আসাদ বিন হাফিজ
কুয়াশার ভেতর দিয়ে হেঁটে আসে ভোর,
প্রানহীন শুয়ে থাকে আতঙ্কিত রাতের প্রহর
দুপুর উপুড় হয়ে পড়ে থাকে সময়ের খাটে
এভাবেই আজকাল দিনগুলো কাটে।
সন্ত্রাসের ভয়ে ব্যস্ততম ফ্যাক্টরিগুলোর ফটকে
সটাসট তালা পড়ে দিনে দুপুরে; পুলিশের
নাকের ডগায় সুরসুরি দেয় ক্ষমতার দাপট;
ডাক্তারি পড়ুয়া ছেলেরা সতীর্থকে খুন করার জন্য
মহড়া দিয়ে বেড়ায় ঘাতক জল্লাদের মত;
প্রতিপক্ষ নয়-দলীয় কোন্দলে আজকাল
প্রতিদিন খুন হয় অসংখ্য ছাত্র-যুবক।
কুয়াশার ভেতর দিয়ে হেঁটে আসে ভোর,
প্রানহীন শুয়ে থাকে আতঙ্কিত রাতের প্রহর
দুপুর উপুড় হয়ে পড়ে থাকে সময়ের খাটে
এভাবেই আজকাল দিনগুলো কাটে।
সন্ত্রাসের ভয়ে ব্যস্ততম ফ্যাক্টরিগুলোর ফটকে
সটাসট তালা পড়ে দিনে দুপুরে; পুলিশের
নাকের ডগায় সুরসুরি দেয় ক্ষমতার দাপট;
ডাক্তারি পড়ুয়া ছেলেরা সতীর্থকে খুন করার জন্য
মহড়া দিয়ে বেড়ায় ঘাতক জল্লাদের মত;
প্রতিপক্ষ নয়-দলীয় কোন্দলে আজকাল
প্রতিদিন খুন হয় অসংখ্য ছাত্র-যুবক।
টেন্ডারের বখরা নিয়ে খুন, চাঁদার দাবীতে খুন,
হোস্টেলের সিট নিয়ে খুন, কারনে অকারনে
সর্বত্র চলছে খুনের মহড়া। আর আমরা
মাদ্রাসার কোরআন পড়ুয়া ছাত্রদের টুপির নিচে
এবং তাদের সফেদ পাঞ্জাবির পকেটে খুঁজে ফিরছি জঙ্গী।
যখন আলোকিত মানুষ গড়ার কারখানাগুলো
প্রদীপ নেভার মত একে একে বন্ধ হয়ে যায়
সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনীর অনাহুত তান্ডবে; যখন
ভার্সিটির হলগুলো খালি করার নোটিশ দেয় উদ্বিগ্ন প্রশাসন;
যখন বিচারকরা বিব্রত বোধ করে ফিরিয়ে দেয় বিচার
তখন তুমি জানতে চেয়োনা আমি কেমন আছি?
যখন পৃথিবীতে বাংলাদেশ নামে একটি দেশ সৃষ্টির জন্য
যে পরিমান সেনা অফিসার শহীদ হন দীর্ঘ নয় মাসের যুদ্ধে,
তারচে কয়েকগুন বেশি আর্মি অফিসার লুটিয়ে পড়ে
পিলখানার সবুজ দুর্বাঘাসে;যখন সীমান্ত চৌকিগুলোতে
জীবনবাজি রেখে যারা আমাদের নিশ্চিন্তে ঘুমানোর
নিরাপত্তা বিধান করতো সে রকম শত শত জওয়ানকে-
ধরে ধরে প্রতিদিন জেলখানায় ঢুকানো হয়; তখন
তুমি জানতে চেয়ো না আমি কেমন আছি?
যখন পাড়ায় মহল্লায় সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে ডিজিটাল সন্ত্রাসঃ
যখন সীমান্তে কাটা ধানের মত ধান ক্ষেতে
পড়ে থাকে গুলিবিদ্ধ কৃষক; যখন প্রতিদিন
প্রতিপক্ষের আঘাতে নিহত স্বজনের কান্নায়
ঝাঁপসা হয়ে যায় মিডিয়ার নিউজ রুম
যখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত রোগীরা
হাসপাতালের ভেতরই নতুন করে আক্রান্ত হয়;
তখন তুমি জানতে চেয়ো না আমি কেমন আছি?
যখন একটি দেশে বন্যার পানির মত বাড়তে থাকে
বেকারের সংখ্যা; যখন চারদিকে সন্ত্রাস, চাদাবাজি,
রক্ত আর আর্তচিৎকারে মুখরিত দশমিক
যখন পাঁচ বছরের শিশুরাও অজানা আতংকে
স্কুলে না গিয়ে ঘরে বসে সাপলুডু খেলে-
তখন তুমি জানতে চেয়োনা আমি কেমন আছি।
যখন আমার মা ও বোনেরা বোরকা পরার অপরাধে
মুসলমান পুলিশের হাতে বন্দী হয়; যখন আমার চোখের
সামনে দিয়ে তাদের বেআব্রু করে রিমান্ডে নেয়া হয়
তখন আমি বলতেই পারি-একমাত্র আজরাইল ছাড়া
আর কেউ ভাল নেই বাংলার সবুজ প্রান্তরেঃ কিন্তু
সে কথা মুখে উচ্চারন করারও সাহস নেই আমাদের।
অতএব তুমি যদি জানতেই চাও আমরা কেমন আছি
তবে রিমান্ডে যাওয়া বন্দীদের মত আমাকেও হাসি মুখে
বারংবার বলতে হবে-আমি ভালো আছি, ভালো আছি,
তুমি? তুমি ভাল আছো তো?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন