রবিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১০

“একটা দুইটা জামাত,শিবির ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর”

শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত বাংলাদেশ। তবু মন গলে না প্রধানমন্ত্রীর। ভরসা পান না কিছুতেই। ছাগুলীগকে হারে হারে চিনেন তিনি, অকম্মার ধারি একেকটা। ফেনসিডিল খেয়ে টাল হয়ে কাকে জবাই করতে গিয়ে কাকে জবাই করে বসে ভরসা পান না কিছুতেই। মাতালগুলো হাসিনাকে যে খালেদা ভেবে গলায় ছুরি চালিয়ে দেবে না তারই বা নিশ্চয়তা কোথায়? বাকশালী রাজনীতি পাকাপোক্ত করতে যে লাশের প্রয়োজন ছিল, হারামীগুলো তার বদলে নিজেদের আবু বকরকেই খুন করে ফেসে গেছে। কিছুতেই আর ওদের উপর ভরসা করে নিশ্চিন্ত হতে পারেন না প্রধানমন্ত্রী।

পুলিশলীগ শিবির খেদিয়ে হল বুঝিয়ে দেয় ছাগুলীগকে। ছাগলগুলো তাও ধরে রাখতে পারে না, শিবিরের সঙ্গে মারামারি করে লাশ হয়ে পড়ে থাকে। শেষে ফারুকের লাশটার রগকেটে ম্যানহোলে ফেলার মতো ফালতু কাজটা কিনা পুলিশ লীগকেই করতে হলো? লাশের ব্যবচ্ছেদ কাপুরুষের কাজ, পুলিশলীগের কাজ জীবিত ধরা, মাথায় বন্দুকের নল ঠেকিয়ে মৃত্যুকে তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করা।

বাংলাদেশ পুলিশলীগ। পরীক্ষীত, একেবারে খাঁটিসোনা। পাক্কা জহুরীর চোখে পরখ করে, যাচাই-বাছাই করে পুলিশ বাহিনীতে ঢোকানো হয়েছে ওদের, গুলি চালানোর ট্রেনিং দেয়ার যদিও কোন প্রয়োজন ছিলনা তবু নিয়মরক্ষা বলে কথা। শিবির ধরে ধরে নিঁপুন হাতে জবাই করে ওরা চাকুরীর আগেই কসাইয়ের কাজটাকে প্রায় শিল্পে রূপ দিয়েছে, যেন একেকটা মিকেলএঞ্জেলো। আর গুলি করাতো আরো সহজ, মাথায় ঠেকিয়ে মারলে মিস হওয়ার চাঞ্চই নেই।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সাহারা খাতুন আমড়া কাঠের ঢেকি হলেও প্রধানমন্ত্রীর মনবুঝে কথা বলতে পারেন। র (RAW) বলতেই রাজাকার বুঝে ফেলেন, কথায় ভারি পটু। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েও সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিতেও চিন্তাভাবনা করতে হয় না, সেনাবাহিনী যে তারই অধিন আনসার-ভিডিপি। প্রতিমন্ত্রীও রাখঢাক করে কথা বলেন না, কাউকেই ডরান না, ডরাবেনই বা কাকে? কার ভয়ে দন্তনখর লুকিয়ে রাখতে হবে তা তার বোধগম্যও নয়। তবে কাজে আগ্রহের কমতি নেই দুজনেরই। পুলিশলীগ নিয়ে সদলবল তাই ওরা জামাত শিবিরের রক্তে হোলি খেলার আয়োজনে মাঠে নেমে পড়েছেন।

ছাত্রলীগ ব্যর্থ হলেও পুলিশলীগ প্রধানমন্ত্রীর হৃদয় জ্বালায় কিছুটা পানি ঢালতে পেরেছে, জামাত শিবির কিলিং মিশনে তাই তিনি পুলিশ লীগকেই দায়িত্ব দিয়েছেন। শুধু চিন্তা একটাই, ছাত্রলীগ যদি দায়িত্বে এভাবে অবহেলা করে তবে আগামী দিনের পুলিশ লীগ কাদের দিয়ে চালাবেন তিনি, ভেবে ভেবে প্রধানমন্ত্রী অস্থির হয়ে ওঠেন। ছাগুগুলো মাতলামি টেন্ডারবাজি আর কোন্দল ছাড়া যে কিছুই বুঝতে চায় না, দুঃচিন্তায় ঘুম আসে না তার।

কোন মন্তব্য নেই: