মোমের আলোয় কাজ করছিলেন খলিফা উমর রাযিআল্লাহু আনহু ।
এমন
সময় সেখানে আসলেন তার দুই আত্মীয় । খলিফা তাড়াতাড়ি ফুঁ দিয়ে
মোমবাতিটি নিভিয়ে দিলেন । অন্য আরেকটি
মোমবাতি ধরিয়ে অতিথিদের বসতে দিয়ে তাদের খোজখবর
নিলেন । কৌতুহল চাপতে না পেরে একজন জানতে চাইলেন ,
আমাদের
দেখে কেন আপনি আগের মোমবাতি নেভালেন
আর
নতুন একটি জ্বালালেন ? খলিফা
জবাব দিলেন : আগের মোমবাতি ছিল রাষ্ট্রের সম্পত্তি থেকে কেনা
।
তোমরা
যেহেতু আমার আত্মীয় , তাই
তোমাদের সাথে আমার ব্যক্তিগত অনেক আলাপ হবে । আমার নিজের কাজে জনগণের আমানত
থেকে আমি কিছু খরচ করতে পারি না । তাহলে আল্লাহর দরবারে আমাকে জবাবদিহি করতে হবে । তাই নিজের টাকায় কেনা মোমবাতিটি তোমাদের দেখে জ্বালালাম । এই জবাবে আত্মীয়রা হতভম্ব হলেন । তারা এসেছিলেন আত্মীয়তারখাতিরে বিশেষ কোন সুবিধা পাওয়া যায় কি না, সেই অনুরোধ করতে । কিন্ত্ত সামান্য মোমবাতি নিয়ে খলিফার এত বিবেচনা ও সতর্কতা দেখে নিজেদের প্রস্তাব জানাতে তারা আর সাহসই করলেন না ।
তোমাদের সাথে আমার ব্যক্তিগত অনেক আলাপ হবে । আমার নিজের কাজে জনগণের আমানত
থেকে আমি কিছু খরচ করতে পারি না । তাহলে আল্লাহর দরবারে আমাকে জবাবদিহি করতে হবে । তাই নিজের টাকায় কেনা মোমবাতিটি তোমাদের দেখে জ্বালালাম । এই জবাবে আত্মীয়রা হতভম্ব হলেন । তারা এসেছিলেন আত্মীয়তারখাতিরে বিশেষ কোন সুবিধা পাওয়া যায় কি না, সেই অনুরোধ করতে । কিন্ত্ত সামান্য মোমবাতি নিয়ে খলিফার এত বিবেচনা ও সতর্কতা দেখে নিজেদের প্রস্তাব জানাতে তারা আর সাহসই করলেন না ।
আরেকবার খলিফার কাছে এক লোক সুবিধা চায় । খলিফার সামনে রাখা কিছু কাঠে তখন আগুন জ্বলছিল। খলিফা বললেন , ঠিক আছে । তুমি এই
আগুনের
ভিতর তোমার হাত কিছু সময়ের জন্য রাখো
; তারপর তোমার অনুরোধ আমি বিবেচনা করবো ।
লোকটি
ভয় পেয়ে বললো , হে
খলিফা ; এই
আগুনে হাত ঢুকালে আমার হাত তো জ্বলে যাবে । খলিফা বললেন
, তুমি দুনিয়ার এই সামান্য আগুনকে ভয় পাচ্ছ অথচ আমাকে তুমি দোযখের অনন্ত আগুনের ভিতরে
নিয়ে যেতে চাও ? তদবিরকারী
নিজের ভুল বুঝতে পেরে ফিরে যায়। এই
যেখানে খলিফা উমর রাযিআল্লাহু আনহু এর রাজনৈতিক দর্শন সেখানে বর্তমানে আমাদের
দেশের রাজনীতিবিদরা কি করছে ? কোন সময়ে বাস করছি আমরা ? এর শেষ কোথায় ?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন