শনিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১০

ছয় দিনে মহাবিশ্ব

মহাবিশ্বকে নিয়ে মহা চিন্তায় আছেন বিজ্ঞানীগণ। গবেষণা করে যাচ্ছেন দিনের পর দিন আরও নতুন কিছু উদ্ভাবন অথবা আবিস্কার করা যায় কিনা সে লক্ষ্যে। ব্যয়ও করা হচ্ছে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার এ খাতে। সমালোচকেরা বলে থাকেন বিপুল অংকের এ অর্থ যদি হতভাগ্য পৃথিবী বাসীদের কল্যাণের জন্য ব্যয় করা হত তাহলে কতই না ভাল হত। মহাকাশীয় বস্তু আবিস্কারের ফলে কিইবা এমন লাভ। এতে শুধু মেধা, অর্থ ও সময়ের অপচয় হচ্ছে মাত্র। লাভ-ক্ষতি নিয়ে বিতর্ক না হয় অন্য কোনদিন করা যাবে। তবে, যে মহাবিশ্ব ক্ষুদ্র প্রাণী থেকে শুরু করে দানব রূপ মহাজাগতিক বস্তুকে বক্ষে ধারণ করে আছে তার জন্ম বৃত্তান্ত জানার আগ্রহ থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তাই এ লেখাতে বরং গবেষকদের গবেষণা লব্ধ ফল ও সৃষ্টি কর্তার বাণী তথা পবিত্র কুরআন থেকে বিশাল এ মহাবিশ্ব তৈরীতে কত সময় লেগেছে তা নিয়ে আলোচনা করা যাক।
বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে গণনা করে দেখিয়েছেন মহাবিশ্বের বয়স মোটামুটি ১১ শ কোটি থেকে ১৫ শ কোটি বছর। যদি প্রশ্ন করা হয় এটা কত বছরে তৈরি হয়েছে? তাহলে নিশ্চিত করে বলা কঠিন হবে। মহাবিশ্বের শুরুর ব্যাপারে অধিকাংশ বিজ্ঞানীদের নিকট গ্রহণযোগ্য তত্ত্ব হল মহাবিষ্ফোরণ তত্ত্ব ('Big Bang Theory')| বিষ্ফোরণের পর থেকে বিশাল একটা সময় অতিক্রম করে ক্রমবিকাশের মধ্য দিয়ে ও বিভিন্ন পর্যায় পেরিয়ে দৃষ্টি নন্দন এ বিশ্ব আমাদের মাঝে প্রতিভাত হয়েছে। আর বর্তমানেও তা সম্প্রসারিত হচ্ছে। আল্লাহ্‌ বলেন - আমি স্বীয় ক্ষমতাবলে আকাশ নির্মাণ করেছি এবং নিশ্চয় আমরা এটাকে সম্প্রসারণ করছি। (৫১. আয-যারিয়াতঃ ৪৭)। সম্প্রসারণের সাথে সাথে মহাবিশ্বে পরিবর্তনের ধারাও চালু আছে। ফলে একশ কোটি বছর পর অর্থাৎ ধরে নিচ্ছি মহাবিশ্বের বর্তমান বয়স ১৫ শ কোটি বছর। ১৬ শ কোটি বছর বয়সে মহাবিশ্ব এখন যেমনটি আছে অবশ্যই তেমনটি থাকবেনা। তাহলে এটার পূর্ণাঙ্গ রূপ পেতে ১৫ শ কোটি বছর লেগেছিল? নাকি ১৬ শ কোটি বছর লাগবে? অথবা ক্রমবিকাশের ধারার মধ্যে কোন পর্যায় বা যুগকে আমরা মহাবিশ্বের পূর্ণাঙ্গ রূপ হিসাবে ধরব? যতটুকু জানা যায় তাতে মহাবিশ্বের পূর্ণাঙ্গ রূপ পেতে কত বছর লেগেছিল তা নির্দিষ্ট করে বিজ্ঞানীরা সেভাবে উল্লেখ করেননি। তবে আমাদের সকলের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ সুব্‌হানা তায়ালা পবিত্র কুরআনে তা নির্দিষ্ট করেই বলে দিয়েছেন - আল্লাহ্‌, তিনি আকাশমন্ডলী, পৃথিবী ও ওদের অন্তর্বর্তী সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছেন ছয় দিনে। (৩২. সাজদাঃ ৪)

এমন একটা সময় ছিল যখন চলমান বিশ্বের কোন কিছুই দৃশ্যমান ছিলনা। বিজ্ঞানীদের তত্ত্বানুসারে সকল পদার্থ ও আমাদের জানা মৌলিক চারটি শক্তি অতি ক্ষুদ্র একটি বিন্দুতে (Singularity Point - যা পরমানুর চেয়েও ক্ষুদ্র) পুঞ্জিভুত হয়ে ছিল। তখন বস্তু, স্থান ও সময়ের কোন অস্তিত্ব ছিলনা। অজানা কারণে হঠাৎ করে মহা বিষ্ফোরণের মাধ্যমে অদ্বৈত্য বিন্দুটি (Singularity Point) সম্প্রসারিত হতে শুরু করে এবং কালের ব্যবধানে মহাবিশ্ব আজকের এ রূপ লাভ করে। এ তত্ত্বটিই বিজ্ঞানের জগতে মহাবিষ্ফোরণ তত্ত্ব ('Big Bang Theory') নামে পরিচিত।

বিজ্ঞানীদের দেয়া তথ্য থেকে আমরা এও জানতে পারি যে, মহাবিশ্বকে বর্তমান অবস্থায় আসতে বিশাল এক সময়ের মধ্য দিয়ে কতগুলো যুগ (Era) অতিক্রম করতে হয়েছিল। আলোচ্য বিষয়ের সাথে গভীর ভাবে সম্পর্কিত বলে এখন সে যুগ বা পর্যায় গুলি নিয়ে কিছুটা আলোচনা করব । সম্মানিত পাঠক নিচের দেয়া টেবিলটিতে মনোযোগ সহকারে চোখ বুলিয়ে নিন।

Big Bang Time line
Time Era Temperature Characteristics of the Universe
0 to 10-43 s Big Bang infinite infinitely small, infinitely dense
Primeval fireball
1 force in nature - Super gravity
10-43 s Planck Time 1032 K Earliest known time that can be described by modern physics
2 forces in nature, gravity, GUT
10-35 s End of GUT 1027 K 3 forces in nature, gravity, strong nuclear, electroweak
Quarks and leptons form
(along with their anti-particles)
10-35 to 10-33 s Inflation 1027 K Size of the Universe drastically increased, by factor of 1030 to 1040

10-12 s End of unified forces 1015 4 forces in nature,
protons and neutrons start forming from quarks
10-7 s Heavy Particle 1014 K proton, neutron production
in full swing
10-4 s Light particle 1012 K electrons and positrons form
100 s (a few minutes) Nucleosynthesis era 109 - 107 K helium, deuterium, and a few other elements form

380,000 years Recombination (Decoupling) 3000 K Matter and radiation seperate
End of radiation domination, start of matter domination of the Universe
500 million yrs Galaxy formation 10 K galaxies and other large structures form in the universe
14 billion years
or so Now 3 K You are reading this table, that's what's happening.

http://www.uni.edu/morgans/astro/course/Notes/section3/bigbang.html
উপরের ছকে আমরা মহাবিশ্বের বিবর্তনের ব্যাপারে কিছূ তথ্য দেখতে পাচ্ছি । টেবিলটিতে সময়, যুগ, তাপমাত্রা এবং বিভন্ন যুগে মহাবিশ্বের বৈশিষ্টগুলি কি ছিল তা দেখানো হয়েছে।

(বিঃ দ্রঃ ১০-৪৩ সেঃ = ১ সেকেন্ডকে ১ লিখার পর ৪৩ টি শূন্য বসানোর পর যে সংখ্যাটি হয় তা দিয়ে ভাগ করার পর যে ক্ষুদ্র সংখ্যা পাওয়া যাবে তত সেকেন্ড। ১০৩২ কেলভিন = ১ লিখার পর ৩২ টি শূন্য বসানোর পর যে বিরাট সংখ্যাটি পাওয়া যাবে তত কেলভিন। ০০ সেলসেয়াস = ২৭৩০ কেলভিন। অন্যান্য সংখ্যা গুলিও একই ভাবে বুঝতে হবে)

উপরের ছক থেকে আমরা দেখতে পাচ্ছি ০ থেকে ১০-৪৩ সেকেন্ডের মধ্যে কোন এক সময় মহা-বিষ্ফোরণ ঘটে। বিষ্ফোরণের পর সেখানে অসীম তাপমাত্রা বিরাজ করছিল। বিশ্ব ছিল অত্যন্ত ক্ষুদ্র, অসীম ঘন একটি আদিম অগ্নি গোলক। প্রকৃতিতে তখন শুধু মাত্র অভিকর্ষ বলের অস্তিত্ব ছিল। আর সেই থেকেই শুরু হয়েছিল মহা সম্প্রসারণের যা কিনা এখন পর্যন্ত চলছেই। সময় বাড়ার সাথে সাথে তাপমাত্রাও কমতে থাকল। আর সময়ের কুণ্ডলী পাকিয়ে এক একটি যুগ পার করতে থাকল নবজাত এ শিশু বিশ্বটি। ক্রমবিকাশের মধ্য দিয়ে অনেক সৃষ্টি বক্ষে ধারণ করে পূর্ণতা লাভের দিকে এগুতে থাকল প্রবল গতিতে এ মহাবিশ্ব।

একীভূত হয়ে থাকা প্রকৃতির ৪ টি মৌলিক শক্তি {gravity, strong nuclear, electroweak (unification of the electromagnetic and weak interactions)} একে একে আলাদা হয়ে গেল একে অপর থেকে। ক্রমবিকাশের এক পর্যায়ে পদার্থের সব চেয়ে ছোট কণা কোয়ার্ক (Quark) ও লেপটন (Lepton) অস্তিত্বে আসল। একই ভাবে সময়ের সাথে সাথে প্রোটন, নিউট্রোন, পজিট্রোন তারপর হেলিয়াম, ডেটেরিয়াম এবং কিছু অন্যান্য মৌলিক পদার্থও জন্ম নিল। ধারণা করা হচ্ছে মহাবিশ্বের বয়স যখন ৫০০ মিলিয়ন বছর এবং তাপমাত্রা ১০ কেলভিন তখন গ্যালাক্সি সহ অন্যান্য বৃহৎ আকারের মহাজাগতিক বস্তুও বাহ্যিক অবয়বে প্রকাশিত হয়েছিল। ১৪০০ শত কোটি বছর থেকে আজ পর্যন্ত মহাবিশ্বের প্রকৃত চেহারা আমাদের সামনেই রয়েছে। এখন সর্বত্রই তাপমাত্রা হচ্ছে প্রায় ৩ কেলভিন। উল্লিখিত সব ঘটনাই ঘটেছে কতগুলো যুগের মধ্য দিয়ে পাড়ি জমানোর পরেই। আমরা টেবিল থেকে আরও জানতে পেরেছি যুগগুলির কোনটি সময়ের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অংশ অতিক্রম করেছে, কোনটি মাঝারি আবার কোনটি শত শত কোটি বছরও নিয়েছে।

মহাবিশ্ব সৃষ্টিতে আল্লাহর ঘোষিত সময় ৬ দিন, বিজ্ঞানীদের হিসাবের শত শত কোটি বছরের সাথে আপাত দৃষ্টিতে সাংঘাতিক ভাবে সাংঘর্ষিক মনে হতে পারে। ৬ দিন আর শত শত কোটি বছর ভাবতেও অবাক লাগে। কারো কারো নিকট মনে হতে পারে এই বুঝি বিজ্ঞানের সাথে কুরআনের টক্কর বেধে গেল। মনে রাখতে হবে মহান সৃষ্টি কর্তার বাণী কখনও মিথ্যা হতে পারেনা। বিজ্ঞানীরা বার বার মত পাল্টিয়ে বিভিন্ন তত্ত্ব উপস্থান করেছেন মহাবিশ্ব সৃষ্টির ব্যাপারে। এমনকি এখনও সকল বিজ্ঞানী শুধুমাত্র একটি মতের উপর প্রতিষ্ঠিত নেই। আমরা দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি সত্যের সাথে কুরআনের বাণী সাংঘর্ষিক নয়। উল্লিখিত ৬ দিনের ঘোষণা অবধারিত ভাবে সত্য। কিন্তু শত শত কোটি বছরের ধারণা নির্জলা মিথ্যা এভাবে উপসংহার টানা মনে হয় সমীচীন হবেনা। কাজেই মহাবিশ্বের পূর্ণতা লাভে যে সময় লেগেছে তা কুরআনের সাথে সাংঘর্ষিক কিনা তা নিয়ে একটু ভেবে দেখা যাক।

কয়েক ঘন্টা ধরে পৃথিবীর কোন ভূখন্ডে সূর্যের আলো পতিত হওয়া আর না হওয়ার কারণেই আমরা দিন ও রাতের উপস্থিতি লক্ষ্য করে থাকি। পৃথিবীতে কাজের সুবিধার জন্য সময় গণনার ক্ষেত্রে দিন ব্যবহার হয়ে থাকে। কিন্তু মহাবিশ্বের অন্য কোন গ্রহের বা স্থানের দিন পৃথিবীর দিনের সমান হবে এমনটি বলা যায়না। এবারে সময় ও দিনের ধারণা নিতে পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন সুরা থেকে কয়েকটি আয়াতের উদ্ধৃতি পেশ করছি। তিনিই যথাবিধি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন; যখন তিনি বলেন, হও, তখনই তা হয়ে যায়; (৬ঃ ৭৩)। আমার আদেশ তো একটি কথায় নিষ্পন্ন, চক্ষুর পলকের মত; (৫৪ ঃ ৫০)। উল্লিখিত আয়াত দুটিতে আল্লাহ্‌ কত অল্প সময়ে সৃষ্টি করতে পারেন তার উল্লেখ করেছেন। তিনি শুধু মাত্র হও বললেই এবং ছোখের পলকেই যে কোন জিনিস সৃষ্টি করতে সক্ষম। কাজেই এখানে হও বললেই হয়ে যাওয়া এবং চোখের পলককে সময়ের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র একটা অংশকে বুঝানো হয়েছে।

আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যা আছে সকলেই তাঁর নিকট প্রার্থী, তিনি প্রত্যহ গুরুত্বপূর্ণ কার্যে রত; (৫৫.রহ্‌মানঃ ২৯)। আজ আমি তোমার দেহটি রক্ষা করব যাতে তুমি তোমার পরবর্তীদের জন্য নিদর্শন হয়ে থাক। ...( ১০.ইউনুসঃ ৯২)। বর্ণীত আয়াত দুটি থেকে প্রত্যহ এবং আজ শব্দ দুটি শুধু মাত্র একটি দিনকে নির্দেশ করে।

তিনি আকাশ হতে পৃথিবী পর্যন্ত সমুদয় বিষয় পরিচালনা করেন, অতঃপর একদিন সমস্ত কিছুই তাঁর সমীপে সমুত্থিত হবে-যেদিনের পরিমাপ হবে তোমাদের হিসাবের সহস্র বৎসরের সমান। (৩২.সাজদাঃ ০৫)। ফেরেশ্‌তা এবং রূহ আল্লাহ্‌র দিকে উর্ধ্বগামী হয় এমন একদিনে তা পার্থিব পঞ্চাশ হাজার বৎসরের সমান। (৭০.মারিজঃ ০৪)। শেষ দুটি আয়াতে দিন আমাদের পরিচিত একটি নির্দিষ্ট দিনকে নয় বরং আমাদের গণনার হাজার হাজার বছরের সমান বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

উপরোল্লেখিত আয়াত গুলি থেকে সহজেই বুঝা যায় আল্লাহ্‌ ইচ্ছা করলে কালের স্বল্পতম, মাঝারি কিংবা বিরাট অংশের মধ্যে যে কোন কাজ সম্পাদন করতে সক্ষম। মহাবিশ্ব সৃষ্টির ব্যাপারে বিজ্ঞানীদের তত্ত্ব থেকেও আমরা জেনেছি ক্রমবিকাশের ধারায় এক একটি যুগ কালের নির্দিষ্ট বিভাগ অতিক্রম করেছে যাতে রয়েছে সময়ের ক্ষুদতম, মাঝারি এবং বৃহত্তম অংশ।
কাজেই এ ক্ষেত্রে কুরআন ও বিজ্ঞানের মধ্যে সংঘর্ষ তো নয়ই বরং আমরা সহ অবস্থান লক্ষ করছি।

এবারে ৬ দিন ও শত শত কোটি বছর নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক। আল্লাহ্‌র ঘোষণা কৃত ৬ দিনের এক একটি দিন সময়ের কতটুকু অংশ নিয়ে তা তিনিই ভাল জানেন। কাজেই নিজেরা অনুমান করে দিনকে ঘুর্ণায়মান পৃথিবীর নিজের অক্ষে একবার প্রদক্ষিণ করার সমান অর্থাৎ ২৪ ঘন্টা অথবা অন্যান্য গ্রহের দিনের সমান ধরে নেয়া সত্যের সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারে। তবে কুরআনের বর্ণনানুসারে দিন সম্বন্ধে আমাদের যে প্রতীতি জন্মেছে তা থেকে ৬ দিনের এক একটিকে সময়ের নির্দিষ্ট বিভাগ (Period) হিসাবে ধরে নেয়াটাই অধিক যুক্তি যুক্ত হবে। তাহলে আল্লাহ্‌ হও বলার সাথে সাথে মহাবিশ্বের যাত্রা শুরু হয়েছে এবং ৬ টি ধারাবাহিক সময়ের নির্দিষ্ট বিভাগ (Period) অতিক্রম করে ফুলে-ফলে তা সুশোভিত হয়েছে। ৬ টি সময়ের নির্দিষ্ট বিভাগের এক একটিতে এক সেকেন্ডের ক্ষুদ্র অংশ থেকে শুরু করে শত শত কোটি বছর লুকিয়ে থাকার ইঙ্গিতই পাওয়া যাচ্ছে উপরোক্ত আয়াতগুলি থেকে। কাজেই ৬ টি Period-G মহাবিশ্বের সৃষ্টি অবৈজ্ঞানিক নয়।

পরিশেষে বিজ্ঞানীদের দেয়া মহাবিশ্বের বয়সের দিকে আবারও ফিরে আসছি। তাঁদের দেয়া তথ্য থেকে আমরা আলোচনার শুরুতেই জেনেছি মহাবিশ্বের বয়স ১১ শত কোটি বছর থেকে ১৫ শত কোটি বছর। এবং এরই মধ্যে অবস্থান করছে সৃষ্টির ক্রমবিকাশের কতগুলি পর্যায় বা যুগ। কথাটাকে ঘুরিয়ে বললে বলতে হয় মহাবিশ্বের সৃষ্টিতে পূর্ণতা আনতে কয়েকটি যুগের প্রয়োজন পড়েছিল। আর ঊপরে কুরআনের আলোচনা থেকেও আমরা ৬ টি যুগের ধারণা পেয়েছি। বিজ্ঞান যদি সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত হয় তাহলে তা আল্লাহর বাণী অর্থাৎ কুরআনের সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারেনা।

লেখকঃ আব্দুল মান্নান

কোন মন্তব্য নেই: