***যে ব্যক্তি আল্লাহর পরিবর্তে এমন বস্তুর পূজা করে, যে কেয়ামত পর্যন্তও তার ডাকে সাড়া দেবে না, তার চেয়ে অধিক পথভ্রষ্ট আর কে? তারা তো তাদের পুজা সম্পর্কেও বেখবর।*****আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই, তিনি চিরঞ্জীব, সবকিছুর ধারক। *** ওই ঈমানদারদের সাথে তাদের শত্রুতার এ ছাড়া আর কোন কারণ ছিল না যে তারা সেই আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছিল, যিনি মহাপরাক্রমশালী এবং নিজের সত্তায় নিজেই প্রশংসিত – (আল বুরুজ-৮) || যারা মুমিন পুরুষ ও নারীদের ওপর জুলুম - নিপীড়ন চালিয়েছে ,তারপর তা থেকে তওবা করেনি, নিশ্চিতভাবেই তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আযাব এবং জ্বালা - পোড়ার শাস্তি – (আল বুরুজ-১০) || যারা ঈমান এনেছে ও সৎকাজ করেছে নিশ্চিতভাবেই তাদের জন্য রয়েছে জান্নাতের বাগান যার নিম্নদেশে প্রবাহিত হতে থাকবে ঝরণাধারা৷ এটিই বড় সাফল্য – (আল বুরুজ-১১) || এই ওয়েবসাইট সম্পর্কে আপনার মতামত ও গঠনমূলক সমালোচনা জানিয়ে ই-মেইল করুন। *** হে আল্লাহ,আমাদেরকে তোমার সত্যের পথে পরিচালিত কর। আমাদের সম্মুখে তোমার পথ সহজ ও সরল করে দাও। আমীন...!

সোমবার, ২০ আগস্ট, ২০১২

অকৃতজ্ঞ এবং স্বার্থপরের ব্যর্থতা (নৈতিক শিক্ষামূলক গল্প)




কোন এক সময়, একজন অকৃতজ্ঞ ও স্বার্থপর মানুষ ছিলো।
সব সম্পদের মালিক হোক সেই, এটা সে পছন্দ করতো।
সে তার কোন কিছু কারও সাথে শেয়ার করতো না, এমন
কী কোন গরিব বা বন্ধুর সাথেও না।
একদিন, মানুষটি ত্রিশটি স্বর্ণ মুদ্রা হারিয়ে ফেললো। তো
সে তার বন্ধুর বাড়ি গেলো। তার এ স্বর্ণ মুদ্রা হারিয়ে যাওয়ার
দুঃখের কথা বন্ধুকে বললো। তার বন্ধুটি ছিলো একজন খুব সৎ
এবং দয়ালো ব্যক্তি।
বন্ধুর মেয়ে উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘুরতে গিয়ে বাড়ি ফিরার
পথে একটি থলে পেলো, এতে ত্রিশটি স্বর্ণ মুদ্রা ছিলো।
যখন সে
বাড়ি পৌঁছলো, রাস্তায় সে কী পেলো তা তার বাবাকে জানালো।
বাবা মেয়েকে বললো যে, এই স্বর্ণ মুদ্রা তার এক বন্ধুর এবং
তিনি তার বন্ধুকে বাড়ি আসার জন্য ডেকে পাঠালেন। যখন
সেই অকৃতজ্ঞ ও স্বার্থপর মানুষটি তাদের বাড়ি এসে পৌঁছল,
তখন তিনি তাকে বললেন যে, কীভাবে তার মেয়ে এই স্বর্ণ
মুদ্রাগুলো পেলো।এবং তিনি বন্ধুকে এগুলো ফেরত দিলেন। স্বর্ণ
মুদ্রাগুলো গণনা করে সে মিথ্যা কথা বললো যে, তার থলেতে
চল্লিশটি স্বর্ণ মুদ্রা ছিল। দশটি স্বর্ণ মুদ্রা এখানে কম আছে এবং
এগুলো বালিকাটি নিয়ে গেছে। তখন সে হুমকি দিয়ে বললো যে,
বাকী ১০টি স্বর্ণ মুদ্রা তার কাছ থেকে আদায় করে নিবে।কিন্তু
বালিকাটির বাবা অস্বীকার করলেন।
স্বার্থপর ও অকৃতজ্ঞ মানুষ্টি স্বর্ণ মুদ্রাগুলো না নিয়ে আদালতে
চলে গেলো; বিচারকের কাছে এভাবে মিথ্যা দাবি জানালো।
বিচারক বালিকা ও তার বাবাকে ডেকে পাঠালেন; এবং যখন
তারা আদালতে পৌঁছলেন, বিচারক বালিকাকে জিজ্ঞেস করলেন
যে, কয়টি স্বর্ণ মুদ্রা সে পেয়েছিলো। উত্তরে সে বললো, ৩০টি
স্বর্ণ মুদ্রা। তখন বিচারক স্বার্থপর ও অকৃতজ্ঞ মানুষটিকে জিজ্ঞেস
করলো যে, কয়টি স্বর্ণ মুদ্রা সে হারিয়েছিলো; এবং সে উত্তর দিলো
যে, ৪০টি স্বর্ণ মুদ্রা। তখন বিচারক তাকে বললেন যে, এ কুড়িয়ে
পাওয়া স্বর্ণ মুদ্রাগুলো তার না। কারণ, বালিকাটি পেয়েছে ৩০টি স্বর্ণ
মুদ্রা,৪০টি না; আর সে হারিয়েছে ৪০টি স্বর্ণ মুদ্রা। সুতরাং এগুলো
তার না।
তখন বিচারক বালিকাকে বললেন যে, সে যেন এই স্বর্ণ মুদ্রাগুলো
নিয়ে যায়যদি অন্য কেউ এগুলোর খোঁজে রিপুর্ট করে, তবে তিনি
বালিকাকে ডেকে পাঠাবেন।
বিচারক স্বার্থপর মানুষটিকে বললেন যে, যদি কোন ব্যক্তি ৪০টি
স্বর্ণ মুদ্রা পেয়ে তাঁকে রিপুর্ট করে, তবে তিনি তাকে ডেকে পাঠাবেন।
পরে স্বার্থপর স্বীকার করলো যে, সে মিথ্যা কথা বলেছিলো। আসলে
তার ত্রিশটিই স্বর্ণ মুদ্রা হারিয়ে গিয়েছিলো; কিন্তু বিচারক আর
তার কোন কথাই শুনলেন না।
শেষ কথাঃ এই গল্পটি আমাদের এই শিক্ষাই দেয় যে, সর্বদা সৎ হতে
হবে এবং অসৎ ব্যক্তির জন্য ব্যর্থতা অপরিহার্য

কোন মন্তব্য নেই: