেই বিপদ হয়ে যেত।
নিজামুল হক নাসিম : ২৮ তারিখ যাইবেন খুলনা
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ যশোর হয়া তারপরে হ্যাঁ, ওই দিকে আর কি। যশোরে যাকে ফাস্টে ২৮ তারিখ রাতরে যশোরে কাজ আমাদের। তারপরে
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আজকে কি শুধু সাঈদীর একজিবিটগুলা হইছে—না আরও কিছু?
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, এ যেয়ে জেরা শুরু হইছে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আজকে তো তাইলে গোলাম আজম ধরা হয় নাই কিছু। আচ্ছা না উনিত-উনারা যেভাবে এ্যা এ্যা নার্ভাস হয়া ফোন করছে আমারে, এইটা এখন এত কিছু না। এইটা আন্ডার কনট্রোল। আপনি দেখতেছেন ওরা কিন্তু আসলে মানে এই ফেক্ট গুলাকে কনেকন্ট করার চেষ্টা করতেছে। না তারা এই জিনিসটাকে ইন্টার নেশনালাইজ করার চেষ্টা করতেছে আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ রাইট...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : মানে এ্যা এ্যা জেনিউনলি সিরিয়াসলি এনগেইজ করত আর কি এবং এই যে সাক্ষী যেটা দিয়েছে এটা অবশ্য বুঝতে পারতেছি না, সে এ্যা এ বয়কি দু’জনের ব্যাকগ্রাউন্ডটা কি। ও ছেলের ব্যাকগ্রাউন্ড বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু বাকি তারা কি করে না করে তা জানি না। কিন্তু যেমন সাইদীর ক্ষেত্রে তারা যেমন ডিফেন্স উইটনেস আনতেছে। তারা কিন্তু চেষ্টা করছে একটা কিছু মানে এক একটা অংশ করে এক একটা টুকরা এক একটা এলিমেন্ট গুলাতে তারা চ্যালেঞ্জ করতেছে। সেটা ঠিক আছে দিস ইজ হাউ ইট সুড বি। কিন্তু এইখানে তারা এইটাকে ওই জিনিসটাকে একটা ইন্টার ন্যাশনালইজ করে, এইটাকে একটা কেম্পেইন হিসাবে তারা দাঁড় করাবে। এ্যা ইন্টারন্যাশনাল কেম্পেইন হিসাবে দাঁড় করাবে যে, ট্রাইব্যুনাল এ্যা তাদের ইনভাইট করতে রিফিউজ করছে আর কি। এবং তারা খুবই Fully জানে ভালো, মানে ক্লিয়ারলি তারা জানে যে, ওই ওই ধরনের-এছাড়া রিকুয়েস্ট ছাড়া এ্যা ট্রাইব্যুনালের রিকুয়েস্ট ছাড়া তারা যে আসতে পারবে না। এইখানে না আসার সম্ভাবনা আছে আর কি এইটা তারা জানে। আর এখন তো তারা যদি বলে আমরা বেড়াইতে আসতেছি তাহলেও আরই হবে না মানে গ্রহণযোগ্য হবে না সেটা আর কি। তো তাদের মূল অবজেকটিভটাই কিন্তু আসলে এই তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলা আনা হয়েছে এই গুলাকেই চ্যালেঞ্জ করা। এই ঘটনাটাকে চ্যালেঞ্জ করা না যে ধরনের অপরাধের কথা বলা হচ্ছে সেইটাকে চ্যালেঞ্জ করা না। কিন্তু এইটাকে মিয়ারলি ইন্টারন্যাশনালাইজ করা একটা কেম্পেইন করা আর কি। সো দিস ইজ আ এ্যা মানে আন ফরচুনেট এবং আনএক্সপেটেড আন এক্সপেকটেড না মানে আনফরচুনেট ট্রু আনফরচুনেট কারণ এটাকে ডিফেন্স বলে না কিন্তু। দিজ ইজ নো ডিফেন্স। আর তারা এক্সপার্ট উইটনেস হিসাবে প্রথম যেটা এক্সপার্ট উইটনেস আনতে চায় যে ফ্যাকচুয়েল যে অ্যাকুজিশন আছে ফ্যাক্টকে তো রিফিউজ করবে তারা। এক্সপার্ট তো পরে আসবে আসলে। আর উনাকে আনতাছে সভরেইনটির উপরে এক্সপার্ট বইলা এবং অনেক টই বই লিখছে। তাতে উনি কি করবে আইসা এখানে। এসিসট করবে কি ট্রাইব্যুনালকে ট্রাইব্যুনালকে এসিসট করা বুঝলাম আমি প্রত্যেক উইটনেসই ট্রাইব্যুনালকে এসিসট করে। কিন্তু এই এরিয়াটা তো আসলে ডিফেন্সের এ্যা এ দরকার নাই। এইটা এখনতো ওই স্টেইজ না আসলে, ফানি থিং হচ্ছে যে এটা যদি তারা যখন লিগ্যাল আরগুমেন্টের স্টেইজে হইত, তখন যদি তারা বলত সে লিগ্যাল আরগুমেন্টকে রি-ইনফোর্স করার জন্য আমি আরও একটা এক্সপার্ট উইটনেস আমি আনতে চাই। মানে এক্সপার্ট হেলপ করবে আমাকে সেটা মানে এ্যা সেটা কি হইত আর কি। আর এইটা কি সাজেস্ট করা ঠিক হবে আপনাদের পক্ষ থেকে তারা ইচ্ছাকৃত লিখিত কিছু দিতে পারে। নাকি না সেটাও হবে না?
নিজামুল হক নাসিম : সেটা আরগুমেন্টের সময় বলমু, এখন না। আরগুমেন্টের সময় বলমু আপনারা সব বলবেন আর লিখিত যা আছে যা দাওয়ার দিবেন লেইখা দেবেন। আরগুমেন্টের চিন্তা আমরা করতেছি। হায়দার আলী বলেন যে, এইডা চায়েন না। আমি কইছি এডা চাই দেখি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইটা তা হলে দু’পক্ষেরই সুবিধা হবে আসলে।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এবং আপনাদের তখন ওটার উপরে কনসেনট্রেইট করে ওটাকে জাজমেন্টটা লিখার সময় সুবিধা হবে আপনার।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ রাইট সে জন্যই আমি চাচ্ছি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : দুই পক্ষই দেক না কেন সংক্ষেপে এ্যায়ে সংক্ষেপে আপনার আপনি হয়তো পেইজ লিমিটেড করে দিতে পারেন আর কি যদি চান। যে যে হয়তবা পাঁচ পাতা বা দশ পাতার ইয়ে দিলেন আর কি। এটা মেনেজ করতে পারা যাবে। একশ’ পাতার না। সংক্ষেপে যদি একটা একটা এইডা হয় আর কি আমি এডার আমি এটার পক্ষের মানুষ আর কি। তাহলে হচ্ছে কি আপনাদের আর্গুমেন্টগুলা রেকর্ডেড থাকতেছে। এ্যা ফোকাস করা যাচ্ছে ওই পয়েন্টগুলাকে আপনি একটা একটা করে ভিউতে বোথ সাইডের জন্যই এপ্লিকেবল। বোথ সাইডের জন্য এপালিকেবল মানে ঘটা হচ্ছে ওই আর্গুমেন্ট আমি বলছি সেটা হচ্ছে যে এই যে তারা তাদের সো কলড স্পেশালিস্ট এ্যা এ্যা এক্সপার্ট উইটনেস আনতে চাচ্ছে ত এইটা আপনার দুইটা রাস্তা। একটা হইল যে আপনি বলবেন যে আপনার উইটনেস আপনি নিয়া আসেন গিয়া।
নিজামুল হক নাসিম : সোজা রাইট। সে এইবার ক্লিয়ারলি বলে দিব আমি এইভাবে আর কোনো কথা নাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আর এইটা চাইতে এইটার চাইতে আরেকটু বেশি পাবেন আর কি। আপনারা যে দিচ্ছেন সেটা আসলে ওই আর্গুমেন্ট যাওয়াও ঠিক হবে না। মানে এটলিস্ট সাবাসের ক্ষেত্রেও এই লোকের ক্ষেত্রে তাও তো স্পেসিফিকেলি বলেছে যে কমান্ড রেসপনসিবিলিটির কথা আছে।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কমান্ড রেসপনসিবিলিটি বুঝানোর জন্য আপনাদেরকে এ্যা এ্যা এ আসতেছে। একদিক দিয়া আসলে অসুবিধা হয় না যে ঠিকই এ কথাটা বইলা যাবে আর কি। কারণ আমরা ত ক্রমে দেখা যাবে কি সে তার বইগুলা তারই ধরা হইব।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তখন। মানে সেখানে দরকার নাই আমার। কিন্তু সামন এই জিনিসটা আরেকটু আরেক বা আপনে পরিষ্কার করেন ত দেখি যে, সামন স তাহলে হচ্ছে কি যে সামনায় ত আপনাদের ট্রাইব্যুনালের ডিসক্রিশন না সামন ছাড়া উইটনেস আসতে পারবে না।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ পারবে পারবে পারবে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : সো সামন তাহলে উইটনেস কে এপিয়ারের জন্য নট নেসেসারিলি একটা ইয়ে আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : না...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : মানে নেসেসারি প্রিকন্ডিশন।
নিজামুল হক নাসিম : আমরা তাকে সিকিউরিটি চাইতে পারে সামনসটা মেনইলি করা হইছে সিকিউরিটি চাইলে পরে। এমনে আনতে পারবে যে কোনো সময় যে কোনো সাক্ষী।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এখন বেশির সাক্ষী যারা আসছে তাদের কি সামনস দিয়া আনা হইছে কি না তারা এমনে এমনেই আসছে।
নিজামুল হক নাসিম : না না না সামন দিচ্ছি না আমরা।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আপনারা সামনস কাউরে দিচ্ছেন মানে কয়টা সামন দিছেন এতদিন।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ দিছি এমনে প্রসিকিউশন-উইটনেসকে দিচ্ছি যারা পুলিশের হাতে নাই সেই জন্য রইছে পথেঘাটে নিয়া আসবে সিকিউরিটি এগুলা দিছি আমরা। কিন্তু তোমাদের দেব আমরা যে সিকিউরিটির জন্য সামনস দেয়া হয় নাই। আদার ওয়াইজ কোনো সামনস দেয়ার দরকার নাই আমাদের। এমনে আনলেই আমরা দেব, সোজা হিসাব। এমনে আমরা নিছিও অনেক সামনস ছাড়া।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওই তাহলে এই কথাটাও বইলা দিয়েন আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ যে
আহমদ জিয়াউদ্দিন : যেমন সে বিদেশি মানুষ আসলে তার সিকিউরিটি লাগবে আর কি। ওইটা তো সে সরকারের কাজে তার প্রত্যেকটা নাগরিকের এবং ভিসিটারের রক্ষা করার দায়িত্ব সরকারের। ওই আর্গুমেন্টে যাওয়া যাবে না। আপনি বলবেন যে বাবা তার উইটনেস তুমি নিয়া আসো গা গিয়া। এখন কি কোনো কমেন্ট করা ঠিক হবে যে এটা আসলে মনে হচ্ছে না যে তাদের টেস্টিমনি কোনো কিছুই ইয়ে করবে। যা আপনারা দিছেন।
নিজামুল হক নাসিম : আমি বলমু পিটিশনে আপনারা বলে দেন দ্যাট ডাজ নট ইন্সপেয়ার আস টু কল দেম বাই গিভিং সামনস।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : মানে এইটা। এইটা উনাদেরকে দিয়া বলাইতে হইব আর কি। প্রসিকিউশনকে দিয়া যে এটা হচ্ছে নাথিং বাট ইন্টারনেশনালাইজ চেষ্টা করা এটাকে। এ আর্গুমেন্ট তারা দিবে। এ যেভাবে যা বলা আছে তাতে এখানে কোনো কোনো সাব্সটেনসিভ আসেতেছে না। মানে ডিফেন্স এর কোন কিছু দেখি না আমরা। যেসব জিনিসগুলা আর কি কেইসগুলা ওরা আপনারে যে ফাস্টে যে চিঠিটা দিছে সেখানে বলেছে যে, চার্জ নাম্বর ওয়ান টু কিন্তু পিটিশনে সেভাবে দেখা যাচ্ছে না। সিরু মিয়া বাদ দিয়া সব চার্জ আগে করবে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ ঠিক আছে, ভাবী ভালো আছেন তো?
নিজামুল হক নাসিম : হ, আছেন ভালই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আপনি আপনার ছুটি হচ্ছে কবে ২৪।
নিজামুল হক নাসিম : ২৫ তারিখ অফিস খোলা। ২৪ তারিখ বন্ধ আছে ১ দিন। ২৫ খোলা আবার ২৬, ২৭, ২৮ বন্ধ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আবার ২৯ খোলা।
নিজামুল হক নাসিম : এমনেও শুক্র শনি আছে ঈদের মাঝখানে। তারপরে খোলা।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ২৬ ত শুক্রবার আসলে।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ২৬ শুক্রবার।
নিজামুল হক নাসিম : খোলা, ওখোলানা।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ২৫ হইল বৃহস্পতিবার।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ২৬ শুক্রবার।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ২৬।
নিজামুল হক নাসিম : ২৬ খোলা না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ২৪ তারিখ পূজা, ২৫ বৃহস্পতিবার, ২৬ শুক্রবার, ২৭ শনিবার ২৮ রবি, ২৯ হচ্ছে সোমবার। তার মানেও ২৯ খুলতেছে যদি না আপনি ২৯ বন্ধ রাখেন।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এই যে পরের দিনই দিবেন না কি? না জহির সাহেবের হিসাবে মানে..।
নিজামুল হক নাসিম : কোন ডা?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এর আগে জহির সাহেব বলত না যে ঈদের পরের দিনেই কোর্ট সকাল বেলাতে।
নিজামুল হক নাসিম : ওই সব কয়া লাভ নাই, পরিষ্কার চলবে কোন অসুবিধা নাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হা হা হা। আচ্ছা আজকে কি হইছে যে এ্যা এ্যা জাহাঙ্গীর সাহেব একটা কড়া ইয়ে দিছে মনে হচ্ছে, পত্রিকায় যেভাবে আসছে।
নিজামুল হক নাসিম : কইছে যে আপনারা যাই মনে করেন পলিটিক্যাল, আমরা পলিটিক্যালি না। আমরা অন ওথ জজিয়তি করতেছি। আপনারা দুইপক্ষ দুইজনের কথা বলেন, কিন্তু আপনারা কোন সময় কারোপক্ষের মনে করবেন না। এমনি কইরা কইছে আর কি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : মানে স্টেটমেন্ট গুলা দেয়ার সময় সতর্কভাবে দিতে হবে। এইটা বোধ হয় ইয়ে দিছেন উনি।
নিজামুল হক নাসিম : হু হ্যা রাইট সেটাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইটা ত আপনে বহুবার অলরেডি, মানে বলা আছে সবাইকে। মনে করিয়ে দেওয়া আছে। ও আওয়াজ আসতেছে কোথ থাইকা?
নিজামুল হক নাসিম : আবার ঠিক হইছে। আপনে সোমবারে নামতেছেন-২২ তারিখ?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ২২ তারিখ ভোর বেলাতে, হোপফুলি। আপনার তো কোর্ট থাকবে।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আমি আপনাকে যোগাযোগ করবো। ধরেন এ্যা মানে... এ্যা আপনি তো চারটার আগে তো ফ্রি হবে না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : বিকালের দিকে। আচ্ছা এই এ যে আপনি কি মনে করেন যে উম, না আমি ত এখনও পর্যন্ত উত্তর পাচ্ছি না আমার ত মাথাই গরম হয়ে যাচ্ছে আসলে।
নিজামুল হক নাসিম : কোনটা ? এ্যা এ্যা
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এই যে আইসিটি ওয়াইকে সে মেসেজ পাঠাইছি। তারও কোনো উত্তর নাই।
নিজামুল হক নাসিম : আমার মনে হয় তারা, এখন রাত ওখানে মনে হয়। কেননা উত্তর তারা দেত। কার্টেসি ডিমান্ড।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হয়তবা নিবে। এখন দেখা যাক আমি এখনও আশা করতেছি যে দিবে আর কি। সো দ্যাটস মাই হোপ। যে সে রিগ্রেট করলেও দিবে। হে--য়ে এখন আমি চিন্তা করতেছি যে, যদি ইন কেস আপনাদের এখানে না আসা হয়ে থাকে, না আসা হয়ে থাকে-না আসা হয়, তা হলে ওই প্যারিসেই আপনাদের সাথে। প্যারিসে তো আপনারা-আপনিতো গেছেন। আর অতিরিক্ত একদিন দেখেন আর কি।যে কি করবেন আর কি। কারণ আমরা সেইভাবে প্ল্যান করতে পারি।
নিজামুল হক নাসিম : ওর কি, ওরা যদি টেইলস্টারে টারকিস টিকেট দেয় ফেরার যদি প্যারিস থেকে ডাইরেক্ট ডাচ প্রগ্রাম না হইলে তারা দিবে। কারণ, তার সাথে আমার যে কথা হয়ে রয়েছে যে যদি এটা আমার বলা আছে তাদেরকে কনফার্ম করেনাই আপনাকেও আমাকেও করেনাই যে। যদি দেখা যায় কিসে ডাচ থেকে প্রগ্রামটা হইছে, তখন আপনাদের প্যারিস থেকে ফ্লাই করতে হবে হয়ত। বা রির্টান ডেইটটা একটু ডিফারেন্ট হইতে পারে। আর আমি যদি হয়ে যায় কনফার্ম, তাহলে তখন তাকে বলবো যে তুমি তাকে প্যারিস-এই অ্যামস্টারডাম থেকে ফ্লাই করার ব্যবস্থা করব আর কি। এটা হচ্ছে যদি হয় না হলে তো এই ইট ইজ থাকতেছে আর কি। তাই তো।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হেস এ প্যারিস-ঢাকা অথবা ঢাকা-প্যারিস- ঢাকা। আমি ধইরা নিতেছি যে সেটাই তারা দিবে সে এয়ারলাইনস এই দেক না কেন। সেইখানে আপনি যদি ধরেন যে একটা দিন যদি এক্সট্রা দিন থাকেন আর কি।
নিজামুল হক নাসিম :জি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : অনুষ্ঠানের পরে বা ট্রেনিংয়ের পরে একটা এডিশনাল দিন মিনিমাম যদি থাকেন, একটা মিনিমাম দিন লাগবে। এডিশনাল তাহলে হয়ত বা কিছুটুকু সময়, মানে এইখান থাইকা আমি হয়ত গেলাম বা আ অ্যা অন্যরাও বললেও এই আসতে পারবে না হয়তবা কিন্তু আমিতো যেতে পারবো। আর হয়তবা আসল আমি গেলাম ডেফিনেটলি। প্যারিসে গেলাম তার পরে আপনারা কি করবেন না করবেন এটা ওই ওবায়দুল হাসান সাহেবের সাথে যোগাযোগ করে কথা বলে দেখা যাবে। উনার কি ইচ্ছা আছে আর কি। মানে একটা দিন অন্ততপক্ষে এ ইয়ে ইয়ে করা দরকার। মানে লিভিং ফর প্যারিস টাইপের হা হা হা।
নিজামুল হক নাসিম : সেটাও আগেই বলতে হবে যে টিকিট।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ সেটা আগেই বলে দিতে হবে যে মিনিমাম একটা দিন আমাদেরকে তোমরাই করবা আর কি। হেয় তাহলে সেভাবে তারা প্ল্যান করবে আর কি। এটাওতো গভার্মেন্টের প্রগ্রাম কাজেই এটা সমস্যা না। অ্যা অ্যা এ একটা দিনের জন্য কোনো সমস্যা হবে না আর কি। আর বাংলাদেশে গেলে অ্যা এই যে আপনার যারা মানুষ টানুষ পরিচয়ই হইয়া গেছিল মানে উনাকে হইছে আর কি। কিন্তু বাকি জাহাঙ্গীর সাহেব উনাদের সাথে আমরা কিভাবে ইয়ে করতে পারি।
নিজামুল হক নাসিম : শাহীনের সাথে পরিচয় ছিল আগে? ওবায়দুল হাসান।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হইছিল, কিন্তু এইটা কে উনার মনে আছে কিনা কে জানে। মানে এ অ্যা।
নিজামুল হক নাসিম : সেইটা মনে করানো যাইবে অসুবিধা নাই। না, এগুলা আমি ঠিক কইরা দিব।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওই যে আমি বলছিলাম না আমি তো ওইখানে খুবই শকড্ শাহিনুর সাহেবের টোটাল অ্যাটিচুডে।
নিজামুল হক নাসিম : ওই দিক যাবেন না, আমার বাসায় মিট করবো আমরা।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা।
নিজামুল হক নাসিম : শাহিন--- ও শাহিন ত আমার বিল্ডিংয়ে থাকে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এ যে শাহিনুর সাহেব তো যাস্ট পরিচয় করায় দেন নাই আর কি। আমাকে নিজেকে নিজে পরিচয়, উনি অত কিছু বুঝছে কি, বুঝে নাই কে জানে। হি ওয়াজ ভেরি নাইস। উনি সাথে সাথে আমাকে চা আনে চা মানে চা দেওয়ার কথা বললো, উনারা লাঞ্চটা অলমোস্ট শেষ করে বসছেন আর কি। আপনি যে ছেলেটাকে দিলেন নিয়ে যাওয়ার জন্য তো ওইখানে প্রথমে তো গেছি শাহিনুর সাহেব কাছে। শাহিনুর সাহেব রুমে নাই তো পরে ওর যে যে একটা যে লোক থাকে না এই সে এটেনডেন্ট থাকে সে বলতেছে যে স্যার এইখানে আছে আর কি। দুইজনেই এখানে আছেন আর কি, ত আমি গিয়া ঢুকছি ত, শাহিনুর সাহেব তখন রিল্যাক্স করতেছিল, বসে গল্প করতে ছিলেন আরকি। উনি দাড়াইলেন কেমন কেমন আছেন বাচ্চা কেমন আছেন না আছেন। এরকম কথা বলে এ বললো। কিন্তু উনি যে পরিচয় টরিচয় করায় দিব ওইটা আর করলা না আর কি। মানে ওই ভদ্রলোকও একটু ওঠা বেকায়দায় পরে গেছে আর কি। আমি নিজে নিজেই পরিচয় দিলাম আর কি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : সো আই ওয়াজ রিয়েলি শক্ড, আসলে শাহিনুর সাহেবের এই টোটাল এটিচুডে আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : হা হা হা।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হেয় এ, বাট এনিওয়ে সারপ্রাইজড না। শক্ড কিন্তু সারপ্রাইজড না। এক্সপেক্ট করতা ছিলাম আর কি। হু আপনারে কি কখনও বলছি যে উনি কি করছিল অ্যামসচারডামে হেগে?
নিজামুল হক নাসিম : না তো।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : বলি নাই আপনাকে? আপনার মনে আছে আপনারা যখন হোটেল থেকে বেরিয়ে -Just মনে করার চেষ্টা করেন গাড়িটা সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে, আপনি প্রথমে গিয়া সামনের সিটে বসলেন।
নিজামুল হক নাসিম : জি-ই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তার পরে উনারা তিনজন হচ্ছে এত আবার নেমে এসে পিছনের সিটে বসলেন। কারণ, জহির সাহেব সামনে গিয়ে বসতে চাইল আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ রাইট। এবং ডান দিকের সিটে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এবং ডান দিকের সিটে গিয়ে আপনি বসে গেলেন। তার পর দেখে যে অ্যা অ্যা উনারা দুইজন বাইরে আছে তো। তার পরে আমি তখন এই পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছি বাম দিকে গাড়ির, শাহিনুর সাহেব এসে টাস কইরা আমার পায়ে পইরা গেল। সালাম কইরা বলে যে, স্যার আমার জন্য দোয়া করবেন।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : দোয়া করবেন। আমি তো একবারে স্টানড হয়া গেছি।
নিজামুল হক নাসিম : হে..হে...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আমি এইটা জানি কি হইছে এবং কেন হইছে। কারণ আমি আপনাকে ওই আইসিসির প্রেসিডেন্ট একটা চিঠি লিখছিল আসছেন তুমি দেখা করবা তো সেইটা আমি আপনাদের সবার সাথে শেয়ার করছিলাম। সেখানে কিন্তু আই সিসির প্রেসিডেন্ট যে আমাকে লিখতেছে সেইটা হল ওই খানে আছে লেখাটাও আছে আমার লেখাটাও আছে তার লেখাটাও আছে। রিপ্লাইটাও আছে। এটা যে আমি ফরওয়ার্ড করছি সেইটাও আছে। উনি তখন চেষ্টা করতে ছিল আইসিসিতে অ্যা জবের ব্যাপারে উনি বোধ হয় কিন্তু যোগাযোগ টোগাযোগ করছে বলছে টলছে কারও কাছে। এইটা নিয়া আপনারা কথাও বলতে ছিলেন । জহির সাহেব বিশেষ করে।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : যে তার তো কাজ হয়ে যাচ্ছে এই টাইপের । আমি কিন্তু আসলে এই ধরনের মানে এইটা যদি হইত আর কি, তাহলে আমার যতটুকু করা সম্ভব বলছিল আর কি, আপনি একটু চেষ্টা করবেন আর কি। আমি বলছি ঠিক আছে এইটা যদি মানে আমার এইটা যদি কতটুকু করা যাবে ওই খানে বাংলাদেশী একটা লোক ঢুকুক সেডা আমিও চাই এবং প্রফেশনালরা এটা হল আমার চাওয়া সিরিয়াসলি। কারণ, আমরা নাই এইখানে তো আমি জানি সেই সময় সেই সময় উনি উনি এটা আমি এটা এক্সপেক্ট করি নাই।
সে উনার মতো বয়স্ক মানুষ মানে উনি প্রবাবলি আমাদের কাছাকাছি হবে বা নিয়ার এবাওট হবে বা মানে একটা কিছু হবে আর কি, তবে সেটা ইমপর্ট্যান্ট না কিন্তু এই প্র্যাকটিসটা আমি এবসুলেইটলি পছন্দ করি না। এবং এই এটিচুডটা যে আপনে অ্যা অ্যা অ্যা যদি পটেনশিয়ালি দরকার থাকে অ্যা অ্যা অ্যা পায়ে ধইরা সালাম করবেন আর কি, এটা শেখ হাসিনার টেকনিক। শেখ হাসিনা মানে ছাত্রলীগের টেকনিক আর কি হে এই গুলা আন এক্সপেকটেড।
নিজামুল হক নাসিম : হা হা হা (হাসি)।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আর সেই লোক গিয়ে যখন মেম্বার হয়া গেল আমি তো স্টানড হয়া। আমি শুধু এটা রায় হানকে বলছি আর কাউরে বলি নাই আমি কিন্তু হা হয়া গেছি একেবারে। এটা করলটা কি। এটা কোন ইকুয়েশন ছিল না । কিন্তু জাস্ট শুধু মাত্র এইটা কালচার হয়া গেছে আমাদের, মানে যারা এই চাকরি বাকরি করে ইডিয়েটরা। তারা ওই সুযোগ পাইলেই আর কি যে ঠ্যাঙে ধইরা ফেলায় আর কি এবং এইভাবেই তারা মানে কেরিয়ার বিল্ডআপ করে। আই ওয়াজ শক্ড্, স্টান্ড্ একবারে আন এক্সপেকটেড এবং মানে এমবারাড্। যা বলেন সব কিছু হইছি আর কি। এন্ড দেন তার পরে ইয়ে হইয়ে কি বলে অ্যা অ্যা যখন মেম্বার হয়া গেছে তখন আমারে চিনে না। আমি একদম হা হয়া গেছি
নিজামুল হক নাসিম : আওয়ামী টাইপ চরিত্র এইটাই । ফাস্ট ভুলে যায় আর কি। আহমদ জিয়াউদ্দিন : হু মিনিমাম এতো আছে আর কি । মানে মিনিমাম ভদ্রতা আছে আর কি। বরঞ্চ ওইখানে কবির সাহেব কিন্তু ইয়ে করছে আর কি। আপনি আসেন-আপনি বসেন। এখন চা খান। আমি বললাম যে আমি দোকান থেকে চা খেয়ে আসছি। আমরা তো জাস্ট একটু পরে উঠব রিসেসের মাঝখানে লাস্ট আওয়ারের মাঝখানে আপনি আসেন রুমে আসেন । কোট রুমে ত অ অ ইয়ে ছিল উঁকি দিয়ে দেখি যে এখানেত বসার কোন জ্যায়গা নাই আর কি । ত আর আমিত গেলাম না কোর্ট রুমে আর বাট ওইখানে আমি খুবই শকড হইছি আর কি। এবং ফলে ওবায়দুল হাসানের সাথে আমার ওই সেন্সে মানে পরিচয় হয় নাই। হু।
নিজামুল হক নাসিম : এইবার হবে ইনশাল্লাহ আমার বাসায়ই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, আচ্ছা তা ঠিক আছে তা হলে কালকে দেখেন।
নিজামুল হক নাসিম : দোয়াটা কইরেন।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ ভালভাবে হেন্ডেল করেন, এইটার জন্য মানে আমার মেইন কথা হচ্ছে এইটার ইন্টারনাল কোন লেজিটিমেসি নাই এই এপলিকেশন কিন্তু ইনটারনেশনাল অ্যা অ্যা অ্যা এঙ্গেল একটা আছে । আর কি, বাট এই টা যদি সিম্পলি যদি ই করে দেন, যেভাবে আপনি বললেন আমরা এমন কিছু দেখছি না। এর ভিতরে যেটা অ্যা অ্যা আপনাকে ইন্সপায়ার করে অথবা এন কারেজ করে।
নিজামুল হক নাসিম : ইসু সামনস।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ইসু সামনস
নিজামুল হক নাসিম : তারে বলমু ইফ ইউ ওয়ান্ট ইউ। ইউ কেন ব্রিং অফ ইউর ওন। বাস।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, বাট ইউ কেন ইউ কেন অলওয়েস ব্রিং ইউর ইউর উইটনেস। আপনার ওই অর্ডার টাত স্টান্ড করতেছে, আইও শেষ হয় গেলেই শুরু হবে।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ য়ে-এ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তাইতো।
নিজামুল হক নাসিম : ইয়েস।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওকে।

oliullahnoman@yahoo.com
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2012/12/13/177686#.UMmSDWekgcM

কোন মন্তব্য নেই: