***যে ব্যক্তি আল্লাহর পরিবর্তে এমন বস্তুর পূজা করে, যে কেয়ামত পর্যন্তও তার ডাকে সাড়া দেবে না, তার চেয়ে অধিক পথভ্রষ্ট আর কে? তারা তো তাদের পুজা সম্পর্কেও বেখবর।*****আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই, তিনি চিরঞ্জীব, সবকিছুর ধারক। *** ওই ঈমানদারদের সাথে তাদের শত্রুতার এ ছাড়া আর কোন কারণ ছিল না যে তারা সেই আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছিল, যিনি মহাপরাক্রমশালী এবং নিজের সত্তায় নিজেই প্রশংসিত – (আল বুরুজ-৮) || যারা মুমিন পুরুষ ও নারীদের ওপর জুলুম - নিপীড়ন চালিয়েছে ,তারপর তা থেকে তওবা করেনি, নিশ্চিতভাবেই তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আযাব এবং জ্বালা - পোড়ার শাস্তি – (আল বুরুজ-১০) || যারা ঈমান এনেছে ও সৎকাজ করেছে নিশ্চিতভাবেই তাদের জন্য রয়েছে জান্নাতের বাগান যার নিম্নদেশে প্রবাহিত হতে থাকবে ঝরণাধারা৷ এটিই বড় সাফল্য – (আল বুরুজ-১১) || এই ওয়েবসাইট সম্পর্কে আপনার মতামত ও গঠনমূলক সমালোচনা জানিয়ে ই-মেইল করুন। *** হে আল্লাহ,আমাদেরকে তোমার সত্যের পথে পরিচালিত কর। আমাদের সম্মুখে তোমার পথ সহজ ও সরল করে দাও। আমীন...!

বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১০

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

 
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চিন্তা ও গবেষনার ক্ষেত্রে এক ব্যাপক বিপ্লব ইসলামীর জ্ঞান চর্চার এক নিখুত পরিকল্পনা
উন্নত চরিত্র গঠনের এক মজবুত সংগঠন
জনসেবা ও সমাজ সংস্কারের এক ব্স্তাব কর্মসুচি
জনকল্যানমুখী আদর্শ রাষ্ট্র ও সরকার গঠনের নিয়মতান্তিক আন্দোলন
ইকামাতে দ্বীনের দায়িত্ব আল্লাহ তায়ালা তার রাসুল হযরত মুহাম্মাদ (সা:) কে মুলত যে কাজটি করার জন্য দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন তা কুরআরের তিনটি সুরায় স্পট ভাষায় ঘোষনা করেছেন: তিনিই সে মহান সত্তা (আল্লাহ) যিনি তার রাসূলকে হেদায়াত ও আনুগত্যর একমাত্র সত্য বিধান (দ্বীনে হক) সহ পাঠিয়েছেন, যেন (রাসুল) তাকে (ঐ বিধানকে) আর সহ বিধানের উপর বিজয়ী করেন। (সুরা তাওবা : সুর ফাতহ : ২৮, সুরা সাফ :৯) রাসুল (সা.) আল্লাহর দ্বীনকে কায়েম করেই এ দায়িত্ব পালন করেছেন । ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ , রাস্ট্র, আইন, শাসন, বিচার, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি সব ক্ষেত্রেই তিনি আল্লহর বিধানকে চালু করে প্রমাণ করেছেন যে, ইসলামই দুনিয়ার জীবনে শান্তি ও একমাত্র উপায়। তাই দ্বীন ইসলাম কায়েমের দায়িত্ব পালন করা অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ কাজ সাহাবায়ে কেরামও রাসুল (স.) এর সাথে এ দায়িত্বই পালন করেছেন । মুসলিম হিসেবে আমাদের সবারই যথাযথভাবে পালন করা কর্তব্য । এ দায়িত্ব অবহেলা করে আল্লাহর সন্তুট্ িহাসিল করা কিছুতেই সম্বব নয় । জামায়াতবদ্ব জীবনের গুরুত্ব ইসলাম কায়েমের এ মহান দায়িত্ব একা একা পালন করা নবীর পক্ষে সম্বব ছিল না । তাই যারাই নবীর প্রতি ঈমান এনেছেন তাদেরকেই সংঘবদ্ব করে নবীগন ইসলামী আন্দোলন করেছেন । যে সমাজে ইসলাম কায়েম নেই সেখানে ব্যক্তি জীবনেও পুরোপুরি মুসলীম হিসেবে জীবন যাপন করা কঠিন । আর আল্লহর দ্বীনকে সমাজ জীবনে কায়েম করার কাজ তো জাময়াবদ্বভাবে ছাড়া কিছুতেই সম্বব নয় । নবী করীম (সা.) বলেছেন, মেষের পাল থেকে আলাদা একটি মেষকে যেমন নেকড়ে বাঘ সহজেই ধরে খায় , তেমনি জামায়াত থেকে বিচ্ছিন্ন একজন মুসলিম সহজেই শয়তানের খপ্পরে পড়ে যায় । তাই জামায়াতবদ্ব জীবনই ঈমানের অনিবার্য দাবী । জামায়াতে ইসলামী কোন ধরনের দল জামায়াতে ইসলামী প্রচলিত অর্থে শূধু মাত্র ধর্মীয় , রাজতৈক , সামাজিক বা সাংস্কৃতিক দল নয় । ইসলামে ধর্মীয় জীবনের গুরুত্ব আছে বলেই জামায়াত ধর্মীয় দলের দায়িত্ব পালন করে । রাজনৈতিক শক্তি ছাড়া ইসলমী আইন চালু হতে পারে না বলেই জামায়াত রাজনৈতিক ময়দানে কাজ করে । সমাজ সেবা ও সামাজিক সংশোধন জোর তাগিদ ইসলাম দিয়েছে বলেই জামায়াত ইসলামী একট্ পূর্ণাঙ্গ ইসলামী আন্দেলন । জামায়াতের বুনিয়াদী আকিদা বিশ্বাস * আল্লাহ পাকই মানব জাতির একমাত্র রব, বিধানদাতা ও হুকুমকর্তা । * কুরআন সুন্নাহই মানুষের জন্য পুনাঙ্গ জীবন বিধান । * মহানবীই (সা.) মানব জীবনের সর্বক্ষেত্রে অনুসরনযোগ্য আর্দশ নেতা । * ইসলাম প্রতিষ্টার আন্দোলনই মুমিন জীবনের লক্ষ্য । * আল্লাহর সন্তুটি ও আখিরাতের মুক্তিই মুমিনের কাম্য । জামায়াতে ইসলামীর সংগঠন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দ্বীন ইসলাম কায়েম করতে চায় বলেই সংগঠনের মাধ্যমে যোগ্য লোক তৈরি করছে। ইসলামী সমাজ, রাষ্ট্র, সরকার কায়েম করতে হলে এ বিরাট কাজের উপযোগী লোক যোগাড় করতেই হবে । এ লোক আসমান থেকে নাযিল হবে না, বা বিদেশ থেকেও আমদানী করা যাবে না । দাওয়াত ও সংগঠনের মাধ্যমে বিশ্বনবী (সা.) লোক যোগাড় করেছিলেন তেমনি জামায়াতে ইসলামী এ দেশের মানুষ থেতেই উপযুক্ত লোক তৈরি করছে।

জামায়াতের ৩ দফা দাওয়াত কুরআন ও হাদীস থেকে জানা যায়, নবীগন (আ.) মানুষকে এই বলে দাওয়াত দিয়েছিলেন : হে দেশবাসী, একমাত্র আল্লাহর দাসত্ব কর । তিনি ছাড়া তোমাদের আর কোন হুকুম কর্তা নেই। (সুরা আরাফ) শেষ নবীর এ দাওয়াত যারা কবুল করেছেন তারা সবাই এ ঘোষনা দিয়ে ইসলামে প্রবেশ করেছেন: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, মুহাম্মাদ (সা.) আল্লাহর রাসূল। জামায়াতে ইসলামী কালেমা তাইয়্যেবার এই ঘোষণাকে ৩ দফা দাওয়াত আকারে পেশ করছে . দুনিয়ায় শান্তি ও আখিরা এর মুক্তি পেতে হলে জীবনের সর্বক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালাকে একমাত্র ইলাহ (হুকুমকর্তা ) ও মুহাম্মাদকে (সা.) একমাত্র আর্দশ নেতা মেনে নিন। ২. আপনি যদি সত্যি তা মেনে নিয়ে থাকেন তাহলে আপনার বাস্তব জীবন থেকে ইসলামের বিপরীত চিন্তা, কাজ ও অভ্যাস দুর করুন এবং আল্লাহ ও তার রাসুল (সা.) এ বিরুদ্বে কারো আনুগত্য না করার সিদ্তান্ত নিন। ৩. এ দুটো নীতি অনুযায়ী খাটি মুসলিম হিসেবে জীবন যাপন করতে চাইলে জকমায়াতবদ্দ হয়ে অসৎ লোকদেরকে নেতৃত্বে থেকে সরিয়ে দিন এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের সকল স্তরে ঈমানদার , আল্লাহভীরু, সৎ ও যোগ্য লোকদের হাতে নেতৃত্ব তুলে দিন।

জামায়াতের ৪ দফা কর্মসুচি . দাওয়াতের মাধ্যমে চিন্তার পরিশুদ্দী ও পুর্নঠনের কাজ: জামায়াত কুরআন ও সুন্নাহর সঠিক শিক্ষাকে বলিষ্ঠ যুক্তির সাহায্যে তুলে ধরে জনগনের চিন্তার বিকাশ সাধন করছে । তাদের মধ্যে ইসলামাকে অনুসরন ও কায়েম করার উৎসাহ ও মনোভাব জাগ্রত করছে। . সংগঠন ও প্রশিক্ষণের কাজ: ইসলাম কায়েমের সংগ্রামে আগ্রহী ব্যক্তিদেরকে সুসংগঠিত করে উপযুক্ত প্রশিন দিয়ে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার যোগ্য করে গড়ে তুলছে। . সমাজ সংস্কার সেবার কাজ: ইসলামী মূল্যবোধের ভিত্তিতে সমাজের সংশোধন, নৈতিক পুনগর্ঠন ও সমাজসেবামুলক কাজের মাধ্যমে জামায়াত সমাজের উনানয়ন ও কল্যাণ সাধন করছে। ৪. সরকার সশোধনের কাজ: জামায়াত শাসন ব্যবস্তার সকল স্তরে অযোগ্য ও অসৎ নেতূত্বের বদলে আল্লাহভীরু, সৎ, ও যোগ্য নেতত্ব কায়েমের জন্য গনতান্তিক পন্থায় চেষ্টা চালাচ্ছে। জামায়াতে ইসলামীর কর্মনীতি: * লোক তৈরির কর্মনীতি ইসলামী সমাজের উপযোগী বলিষ্ঠ ঈমান ও চরিত্র সৃষ্টির জন্য ইসলামী আান্দেলনই একমাত্র উপায়। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক,সামাজিক, ও ধর্মীয় কায়েমী স্বার্থের বিরুদ্বে আন্দোলনের মাধ্যমেই উপযুক্ত লোক তৈবি হয়। তাই জামায়্তা এ পন্তায়ই লোক তৈরি করছে। ত্যাগী ও নি:স্বার্থ কর্মী এভাবেই তৈরি হয়ে থাকে। * সরকার গঠনের কমনীতি হুজুগ, সন্ত্রাস ও বিশূঙ্খলার মাধ্যমে জাতিগঠনমুলক ও সমাজ পরিবর্তনের কাজ হতে পারে না। তাই জামায়াত নিয়মতান্তিক ও গনতান্তিক পথেই সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিতে চায়। ইসলামী আদর্শ জোর করে জনগনের উপর চাপাবার বিষয় নয়। জনসমর্থন নিয়েই ইসলামের সত্যিকার বিজয় সম্বব। জামায়াত ইসলামীর অবদান * বাংলা ভাষায় ইসলামী সাহিত্যেও ব্যাপক প্রসার। * রাজনৈতিক অঙ্গনে শক্তিশালী ইসলামী ধারা সৃষ্টি ও জাতীয় রাজনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা পালনে গুরুত্বপুর্ন অবদান। মাদরাসা ও সাধারন শিক্ষায় শিক্ষিত লোকদের যোগ্যতা বৃদ্বি করে ঐক্যবদ্বভাবে দেশ ও জনগণের খেদমত করার পরিবেশ সূষ্টি করেছে। একদল নিষ্ঠাবান, সৎ, ও যোগ্য লোক তৈরি করেছে এবং সততা ও স্বচ্চাতার দৃস্টান্ত স্থপন করে যাচ্ছে। ইসলামের বিজয়ের জন্য শর্ত আল্লাহ পাক সরাসরি শক্তি প্রয়োগ করে ইসলাম কায়েম করেন না আল্লহর খিলাফতের দায়িত্ব পালনেব জন্য যারা চেস্টা করে আল্লাহ এ কাজে তাদেরকেই সাহায্যে করেন। আল্লাহর যমীনে আল্লাহর দ্বীন কায়েম করার যোগ্য লোক তৈরি হলে তিনি তাদের হাতে মতা তুলে দেন। আপনি কি ইসলামের বিজয় চান? আপনি নিশ্চয়ই আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী দেখতে চান। তাহলে আসুন জামায়াতে শমিল হোন  । নিজেকে ঈমান, ইলম, আখলাক ও আমলে সজ্জিত করুন। এ উদ্দেশ্যে জামায়াতে ইসলামী যে কর্মনীতি গ্রহন করেছে তা আপনাকে এ পথে এগিয়ে দেবে। জামায়াতে শমিল হওয়ার জন্য * পয়লা সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করুন। * ইসলামী জ্ঞান ও চরিত্র অর্জনের জন্য সাপতাহিক বৈঠকে নিয়মিত হাজির হোন। * পবিত্র কুরআনের তাফসির, হাদীস ও ইসলামী সাহিত্য এবং পত্র পত্রিকা ভাল করে পড়ুন। * ইসলামের যতটুকু ইলম হাসিল হয় সে অনুযারী আমল করুন এবং বিকেকের বিরুদ্বে কোন কাজ না করার মজবুত সিদ্বান্ত নিন। * যোগ্যতার সাথে দ্বীনি দায়িত্ব পালন করতে হলে জামায়াতের সদস্যপদ গ্রহন করুন।

কোন মন্তব্য নেই: