রবিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১০

লোডসেডিংয়ে বিভ্রান্ত এক মোরগের কান্ড!

প্রচন্ড গরমের রাতে; লোডসেডিংএ,ফ্যান,যখন ঘুরেও না ঘুরার মত শুধু হেলছে আর দুলছে।আর আমি, খাটের এপাস ওপাস গড়াতে গড়াতে ঘুমাবার বৃথা পন্ডশ্রম করে যাচ্ছি; যদি স্বর্গজগতে;নিজের স্বপ্নের দারটা খুলতে পারি।এভাবে ঘুমাবার চেষ্টা করতে করতে অবশেষে যখন চোখে ঘুম আসতে লাগলো!আর তখনি ঘটল; সেই অঘটন!
গৃহপালিত মোরগ জোরে জোরে ডেকে ডেকে সুবেহসাদেকের ঘোষনা দিয়া বসলো।হাঁজার বোল্ডের শর্ট খাওয়া আতংকে চোঁখ মেলে বসে পড়লাম।ভাবলাম,ঘুমাতে না ঘুমাতেই আবার সুবহেসাদেক হইলো কেমনে!হাত বাড়াইয়া ঘড়ির কাটা দেখলাম।একি রাত সবেমাত্র সাড়ে বারোটা।তাহলে ফাজিল মোরগ এই অসময়ে কিসের ডাক দিল?মেজাজ এমন হইল যে,ফাজিল মোরগটার গলা টিপা ধরি।
পরে অবশ্য বিষয়টা বুঝতে পারলাম। লোডসেডিংয়ে বিভ্রান্ত হয়েই সে এই অঘটনটা ঘটিয়েছে।মানুষ হলে হয়তো বলতো;আমার তো কোন দোষ নাই;যত দোষ ঐ বিদ্যুতের।
হায়রে,চারদিকে আজ এ কেমন পরিবর্তনের হাওয়া!আগে,সুবেহসাদেকের ঘোষনা দিত গৃহপালিত মোরগের দল।অথচ এখন বিদ্যুতের আলোয়ে বিভ্রান্ত মোরগ আজ অসময়েও ডেকে ওঠে,ভোর হওয়ার সুসংবাদ দেয়।
কি অবাক ব্যাপার!

আমাদের ডিজিটাল সরকার;এই বিদ্যুতের ঘাটতি পূরনে কত উদ্যেগই তো নিয়েছেন;তার কি কোন সুফল হয়েছে?খামোখা,আমরা আমজনতা শুধু বিভ্রান্তই হয়েছি।শেষ পর্যন্ত গৃহপালিত পশু-পাখিরাও বিভ্রান্ত হতে শুরু করেছে।
বিদ্যুত ঘাটতি পূরনে;সরকারের অনেক উদ্যোগ দেখে মাঝে মাঝে হাঁসতেও বাধ্য হয়েছি।সরকার কখনো অফিস-আদালতে কোট-টাই না পরার জন্য আহবান করেছে।অথচ,নিজেরা মুজিব কোট,এমন ভাবে গায়ে জড়িয়ে নিয়েছেন যে,দেখে মনে হয়;শরীরের চামড়ার সাথে মিশে এটাও চামড়ারই কোন অংশ হয়ে গেছে।
আর গরমের মধ্যে সেই মুজিব চামড়া শীতল রাখার জন্য;এ,সির,ভলিউম বাড়াতে হচ্ছে,যা লোডসেডিংকে আরো দ্ধিগুন করে তোলে।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে,মুজিব যদি হৃদয়েই থেকে থাকে তাহলে তাকে গায়ে জড়ানোর মানে কি?বোকা লোকে শুধু ধোকা খায়;এর মত আমরা সাধারন জনগন শুধু ধোকাই খাইলাম।যেই লাউ,সেইযে কদু;তা আমরা আজো ছিনেও ছিনলাম না।
তাই,এই বোকা লোকের পক্ষ থেকে;ও বিদ্যুতের আলোয়ে বিভ্রান্ত সকল মোরগের পক্ষ থেকে; মাননীয় প্রধান মন্ত্রীকে আরও একটি উদ্যোগ গ্রহনের আহবান জানাচ্ছি!তিনি যেনো তার সকল নেতা,কর্মীকে বলে দেন যে,অন্তত গরমের সময় এই মুজিব কোট গায়ে না জড়ানোর।প্রয়োজনে শীতকালে দু'টো মুজিব কোট একসাথে গায়ে দিয়ে এই ঘাটতি পুশিয়ে নেয়া যেতে পারে।আশাকরি!সরকারের এই উদ্যোগের ফলে,দেশের কোটি,কোটি নেতা কর্মী যখন গরম কালে মুজিবকোট বর্জন করবেন,তাতে অন্তত দেশের কয়েক মেগাওয়াট বিদ্যুত তো সাশ্রয় হবে।আর গৃহপালিত মোরগ ও তাদের চিরাচরিত ঐতিয্যে নিয়ে বারে বারে বিভ্রান্ত হতে হবেনা।

কোন মন্তব্য নেই: