মানবতার মুক্তির আদর্শ ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যিনি তার জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন, আল্লাহর পথে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে তিনি মহিমান্বিত জীবনের অধিকারী হয়ে অনন্ত পথে পাড়ি জমালেন। ১৭ সেপ্টেম্বর মৃত্যুদন্ড- ঘোষণার পর তিনি তার পরিবারকে বলেছিলেন : “আমাকে মৃত্যুদন্ড- প্রদান করায় অবাক হবার কিছু নেই। ইসলামী আন্দোলনে যেদিন যোগ দিয়েছি সেদিন থেকেই শহীদ হবার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছি। জীবনের মালিক আল্লাহ। কখন কিভাবে কার মৃত্যু হবে তা দুনিয়ার কোন মানুষ, বিচারক বা সরকার কর্তৃক নির্ধারণ হয় না। তা নির্ধারণ হয় আল্লাহর সিদ্ধান্তে। আল্লাহ যেদিন যে সময়ে যেভাবে চাবেন সেভাবেই আমার মৃত্যু হবে। আমার জীবনের মালিক রাষ্ট্রপতি নন, মহান রাব্বুল আলামীন। সুতরাং রাষ্ট্রপতি বা কোন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রাণভিক্ষার প্রশ্নই আসে না। তোমাদের প্রতি আমার নির্দেশ আমার পক্ষ থেকে পরিবারের কোন আত্মীয় বা সংগঠনের কোন লোক যেন প্রাণভিক্ষার আবেদন না করে। তোমরা মনে রাখবে যেদিন আব্দুল কাদের মোল্লা দুনিয়ায় এসেছিল সেদিন মাথা উঁচু করে এসেছিল। মৃত্যুর সময়ও কাদের মোল্লার মাথা উঁচু থাকবে। এ মাথা আল্লাহ ছাড়া আর কারও কাছে কোনদিন নত হয়নি, হবেও না। আমি কোন অন্যায় করিনি। আমার বিরুদ্ধে আনীত সরকারের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। স্বাভাবিক মৃত্যুর মাঝে কোন গৌরব নেই। শহীদি মৃত্যু জীবনকে মহিমান্বিত, গৌরবান্বিত করে। আমি সেই গৌরবের মৃত্যু চাই।”
ইসলামী আন্দোলনের
কর্মীদের কাছে এটাই আমার আহ্বান। আমি ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের উদ্দেশে বলছি, শাহাদাতের রক্তপিচ্ছিল পথ
ধরে অবশ্যই ইসলামের বিজয় আসবে। আল্লাহ যাদের সাহায্য করেন, তাদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারে না। ওরা আব্দুল কাদের
মোল্লাকে হত্যা করে ইসলামী আন্দোলনের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে চায়। আমি বিশ্বাস করি, আমার প্রতিফোঁটা রক্ত
ইসলামী আন্দোলনের অগ্রযাত্রাকে তীব্র থেকে তীব্রতর করবে এবং জালেম সরকারের পতন
ডেকে আনবে। আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যেন ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা আমার
রক্তের বদলা নেয়।”
তার মহানুভবতা, অনুপম চরিত্র, নির্মল পরিচ্ছন্ন আত্মা ও কল্যাণকামিতার এক সীমাহীন দৃষ্টান্ত রেখে গিয়েছেন শহীদি মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে। অসংখ্য, অগণিত ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ক্ষোভ, দুঃখ এবং বেদনা নির্বাপিত করতে তার এ বক্তব্য যুগ যুগ ধরে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
তার মহানুভবতা, অনুপম চরিত্র, নির্মল পরিচ্ছন্ন আত্মা ও কল্যাণকামিতার এক সীমাহীন দৃষ্টান্ত রেখে গিয়েছেন শহীদি মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে। অসংখ্য, অগণিত ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ক্ষোভ, দুঃখ এবং বেদনা নির্বাপিত করতে তার এ বক্তব্য যুগ যুগ ধরে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন