শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১১

অধ্যাপক গোলাম আযমঃএক জীবন্ত কিংবদন্তীর নাম



 বাংলাদেশ অপার সম্ভাবনাময় একটি দেশ। এমন একটি ব-দ্বীপ যার শরীরে বয়ে চলে হাজারও নদী। নদী পাড় ভাঙে, ভাঙে গ্রামের পর গ্রাম; যেন ভাঙা-গড়াই এর নিত্য খেলা। ঋতুর খেলাও ঠিক তেমনই আসতে না আসতেই পরিবর্তন হয়। স্থিরতা নেই আবহাওয়ারও। এর সাথে পাল্লা দিয়ে আসে ঝড়-টর্নেডো,ছিন্ন-ভিন্ন করে দেয় আবাসস্থল। এ দেশে এভাবেই চলে প্রকৃতির তা-বলীলা। এর সাথে সংগ্রাম করেই মানুষ বেঁচে থাকে।

এ দেশে প্রকৃতি যেমন পরিবর্তন হয় প্রতিনিয়ত তেমনই মানুষের মন ও বিশ্বাসের প্রতিনিয়ত পরিবর্তন ঘটে। কোনো বিশ্বাসেই আমরা বেশি দিন স্থির থাকতে পারি না। দুঃখ-বেদনাই যেন আমাদের নিত্য সঙ্গী। সীমাহীন দুঃখ-ব্যথাও ভুলে যাই সময়ের পরিক্রমায়। এরই সুযোগ নেয় শাসকরা। প্রতারণা আর বিমাতাসুলভ আচরণে বিষিয়ে দেয় আমাদের জীবন। রক্ষক হওয়ার ওয়াদা দিয়ে ক্ষমতায় গিয়ে জোর উদ্যোমে চালায় ভক্ষকের কাজ। তাই হাজারও জীবনের বিনিময়ে গড়ে উঠা স্বাধীন পাকিস্তানের উপর আমরা আস্থা রাখতে পারিনি। পাকিস্তানি শাসকদের নীতিহীন আচরণের বিরুদ্ধে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ। কিন্তু, স্বাধীনতার পরপরই যাদের হাতে আমরা লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে দেশ শাসনের ক্ষমতা দেই তারাই আবার শোষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়__হত্যা করে গণতন্ত্র। যারা পাকবাহিনীর নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়েছিল; তাদের হাতেই হতে থাকে অনবরত মানুষের মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত। জনগণ তাদেরও ছুঁড়ে ফেলে দেয় ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে।

জাতির এই ভাঙা-গড়া ও বিশ্বাস-অবিশ্বাসের খেলার মধ্যেও যে গুটিকয়েক ব্যক্তি আদর্শের উপর অনঢ়-অটুট বিশ্বাস রেখে নিজের জীবন পার করে দিয়েছেন ও দিচ্ছেন তাদের অন্যতম হলেন অধ্যাপক গোলাম আযম । ইসলামের জন্য তিনি নিজের জীবন উৎর্সগ করেছেন। আপোস করেন নি; অন্যায়ের সাথে। ক্ষমতার লোভে ছল-ছাতুরীর আশ্রয় গ্রহণ করেন নি। তিনি আজীবন নীড়হারা এই জাতিকে দিতে চেয়েছেন নীড়ের সন্ধান; আর এজন্যই ইসলামের পথে ডেকে গেলেন মানুষকে। তিনি আমাদের প্রেরণার মধ্যমণি। যুগ থেকে যুগানত্মরে হৃদয়ের ভালোবাসায় সিক্ত এক জীবনত্ম কিংবদনত্মি হয়ে বেঁচে আছেন, বেঁচে থাকবেন তিনি। 
 
http://www.sonarbangladesh.com/blog/sharif/78645

কোন মন্তব্য নেই: