আল্লামা সাঈদী শুধু একটি নাম নয়____!
তিনি তার লাখো কোটি ভক্তদের না বলে চলে যাননি" তিনি সবার থেকে হাঁসি মুখে বিদায় নিয়েছেন। এতো জুলুম আর এতো অমানবিক নির্যাতনের পরেও তার হাঁসিমাখা মুখ আমাদের এটাই বলছে! আমি বিড়ালের মতো বাঁচতে আসিনি তোমরাও সিংহের মতো বাঁচতে শিখে নাও! একজন আশি উর্ধ আল্লাহর বান্দা এক যুগের অধিক জেলের চার দেয়ালে বন্দী থাকার পরেও জালিমরা তার এই হাঁসি একটুও মলিন করতে পারেনি বরং তেজ দীপ্ত ঈমানে এই হাঁসি হয়েছে আরো উজ্জ্বল।
উনাকে দেখে আমার মনে পড়েছে পবিত্র কোরানের সূরা সফের ৬১ নাম্বার আয়াতের কথা:"তারা আল্লাহর জ্যোতিকে তাদের মুখ দিয়ে নিভিয়ে দিতে চায়,কিন্তু আল্লাহ তাঁর জ্যোতিকে পূর্ণরূপে উদ্ভাসিত করবেন; যদিও অবিশ্বাসীরা তা অপছন্দ করে।
আল্লামা সাঈদী আমাদের ছেড়ে চলে যাননি তিনি যেতে পারেননা! তার জীবন তার কর্ম আমাদেরকে আল্লাহ এবং রাসুলকে ভালোবাসতে পথ সংী হয়ে থাকবে আমরন। হয়তো আমরা আর কোনদিন নতুন করে তার সুমিষ্ঠ কণ্ঠে কোরানের বানী শুনতে পাবোনা। শুনতে পাবোনা রাসূলের আদর্শের কথা। সাহাবাদের ত্যাগের কথা। লাঠিতে ভর করে ঐ বৃদ্ধ লোকটি ছুটবেনা সাঈদী হুজুরের মাহফিলে! যুবক ছেলেটি পাগল পারা হয়েও আর কখনো দেখতে পাবেনা প্রিয় হুজুরের পবিত্র মুখখানা। হাঁয় আফসোস! আগামী শতাব্দী এমন একজন সাঈদীকে পেলোনা যাকে ভালোবেসে যার জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত লাখো কোটি নারী পুরুষ। সাঈদী হুজুর মানে, যেনো এক 'ভালোবাসার উত্তাল সাগর'! গতো কয়েক শতাব্দির পৃথিবীর ইতিহাসে এমন দৃষ্টান্তের দেখা মিলেনি!
হে প্রিয় আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী(রাহিমাহুল্লাহ) আমরা আপনাকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসি আমরা জানি আপনিও আমাদেরকে আল্লাহর জন্যেই ভালোবাসেন। তাইতো এই জমীনে আল্লাহর দ্ধীন কায়েম করতে গিয়ে আপনি আজ শহীদ হলেন। নি:সন্দেহে আপনার এই হাঁসি এই জমীনে দ্ধীন বিজয়ের পূর্বাভাস। এই আকাশ আর বেশী দিন মেঘে ডাকা রবেনা; কানায় কানায় আলোয়ে পরিপূর্ণ হবে। সেদিন আনন্দে আপনার এই হাসিমাখা মুখ দেখে আপনার রেখে যাওয়া প্রত্যেকটা দ্ধীনের দায়ী হাউমাউ করে কাঁদবে। আর আপনি সেদিন আবারো হাঁসবেন তবে সেই হাসির আড়ালে থাকবেনা জালিমের জুলুম আর নির্যাতন সেই হাসি হবে প্রশান্ত আত্মার যাতে আছে আল্লাহ এবং রাসুলের সন্তুষ্টি আর আছে শান্তি।
_____________ওমর শরীফ মিটু ____________
https://www.facebook.com/omarsharifmitu/