কিচ্ছু ভাল্লাগে না। নিজেকে খুব তুচ্ছ মনে হয়। মনে হয় যেন মেরুদন্ডহীণ ক্ষুদে শুককীট। গুটির খোলসের অন্ধগুহায় বন্দী। খোলসের ওপারে মুক্ত নীল আকাশ, আকাশে রঙ্গীণ ঘুড়ির ওড়াউড়ি। মনে মনে খোলস মুক্তির প্রহর গুণি, প্রজাপতির মতো গুটি কেটে কেটে নীল আকাশে রঙ্গীণ পাখা মেলে উড়ে বেড়ানোর স্বপ্ন দেখি। জানিনা, গুটি ফুড়ে সব শুককীটই কি পায় প্রজাপতির মতো রঙ্গীন ডানায় স্বাধীনতা?
স্বাধীনতা! স্বপ্নের স্বাধীনতা। প্রাণ খুলে মনের কথা বলার, হরিণ শাবকের মতো দিগ্বিদিক ছুটে বেড়ানোর অবাধ অধিকার। অন্যের অধিকার ক্ষুন্ন না করে নিজের মত চলার অধিকারই তো স্বাধীনতা। স্বাধীণতার সে স্বপ্নে বিভোর আমি। জানি আঁধার যতই হোকনা নিকষ কালো, ভোরের সোনালী আলোয় তা হবেই হবে দ্বীপ্তিময়।
চারিদিকে স্বাধীনতার সওদাগরের আনাগোনা। সুতীক্ষ্ণ ছুড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়ায় ওরা, কসাই যেমন ছুড়ির ফলা দিয়ে কোরবানীর পশুর চামড়া ছড়ায়, তেমনি ভাবে জরায়ু কেটে কেটে স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে আনার নেশায় আচ্ছন্ন ওদের চোখ। গুটি কেটে কেটে ছিনিয়ে আনতে চায় প্রজাপতির রঙ্গীন ডানা। স্বাধীনতা সওদাগরের স্পর্ধিত পদশব্দে কোকুনের ভেতর কুকড়ে ওঠে হৃদয়। জানি সুবেহ সাদেকের আগে সূর্যের দেখা মেলে না। স্বাধীনতা সওদাগরের কৃপায় যদিও বা মুক্তি মেলে, দূর্বল পা টেনে টেনে কেবল পিপড়ের ডাইনিং টেবিলে পৌঁছা যায়, অপুষ্ট ডানায় নীলাকাশ ছোঁয়া যায় না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন