শনিবার, ১ জানুয়ারী, ২০১১

শহীদ শরীফুজ্জামান নোমানী

শহীদ শরীফুজ্জামান নোমানী ও হাফেজ রমজান আলীর প্রামান্যচিত্র



নাম : শরীফুজ্জামান নোমানী
পিতা : মু. হাবিবুল্লাহ মাস্টার
ভাই-বোন : ৪ ভাই ২ বোন এর মধ্যে তিনি পঞ্চম
গ্রাম : আন্ধারিয়া পাড়া (উত্তর)
পোস্ট : কাঠাখালী
থানা : ফুলবাড়িয়া
জেলা : মংমনসিংহ
স্কুল : নবীনগর বিএইচ দাখিল মাদ্রাসা (৮ম শ্রেণী পর্যন্ত)
দাখিল : ছনকান্দা দাখিল মাদ্রাসা
আলিম : কাতলাসেন কাদেরিয়া আলিয়া মাদ্রাসা
অনার্স ও মাস্টার্স : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলাম শিক্ষায় অনার্স শেষ, মাস্টার্স ও এমবিএ ২য় সেমিস্টারে অধ্যয়নরত ছিলেন।

শরীফুজ্জামান নোমানীর শাহাদাত বরণ
স্মৃতির পাতায় যার নাম স্বর্ণারে লিখে রেখেছি, যার স্মৃতি গুলো সব সময় আমাকে তাড়া করে ফিরে। যাকে কাছে না পেয়ে হৃদয়ের মাঝে এক শুন্যতা অনুভব করছি, যাকে হারিয়ে সঙ্গী হারানোর বিলাপের ন্যায় চু ভিজিয়েছি, সে হলো আমার প্রিয় ভাই শরীফুজ্জামান নোমানী। যাকে হারিয়ে আজ আমি ঘুমোতে পারছিনা, খাওয়া দাওয়া করতে পারছি না, পারছিনা কোন কাজে মন দিতে। চোখ বন্দ করলেই শুধু নোমানীর স্মৃতি গুলো ভেসে ওঠে। আন্দোলনের এই সাথীকে হারিয়ে বিলাপ করে করতে পারিনি। ধৈর্যের বাধকে ভাঙতে হয়েছিল। আজও বিশ্বাস করতে পারছিনা যে, সে আর নেই। মনে হয় যেন বেঁচে আছে, লড়াই করছে বাতিলের সাথে। হক ও বাতিলের দ্বন্দ্ব চিরন্তন। যুগে যুগে সত্য ও মিথ্যার লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়ে সত্যের পতাকাকে সমুন্নত করেছেন অসংখ্য বীর সেনানী, গাজী ও মুজাহিদ। নোমানীও লড়াই করে জীবন দিয়ে বেগবান করে দিয়ে গেলেন কালেমার পতাকা উড্ডীনের এ কাজকে।
১৯৬৯ সালের ১৫ই আগস্ট শহীদ আব্দুল মালেকের শাহাদাতের পথ ধরে এগিয়ে চলেছে শহীদি এ মিছিল। এ মিছিলে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ১৩৩ তম (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬তম) শহীদে শামিল হলেন আমার প্রিয় ভাই শরীফুজ্জামান নোমানী।
২৯শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিজয়ের পর থেকেই ছাত্রলীগের তান্ডবলীলা শুরু হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। একের পর এক নিজেদের মধ্যে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া, মারামারি, সশস্ত্র অবস্থায় হলে অবস্থান, অবৈধ সীট দখল ছিল তাদের নিত্য নৈমিত্যিক ঘটনা। এসব বিষয় বার বার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে জানালেও এ বিষয়ে কোন পদপে গ্রহন করেন নি তারা। ফলে সাধারন ছাত্ররা তাদের ভয়ে হল ছাড়তে শুরু করে। এর মাঝেও আমরা সত্যের দাওয়াত, কোরআনের দাওয়াতী কাজকে অব্যাহত রেখেছিলাম। গত ৬ই মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ভাইদের কে নিয়ে একটি শিক্ষা সফর আয়োজন করেছিলাম। শিবিরের দায়িত্বশীলদের সুন্দর ব্যবহার, সুশৃঙ্খলভাবে শিক্ষা সফর বাস্তবায়ন ১ম বর্ষের এতই মুগ্ধ করেছিল যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের মাঝেও আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। শিক্ষা সফর বাস্তবায়নে অনবদ্য ভুমিকা রেখেছিলেন শরীফুজ্জামান নোমানী। এটা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা কিছুতেই মেনেনিতে পারেনি। তারা ষড়যন্ত্র শুরু করল কিভাবে ইসলামী ছাত্রশিবিরের গতি রোধ করা যায়।

ঘটনার সূত্রপাত:১১ই মার্চ আমরা প্রশাসনের পুর্ব অনুমতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮২ সালের ১১ই মার্চে শাহাদাত বরণকারী শহীদ সাব্বির, হামিদ, আইয়্যুব, জব্বারের জন্য শোক র‌্যালী বের করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ইমাজ উদ্দিন মন্ডল ও মাইনুল ইসলাম ভাই সেদিন অতিথি হিসেবে ছিলেন। নোমানী ভাইকে সেদিন শহীদ আইয়্যুব আলী ভাইয়ের বাসায় চুয়াডাঙ্গায় পাঠিয়েছিলাম। র‌্যালি শেষে যখন কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর চত্ত্বরে সমাবেশ চলছে ঠিক সেই মুহুর্তে ছাত্রলীগের একটি মিছিল আমাদের সমাবেশের কাছে এসে শিবিরের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে থাকে। কিছুনের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল ছোড়া শুরু হয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা, প্রক্টর, পুলিশের উপস্থিতি ছিল নির্বিকার। সন্ত্রাসীদেরকে অনেক দূরে ধাওয়া দিয়ে আমরা সব হলে হলে ফিরে আসি। এরি মধ্যে তারা চারদিক থেকে অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের টেন্ডে জড়ো হতে থাকে। আমরাও আমাদের ভাইদেরকে সতর্ক করে দেই। বিকালের দিকে পরিস্থিতি শান্ত হলে পুলিশের সহযোগীতায় তারা হলে ওঠে।
রাত্রে অস্ত্র উদ্ধারের নামে বেছে বেছে আমাদের রুম গুলোতে তল্লাশী চালায় পুলিশ। কিছু না পেয়ে সেদিন পুলিশ ফিরে যায়। পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝতে পেরে আমি জরুরী ভিত্তিতে নোমানী ভাইকে চুয়াডাঙ্গা থেকে ফিরে আসতে বলি। পরের দিন ১২ই মার্চ দিবাগত রাত্রে চলে পুলিশের সাড়াশী অভিযান। প্রতিটি হলের গেটে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের অস্ত্রে সজ্জিত অবস্থায় রেখে পুলিশ হলে গ্রেফতার অভিযান চালায়। বেছে বেছে শিবিরের প্রায় শতাধিক নেতা কর্মীদের গ্রেফতার করে ছাত্রলীগের জন্য হল উন্মুক্ত করে দিয়ে যায় পুলিশ। যাতে অবশিষ্ট অল্প কিছু সংখ্যক শিবির কর্মীদের উপর হত্যাযজ্ঞ চালাতে পারে ছাত্রলীগ। এটা আমরা আগেই বুঝতে পেরেছিলাম। সত্যিই তাই হলো। হল তল্লাশী শেষ করে যখন পুলিশ হল ছেড়েছে ১৩ই মার্চ সকাল ৭টায় সর্বপ্রথম খবর আসলো তারা সোহরাওয়ার্দী হল এবং জোহা হল আক্রমণ করেছে। খুব দ্রুত আমি বিনোদপুর থেকে নোমানী ভাইয়ের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ তিন হল চত্ত্বরের কাছে পাঠালাম আর সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ আলমের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ শেরে বাংলা হলের সামনে পাঠালাম। আমি থাকলাম একটি গ্রুপ নিয়ে বিনোদপুরে। সকাল নয়টায় তারা হামলা চালালো বিনোদপুরে। আমরা দৃঢ়তার সাথে প্রতিহত করছি। নোমানী তার গ্রুপ নিয়ে গোটা ক্যাম্পাস থেকে শত্রু বাহিনীকে তাড়িয়েছে। এমন সময় খবর এলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ আলম সহ ১১জনকে তারা বন্দী করে রেখেছে শেরে বাংলা হলে। কিছুক্ষনের মধ্যেই তাদেরকে মেরে ফেলবে। আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে ফরহাদকে উদ্ধারের সাহায্য চাইলেও তারা তা কর্ণপাত না করে উল্টো তাদেরকে হত্যার সুযোগ করে দেয়। আমি একটি গ্রুপ নিয়ে শেরে বাংলা হলের ভিতর প্রবেশের চেষ্টা করলে তারা ফরহাদ আলমের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে আমাকে বলে ভিতরে ঢুকলে এদেরকে গুলি করে শেষ করে দিব। এক পর্যায়ে আমি পিছনে ফিরে আসি এর কিছুক্ষনের মধ্যে নোমানীর নেতৃত্বে একটি গ্রুপ শেরে বাংলা হলের কাছাকাছি আসলে পুলিশ তাদেরকে লক্ষ্য করে রাবার বুলেট এবং টিয়ার সেল নিপে করে। সবাই ছত্র ভঙ্গ হয়ে গেলে নোমানী মাত্র ১০জনকে নিয়ে ফরহাদকে উদ্ধার করে। ফরহাদ উদ্ধার হলেও তারা নোমানীকে ধরে ফেলে এবং উপর্যুপরি রামদা, হাসুয়া দিয়ে মাথায় আঘাত করে। তাদের রামদার আঘাতে সেখানেই চির নিদ্রায় ঘুমিয়ে পড়েন আমাদের প্রিয় ভাই। (ইন্নালিল্লাহী ওয়া ইন্নালিল্লাহী রাজেউন)
দায়িত্বশীল হিসেবে নোমানী:
দীর্ঘ ২টি বছর আমার সাথে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সেক্রেটারীর দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। প্রতিটি কাজে আমাকে এমন ভাবে সহযোগীতা করতেন যে, যে কোন কঠিন কাজ সম্পন্ন করতে আমার বেগ পেতে হতো না । প্রোগ্রামে সে সব সময় সভাপতির মর্যাদার কারনে আমাকে সাপোর্ট করতো। কোন সিধান্তে সে কখনই আমার মতের বাইরে যেত না। তাকে যা বলতাম তা বাস্তবায়নের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতো। সব সময় তার মুখে হাসি লেগে থাকতো। প্রতিদিন রাত্রে আমি না ফেরা পর্যন্ত সে আমার সাথে দেখা না করে ঘুমোতে যেত না। সবসময় আমাকে কম কষ্ট দিয়ে সব কাজ নিজে করে ফেলতো। বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি হিসেবে আমি তার দায়িত্বপালনে কখনো কোন প্রকার ত্রুটি লক্ষ করিনি। কখনো কোন উজর পেশ করেছেন এমন নজীরও নেই। সাংগঠনিক সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়ে তিনি তার শিক্ষাজীবনে এক বছর ড্রপ দিয়েছেন অবলীলাক্রমে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারী রাবির নবনিযুক্ত ভিসি, প্রোভিসির সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য কল দিয়ে বললাম আপনি রেডি হয়ে ফুলের তোড়া নিয়ে দুপুর ১২টার মধ্যে ক্যাম্পাসে আসেন। নোমানী যথা সময়ে ক্যাম্পাসে উপস্থিত, অথচ আমি জানতামনা ঐদিন বিকেলে তার এমবিএর ফাইনাল পরীক্ষা ছিল। সেতো পারত পরীক্ষার কথা বলে ছুটি নিতে।
বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন নোমানী:
নোমানী শুধু ছাত্র হিসেবে ভাল ছাত্র, দক্ষ সংগঠক ও দায়িত্বে নিষ্ঠবানই ছিলেন না, অনন্য প্রতিভার অধিকারীও ছিলেন তিনি। গত রমযানে সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত ‘জাতী গঠনে রমযানের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে সে চমৎকার এক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছিল। সেমিনারের প্রধান আলোচক রাবির প্রফেসর ড. মো. আবুল হাশেম স্যার বলেছিলেন শিবিরের দায়িত্বশীলরা এত বড় বড় দায়িত্ব পালন করারর পরও যে পড়াশোনা করে এত সুন্দর তথ্য বহুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করতে পারে এটা অবিস্মরণীয়।
এছাড়া পলাশি ট্রাজেডি, এপ্রিল ফুল, ছুটি বির্তক: প্রেতি বাংলাদেশ ইত্যাদি বিষয়ে তার লেখা স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকাতে প্রকাশিত হয়েছে। তার ব্যক্তিগত ডায়রিতে অসংখ্য কবিতা লেখা আছে। এবং আমি মাদ্রাসার ছাত্র না হওয়ায় কোরআনের জ্ঞানের যতটুকু ঘাটতি থাকতো নোমানী সেটুকু পূরণ করতো।
চারিত্রিক মাধুর্যে অনন্য:
তার চারিত্রিক গুনাবলী ও আচার ব্যাবহার নবীর সাহাবীদের মতই ছিল। তার বড়ভাবী বলেছেন, নোমানী কখনো আমার সাথে হাসি-ঠাট্টা করে কথা বলেনি। এলাকাবাসী তার সর্ম্পকে বলেছে নোমানী বাসায় এসে আগে আমাদের খোজ-খবর নিত সালাম দিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরত। এলাকার জানাযার নামাজে সে নিজেই ইমামতি করত। অথচ আজ আমরা তার জানযার নামাজে শরীক হয়েছি। বড় ভাই তার সম্পর্কে বলেছেন নোমানী অপরকে খুব সহজেই আপন করে নিত।
পুলিশ প্রশাসনের বিবেকের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই আপনারা কি শুধু সরকারের দালাল হয়ে কাজ করবেন? আপনাদের কাছে দেশের মানুষ নিরাপত্তা দাবি করতে পারে না। আপনারা কি সত্য মিথ্যা যাচাই করতে পারেন না । বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে একটি প্রশ্ন আপনারা বিশ^বিদ্যালয়ের সকল ছাত্র-ছাত্রীর কি অবিভাবক না? আপনারা কি সকলকে সমান দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে পারেন না? ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের কাছে প্রশ্ন কি অপরাধ ছিল প্রিয় ভাই নোমানীর ? কেন তাকে নির্মম ভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হলো। সে তো আপনাদের গায়ে তো কোন আঘাত করে নি? সে তো শুধু তার প্রিয় ভাই ফরহাদকে বাঁচাতে চেয়েছিল। আজ বিবেকবান মানুষ কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না নারকীয় তান্ডবতার এ হিংস্রতা। জীবনের সবচেয়ে প্রিয় সবচেয়ে মূল্যবান জীবন দিয়ে শহীদ হয়ে প্রমান করলেন তার কাছে জীবনের চেয়ে প্রিয় ইসলামী আন্দোলন ও শাহাদতের রক্তমাখা এ পথ। তার চাওয়া ছিল শুধু একটি কাঙ্খিত সমাজ । সে সমাজ মহান রাব্বুল আলামীনের আইনের আলোকে পরিচালিত হক্ষে। যে সমাজে থাকবে না কোন দুঃখ বেদনা, ধনী গরীবের পাহাড়সম ব্যবধান, থাকবে না খুধার যন্ত্রনায় নিজ সন্তান বিক্রির মত হীন চেষ্টা। এমন একটি সোনালী সমাজ প্রতিষ্টা হবে, যেখানে থাকবে শুধু শান্তির ফাল্গুধারা, ভাতৃত্ববোধের উজ্জল দৃষ্টান্ত সহ শান্তির সুবাতাস। শুধু মাত্র এ কাঙ্খিত একটি সমাজ প্রতিষ্টা করার আন্দোলনে শরীক হওয়াই ছিল তাদের একমাত্র অপরাধ।
তাই শহীদ নোমানীর আজ আমরা যারা উত্তরসূরী আমরা যেন সেই কাঙ্খিত সমাজ প্রতিষ্ঠা করে তার আকাঙ্খাকে পূরণ করতে পারি।
(শরীফুজ্জামান নোমানী ভাইয়ের লেখা www.sonarbangladesh.com
এ প্রকাশিত প্রবন্ধ।)


*(লেখক:সভাপতি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়)

কোন মন্তব্য নেই: