‘মা, ওমা, মাগো’ ছোট্ট একটি শব্দ তবু সেটি উচ্চারনে যেন পুরো বুকের ভেতরটাই নাড়া দিয়ে উঠে। যেন বুকে সীমাহীন প্রশস্ততা বেড়ে যায়। কি নেই ছোট্ট এই শব্দটির ভিতর! ‘আদর-স্নেহ’,’মায়া-মমতা’, ‘নিরাপত্তা’,’নিশ্চয়তা’ আরো কত ভালো গুনাবলী মিশে আছে শব্দটির ভেতর। এতো রুপে সন্তানের জন্য যার ভালোবাসার শেষ নেই। আমি কিভাবে এই একটি দিবসে সেই ভালোবাসার মুল্যায়ন করবো! কেন দিন ক্ষন নির্ধারন করে ‘মাকে’ ভালোবাসি তা বহিঃপ্রকাশের প্রয়োজন পড়বে? তোমরা যারা মায়ের এই ভালোবাসার মূল্য দিতে চাও তবে পালন করো তোমাদের ‘মা দিবস’। আমি পারবোনা একটি দিবসে মায়ের এই অসীম ভালোবাসার মূল্য দিতে; কেননা প্রতিটি দিনই ‘মা’ আমার জন্য মহা মূল্যবান।
মাগো, আজকের এই দিবসকে উদ্দেশ্য করে তোমাকে অনেক ‘ভালোবাসি’ এ কথা বলার জন্য কিছু লিখছিনা। যারা ‘মাকে’ মায়ের ভালোবাসাকে; কেবলমাত্র এই দিনিটির মাঝে আবদ্ধ করতে চায় তাদেরকেও আমার বলার কিছু নেই। আমি শুধু আমার কথা বলতে পারি তোমাকে নিয়ে ‘মা দিবস’ নামক এই দিবসটি আমি পালন করতে পারবো না ‘মা’। তুমিতো আমাকে শুধু বছরের একদিনেই ভালোবাসনা। শুধু একটি দিনেই তুমি জানতে চাওনা তোমার ছেলে কেমন আছে? যখনি তোমাকে ফোন করি তোমার সেই ভালোবাসা উপলব্দি হয়। যখন বুঝতে পার তোমার খোকা ফোন করেছে। তোমার শত ব্যস্ততাই যেন তখন অবসর হয়ে যায়। আমি ছাড়া যেন আর সবকিছুই তখন তোমার কাছে মূল্যহীন হয়ে পড়ে। এ-তো ভালোবাস তুমি আমায়! সেই আমি কিনা এই ভালোবাসার মূল্য হিসেবে তোমাকে দিতে চাই এই একটি দিবস। আমি পারবোনা ‘মা’ তাতে যে তোমাকে অবহেলা করা হয়। বছরের বাকী দিনগুলিতে তবে কি তুমি আমার ‘মা’ রবেনা?
যারা আজকের এই দিনে বুঝাতে চাচ্ছেন ‘মাকে’ তারা অনেক ভালোবাসেন তাদের মতো হতোভাগা সন্তানদের কথা ভেবে খুব কষ্ট হয়। এরা মনের অজান্তেই মাকে অবহেলা করে চলেছে কিংবা রেখে এসেছে কোন বৃদ্ধাশ্রমে। এমন অনেক সন্তান আছেন যারা বছরের বাকী দিনগুলোতে মায়ের খোঁজ রাখেনা। সময়ের মূল্য তাদের কাছে অনেক তাই মায়ের খোঁজ নেয়ার সেই সময় কোথায়! খোজ নেবার জন্য ‘মা দিবসতো’ আছেই। কেবলমাত্র এই দিনটি এলে মাকে নিয়ে অতি উৎসাহী হয়ে যায়। ‘মা দিবস’ এলে মাকে ফোন করে কিংবা একবার গিয়ে দেখে আসবো আর বলবো ‘মা’ তোমাকে অনেক ভালোবাসি। মায়ের জন্য তোমাদের এমন ভালোবাসার প্রয়োজন নেই। কেননা, মায়েরা শুধু সন্তানদের ভালোবাসতে জানে বিনিময় চেয়ে হাত পাততে জানেনা। ‘মা’ এমন এক ভালোবাসার নাম যে ভালোবাসার শেষ বিন্দু কোথায় গিয়ে মিশেছে তা কেউই বলতে পারবে না। এই ভালোবাসার গভীরতা নির্নয় কিংবা এর পরিধি মাপার ক্ষমতা আমার নেই। তাই, এই একটি দিবসে মায়ের ভালোবাসার পরিধি মেপে দুঃস্বাহস দেখাবার নির্বোধ সাহসীও আমি হতে চাইনা।
মা, তুমি যে রকম আমাকে কেবলমাত্র একটি দিবসে ভালোবাসনা। প্রতিটি মুহূর্তে তুমি আমাকে তোমার জীবনের চেয়েও বেশী ভালোবাস; তাহলে কেন তোমার ভালোবাসাকে আমি দিবসে পরিনত করবো! আমি পারবো না ‘মা’ আমি তা কিছুতেই পারবো না। আজকে কথা বলার সময় এক পর্যায়ে মাকে বললাম, মা, তুমি কি জান আজ কি দিবস? উত্তরে ‘মা’ বললেন; না তো! আজ কি দিবস? বললাম থাক ‘মা’, তুমি আর জানতে চেওনা। কারন, কেন প্রয়োজন এই দিবসের সেই ব্যাখা আমার কাছে নেই। বলা হয়, পৃথিবীর বুকে নবাগত জন্ম নেয়া শিশুটির জন্য মা-ই হচ্ছে তার দেবদূত,স্বর্গদূত কিংবা ফেরেস্তা যাই বলিনা কেন।
যার মা নেই তার মত হতবাগাও আর কেউনেই। আমার মা আছেন তাই আমি সৌভাগ্যবান।
আমি জানি! আমার মা-ই পারে আবার আমাকে সেই স্রষ্টার সান্বিদ্ধে নিয়ে যেতে।
তাইতো আমার মাকে মনে পড়ে। জীবনের প্রতিটি দিন,দিনের প্রতিটি ঘন্টা; ঘন্টার প্রতিটি মিনিট; মিনিটের প্রতিটি সেকেন্ড আর মুহূর্তের প্রতিটি পলে পলে মাকে স্বরন করতে চাই।
কেন বছরের মাত্র একটি দিন;মা-দিবস পালন করে মাকে বলবো;
মা তুমি কেমন আছো?
কেন পারিনা জীবনের প্রতিটি দিনই মা-দিবস পালন করতে?
কেন দিনের পর দিন মাকে বলা হয়না; ‘মা’ তুমি কেমন আছ?’মাগো’ তোমাকে অনেক ভালোবাসি।
ছোট আকৃতির দেহ নিয়ে জন্মানো শিশুটিকে মা কতো কষ্ট করে; আদর-স্নেহ দিয়ে যখন বড় করে। আমরা কি পারিনা মায়ের বৃদ্ধ বয়ষে মায়া মমতায় সেই মায়ের পাশে থাকতে?
মাকে কি বলতে পারিনা? মা আমার অসহায়ত্বের সময় তুমি যেভাবে আমাকে বুকে জড়িয়ে ছিলে আজ তোমার এই শেষ সময়ে; তোমার একটুও অবহেলা হতে দেবনা?
আমি বেঁচে থাকতে কেন তোমাকে থাকতে হবে বৃদ্ধাশ্রমে?
আমার বিবেক কি আমাকে বিন্দুমাত্রও নাড়া দেয়না ; তাহলে কি আমার বিবেক বলতে কিছু নেই?
তাই আমার কাছে ‘মা দিবস’ বলতে কিছু নেই; প্রতিটি দিনই হচ্ছে আমার ‘মা দিবস’। বহুদূরে থেকেও মায়ের খোজ নেবার চেষ্টা করি।
মাকে বলি; ‘মা’,আমি ভালো আছি; তুমি ভালো আছতো?
বুকভরা আনন্দ নিয়ে ‘মা’ আমার হেঁসে উঠেন। এতো আনন্দ ‘মা’ আর কোন কিছুতেই খুজে পাননা। মায়ের হাঁসি দেখে হয়তো তখন আল্লাহ ও হেঁসে উঠেন। সন্তান হিসেবে আমারও তখন কিযে ভালো লাগে তা ‘মা দিবস’ কেন কোন দিবসেই কোন ব্যাখা দিয়ে তা বুঝাতে পারবোনা।
আমাদের মধ্যে যাদের মা,এখনো বেঁচে আছেন; খোঁজ কি নিয়েছি সেই মায়ের? কাছে,দূরে কিংবা বহুদূরে কেমন আছেন সেই আদরিনী মা?
যে মা তার বুকের সমস্ত উম;উজার করে তোমাকে বড় করেছেন; মানুষ করেছেন।
”আল্লাহর কাছে দু’হাত তুলে করি মোনাজাত
আমার ‘মাকে’ দিও ”তোমার শ্রেষ্ঠ জান্নাত”।
ওমর শরীফ
মাগো, আজকের এই দিবসকে উদ্দেশ্য করে তোমাকে অনেক ‘ভালোবাসি’ এ কথা বলার জন্য কিছু লিখছিনা। যারা ‘মাকে’ মায়ের ভালোবাসাকে; কেবলমাত্র এই দিনিটির মাঝে আবদ্ধ করতে চায় তাদেরকেও আমার বলার কিছু নেই। আমি শুধু আমার কথা বলতে পারি তোমাকে নিয়ে ‘মা দিবস’ নামক এই দিবসটি আমি পালন করতে পারবো না ‘মা’। তুমিতো আমাকে শুধু বছরের একদিনেই ভালোবাসনা। শুধু একটি দিনেই তুমি জানতে চাওনা তোমার ছেলে কেমন আছে? যখনি তোমাকে ফোন করি তোমার সেই ভালোবাসা উপলব্দি হয়। যখন বুঝতে পার তোমার খোকা ফোন করেছে। তোমার শত ব্যস্ততাই যেন তখন অবসর হয়ে যায়। আমি ছাড়া যেন আর সবকিছুই তখন তোমার কাছে মূল্যহীন হয়ে পড়ে। এ-তো ভালোবাস তুমি আমায়! সেই আমি কিনা এই ভালোবাসার মূল্য হিসেবে তোমাকে দিতে চাই এই একটি দিবস। আমি পারবোনা ‘মা’ তাতে যে তোমাকে অবহেলা করা হয়। বছরের বাকী দিনগুলিতে তবে কি তুমি আমার ‘মা’ রবেনা?
যারা আজকের এই দিনে বুঝাতে চাচ্ছেন ‘মাকে’ তারা অনেক ভালোবাসেন তাদের মতো হতোভাগা সন্তানদের কথা ভেবে খুব কষ্ট হয়। এরা মনের অজান্তেই মাকে অবহেলা করে চলেছে কিংবা রেখে এসেছে কোন বৃদ্ধাশ্রমে। এমন অনেক সন্তান আছেন যারা বছরের বাকী দিনগুলোতে মায়ের খোঁজ রাখেনা। সময়ের মূল্য তাদের কাছে অনেক তাই মায়ের খোঁজ নেয়ার সেই সময় কোথায়! খোজ নেবার জন্য ‘মা দিবসতো’ আছেই। কেবলমাত্র এই দিনটি এলে মাকে নিয়ে অতি উৎসাহী হয়ে যায়। ‘মা দিবস’ এলে মাকে ফোন করে কিংবা একবার গিয়ে দেখে আসবো আর বলবো ‘মা’ তোমাকে অনেক ভালোবাসি। মায়ের জন্য তোমাদের এমন ভালোবাসার প্রয়োজন নেই। কেননা, মায়েরা শুধু সন্তানদের ভালোবাসতে জানে বিনিময় চেয়ে হাত পাততে জানেনা। ‘মা’ এমন এক ভালোবাসার নাম যে ভালোবাসার শেষ বিন্দু কোথায় গিয়ে মিশেছে তা কেউই বলতে পারবে না। এই ভালোবাসার গভীরতা নির্নয় কিংবা এর পরিধি মাপার ক্ষমতা আমার নেই। তাই, এই একটি দিবসে মায়ের ভালোবাসার পরিধি মেপে দুঃস্বাহস দেখাবার নির্বোধ সাহসীও আমি হতে চাইনা।
মা, তুমি যে রকম আমাকে কেবলমাত্র একটি দিবসে ভালোবাসনা। প্রতিটি মুহূর্তে তুমি আমাকে তোমার জীবনের চেয়েও বেশী ভালোবাস; তাহলে কেন তোমার ভালোবাসাকে আমি দিবসে পরিনত করবো! আমি পারবো না ‘মা’ আমি তা কিছুতেই পারবো না। আজকে কথা বলার সময় এক পর্যায়ে মাকে বললাম, মা, তুমি কি জান আজ কি দিবস? উত্তরে ‘মা’ বললেন; না তো! আজ কি দিবস? বললাম থাক ‘মা’, তুমি আর জানতে চেওনা। কারন, কেন প্রয়োজন এই দিবসের সেই ব্যাখা আমার কাছে নেই। বলা হয়, পৃথিবীর বুকে নবাগত জন্ম নেয়া শিশুটির জন্য মা-ই হচ্ছে তার দেবদূত,স্বর্গদূত কিংবা ফেরেস্তা যাই বলিনা কেন।
যার মা নেই তার মত হতবাগাও আর কেউনেই। আমার মা আছেন তাই আমি সৌভাগ্যবান।
আমি জানি! আমার মা-ই পারে আবার আমাকে সেই স্রষ্টার সান্বিদ্ধে নিয়ে যেতে।
তাইতো আমার মাকে মনে পড়ে। জীবনের প্রতিটি দিন,দিনের প্রতিটি ঘন্টা; ঘন্টার প্রতিটি মিনিট; মিনিটের প্রতিটি সেকেন্ড আর মুহূর্তের প্রতিটি পলে পলে মাকে স্বরন করতে চাই।
কেন বছরের মাত্র একটি দিন;মা-দিবস পালন করে মাকে বলবো;
মা তুমি কেমন আছো?
কেন পারিনা জীবনের প্রতিটি দিনই মা-দিবস পালন করতে?
কেন দিনের পর দিন মাকে বলা হয়না; ‘মা’ তুমি কেমন আছ?’মাগো’ তোমাকে অনেক ভালোবাসি।
ছোট আকৃতির দেহ নিয়ে জন্মানো শিশুটিকে মা কতো কষ্ট করে; আদর-স্নেহ দিয়ে যখন বড় করে। আমরা কি পারিনা মায়ের বৃদ্ধ বয়ষে মায়া মমতায় সেই মায়ের পাশে থাকতে?
মাকে কি বলতে পারিনা? মা আমার অসহায়ত্বের সময় তুমি যেভাবে আমাকে বুকে জড়িয়ে ছিলে আজ তোমার এই শেষ সময়ে; তোমার একটুও অবহেলা হতে দেবনা?
আমি বেঁচে থাকতে কেন তোমাকে থাকতে হবে বৃদ্ধাশ্রমে?
আমার বিবেক কি আমাকে বিন্দুমাত্রও নাড়া দেয়না ; তাহলে কি আমার বিবেক বলতে কিছু নেই?
তাই আমার কাছে ‘মা দিবস’ বলতে কিছু নেই; প্রতিটি দিনই হচ্ছে আমার ‘মা দিবস’। বহুদূরে থেকেও মায়ের খোজ নেবার চেষ্টা করি।
মাকে বলি; ‘মা’,আমি ভালো আছি; তুমি ভালো আছতো?
বুকভরা আনন্দ নিয়ে ‘মা’ আমার হেঁসে উঠেন। এতো আনন্দ ‘মা’ আর কোন কিছুতেই খুজে পাননা। মায়ের হাঁসি দেখে হয়তো তখন আল্লাহ ও হেঁসে উঠেন। সন্তান হিসেবে আমারও তখন কিযে ভালো লাগে তা ‘মা দিবস’ কেন কোন দিবসেই কোন ব্যাখা দিয়ে তা বুঝাতে পারবোনা।
আমাদের মধ্যে যাদের মা,এখনো বেঁচে আছেন; খোঁজ কি নিয়েছি সেই মায়ের? কাছে,দূরে কিংবা বহুদূরে কেমন আছেন সেই আদরিনী মা?
যে মা তার বুকের সমস্ত উম;উজার করে তোমাকে বড় করেছেন; মানুষ করেছেন।
”আল্লাহর কাছে দু’হাত তুলে করি মোনাজাত
আমার ‘মাকে’ দিও ”তোমার শ্রেষ্ঠ জান্নাত”।
ওমর শরীফ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন