মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০১৪

বডি-ল্যাংগুয়েজ

BODY LANGUAGE


ডাঃ আনিসুর রহমান 

আমার বডি ল্যাংগুয়েজ কোটি কোটি মানুষের অন্তরে প্রিন্ট হয়ে গেছে।
আমার বডি ল্যাংগুয়েজ শত কোটি মানুষের অন্তরে প্রিন্ট হয়ে গেছে।
আমি আয়নার সামনে দাঁড়াতে ভয় পাই
আয়নার সামনে সেই আমি তো আর নাই
আমার চেহারার সামনে অন্য রকম এক চেহারা চলে আসে
তাহলে কি আমার বডি ল্যাংগুয়েজ
আমার নিজ অন্তরে প্রিন্ট হয়ে গেছে! 

এখন উপায় কোথায় লুকাই দেখি বার বার
কোন কিছু হল নাকি আয়নার!
না আয়নাতো ঠিকই আছে
সত্যিই কি আমার বডি ল্যাংগুয়েজ; কোটি মানুষের অন্তরে প্রিন্ট হয়ে গেছে!
একি আমি আয়নার সামনে হাঁসতে পারছিনা কেন?
আমার সুন্দর ছবিগুলো কোথায় মিলিয়ে গেল
এ্যালবাম খুলে দেখতে থাকি সুন্দর সু ন্দর ছবি
তাহলে আয়নার সামনে এ কোন ভয়ংকর রুপে আমি
আমি ফিরে তাকাই আমার নিজের দিকে
সত্যিই কি আমার চেহারা বদলে গেছে!
তাহলে কি আয়নার মধ্যেও আমার
সেই চেহারা প্রিন্ট হয়ে গেছে
আমার বডি ল্যাংগুয়েজ তাহলে সকলের অন্তরে প্রিন্ট হয়ে গেছে! 

 আমি চিৎকার করি দোহাই তোমাদের
আমার এ ছবি ডাউনলোড কর না
তোমরা কি আমার ভাল ছবিগুলো রিপ্রেস করে দেখনা
রিপ্রেস? না-না-না পারিনা ঐ
ভয়ংকর ছবিগুলো সকলের অন্তরে দাগ কেটে বসে আছে।

কেন পারনা মুছে ফেলতে-
চেষ্টা করে দেখ ডিজিটাল টেকনলজিতে
তা আর হয়না জনাব/জনাবা
ওগুলি মানুষের অন্তরে ক্ষত করেছে
তোমার বডি ল্যাংগুয়েজ
সকলের অন্তরে প্রিন্ট হয়ে গেছে।

 ভেঙ্গে ফেললাম সবগুলি আয়না
কে কোথায় আছ নিয়ে এস ডিজিটাল আয়না
ছাপিয়ে দিব টাকা যত লাগে বায়না।
ও কত কষ্ট এ চেহারা আর সহ্য করা তো যায়না
ট্রাক ভর্তি এল হাজার হাজার আয়না
একি ভয়ংকর সেই চেহারা ফুটে উঠে একটুও সরেনা
দাঁড়াও দেখাচ্ছি মজা আমি নিজে যাব
কিনে আনব সেটাই যেটাতে ভয়ংকর ছবি আসবে না।

এবার পেয়েছি ডিজিটাল আয়না ঘর-
ঢুকে দেখি ভয়ংকর সেই ছবি
একটা নয় ২টা নয় উপরে-নিচে ডাইনে-বামে
যেদিকে চোখ যায় শুধুই সেই অগ্নি মুর্তি ছবি
আমাকেও চিবিয়ে খেতে চায়।

একি দোকানে এত ভিড় কেন?
সকলে কি চায়?
সকলের তিক্ষুনি মার্কা ছবি আমাকে ঘিরে ফেলেছে
সকলের কন্ঠে একি শুনি জনাব
তোমার বিৎঘুটে রাক্ষুসী ছবি আমাদের সকলের অন্তরে বসে গেছে
তোমার বডি ল্যাংগুয়েজ আমাদের সকলের
অন্তরে প্রিন্ট হয়ে গেছে
প্রিন্ট হয়ে গেছে......।

কোন মন্তব্য নেই: