রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১১

ডাক্তারের জন্যে কবর।



রূগীঃ ডাক্তার সাহেব, আমার চিকিৎসার খরচটা কম করে ধরবেন।
আমি খুব গরীব মানুষ। হয়তো আমি কোনদিন আপনার কাজে লাগতে পারি।
ডাক্তারঃ তুমি কী কাজ কর?
রুগীঃ জী,আমি কবর খুঁড়ে থাকি।
সুতরাং যে-ডাক্তার মানুষ বাঁচানোর জন্যে আপ্রান চেষ্টা করে থাকে সে নিজেকেও বাঁচাতে পারে না।
তাকেও শিঘ্র মরতে হবে। তারও কবর হবে।

ঐ দেখ,পূর্ব দিগন্তে নব সজীবতায় ভোরের টুকটুকে লাল সুর্য উদিত হচ্ছে।সে তার স্রষ্টার একান্ত অনুগত হয়ে অনবরত তারই স্বাক্ষ্য দিচ্ছে।আর কালের স্বাক্ষী হয়ে সেই সত্যতা প্রমান করে যাচ্ছে।গতকাল ও সে এমন অনেক কেই আলো দিয়েছিলো।যার কেউই আজ পৃথিবীতে নেই,সে জানেও না তারা কোথায় গেছে।কিন্তু আমরা জানি,তারা কোথায় গেছে।আমাদের কেও সেই গন্তব্য যেতে হবে।আমরা সবাই সেই গন্তব্যরই এক একজন পথচারি মাত্র।কাল ভোরে আবার সুর্য উদিত হবে নব সজীবতার আলো দিয়ে আবারো জাগাবে এই পৃথিবীর মানুষ গুলোকে।কিন্তু সে খানে হয়তো আমি থাকবোনা।কারন এই পৃথিবীতে আমরা কেউই চিরঞ্জীব নই।

কেউ এটা আশা করতে পারেনা যে 'আমি সারাটা জীবন এটা করবো ওটা নিয়ে দিন কাটাবো।এমন কেউ কি আছেন যে;নির্দিষ্ট একটা জীবনের প্যাকেজ নিয়ে সারাটা জীবন কাটিয়ে দিচ্ছেন? আমার মনে হয়! এ ধরনের মানুষ পৃথিবীতে একজন ও নেই। কারন,জীবন প্রতিনিয়ত পরিবর্তন শীল।এই পরিবর্তন শীল জীবন নিয়ে পৃথিবীর মানুষেরা আপন ভাগ্যের বিকাশ-প্রকাশে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে যাচ্ছে। কোনোরকমে তার বয়ষের সীমারেখা অতিক্রম করে যাচ্ছে।

এ ভাবেই হয়তো চলে গেছে জীবনের অনেক সময় অর্ধেকের ও বেশী অথবা পুরোটাই। তবুও জানিনা কখন যে মৃত্যুদূত আলিঙ্গন করার অভিলাসে দাঁড়াবে দরজায়। অথচ তাকে অভিবাদন জানাবার মত হিম্মত নেই বুকে এতোটুকুও।গড্ডলিকায় গা ভাশাতে ভাশাতে পেলে এসেছি সব দিন।সত্যকে ঢেকে দিয়ে আড়ালে আবডালে চলে এসেছি আজ গৌ্ধূলীর শেষ লগ্নে।আজ মৃত্যুর মুখোমুখী হবার ভয় কিন্তু লুকাবো কোথায় পালাবার সকল পথ যে রুদ্ধ।আজ সত্যের মুখোমুখী হয়ে দাড়াতে হবে কাঠগড়ায়।শাহেন শাহর নিকট জবাব দিহিতায়।

কিন্তু এই অসুস্থ আত্না নিয়ে কিভাবে দাড়াবো তার সামনে। কি জবাব দিব সে দিন; যে দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়েছো দু্নিয়ায়। বিন্ধু মাত্র ও তার করিনি পালন,দুনিয়ার মোহে পড়ে সে দায়িত্ব থেকে নিজেকে আড়ালে রেখেছিলাম।যে সম্পদ ও জীবন দিয়েছো তোমার দ্বীনের জন্য তা ব্যায় করিনি এতটুকুও।জীবনের মূল্যবান সময়টার সবটুকুই ধর্মহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার কাজে অতিবাহিত করেছি।

এই যদি হয় আমাদের জীবনের অবস্থা। তবে আমাদের আবারো জেনে রাখা মঙ্গল ময় হোক।'যে ক্ষুদ্র এই জীবনের সময়ের পালা একদিন শেষ হবেই অর্থাৎ বয়সের সীমারেখা যখন সন্নিকটে চলে আসবে তখন এই মায়াবী পৃথিবীর এক সেকেন্ডও ভরশা না করে চলে যেতে হবে পরকালে।এটাই আমাদের জীবন;আর এটাই হল শেষ জীবন;আমরা সবাই পরকালের গন্তব্যবাসী।

কোন মন্তব্য নেই: